somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বদভ্যাস এবং মেয়েদের উত্তরাধুনিকতা...

২০ শে নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার এক বন্ধু আছে যে কথায় কথায় ‘ধুর শালা’ বলতে না পারলে ওর কথা বলাই যেন হয় না। আবার এমন একজনকে আমি চিনি যে কিনা নাকের ময়লা পরিষ্কার করাটাকে একেবারে শৈল্পিক পর্যায়ে নিয়ে গেছে। আমার আঁতেল এক বড়ভাই আছে যিনি শেখ হোয়াইট কিংবা বিড়ি খাওয়া ছাড়া কোন বয়ান দিতে পাওে না। এইরকম কতো রকমের বদভ্যাস বা মুদ্রাদোষ যে আমাদের আছে তার কোন ইয়ত্তা নেই। সেদিন হোটেলে বসে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেয়ালের দিকে চোখ পড়ল। দেখলাম সেখানে লেখা- ‘আপনি যদি সিগারেটের ছাই চায়ের কাপে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, তবে বেয়ারাকে বলুন অ্যাশট্রেতে করে আপনাকে চা দিতে ।’ লেখাটা দেখে কিছুটা অবাক হলেও হোটেল মালিকের বুদ্ধির তারিফ করলাম মনে মনে। এই বদভ্যাসের না হয় একটা সমাধান খুঁজে পাওয়া গেল। কিন্তু আজ কালকার যুগের অতি আধুনিক মেয়েদের উত্তরাধুনিক বদভ্যাসের কী হবে। এমনই এক উত্তরাধুনিক মেয়েকে তার বাবা বোঝাচ্ছিলেন। ‘এসব বাজে অভ্যাস ত্যাগ করো। আজ তোমাকে দেখলাম ড্্রইংরুমে এক অচেনা যুবকের সাথে খুবই আপত্তিজনকভাবে বসেছিলে। এসব যেন আর কখনো না দেখি।’ শুনে মেয়ে ঝঁটপট উত্তর দিল- তুমি নি:শব্দে হাঁটা চলা বন্ধ কর, তাহলে আর দেখতে হবে না।’ এই যদি হয় অবস্থা তাহলে কিন্তু বদভ্যাস বাড়বে বৈ কমবে না। কিন্তু একই ব্যাপার আরেক মহিলার েেত্র বিশাল প্রকট। তিনি কবরস্থানে একটি কবরে আপনমনে পাখা দিয়ে বাতাস করছিলেন। তখন কবরস্থানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এক লোক থমকে দাঁড়ালেন। তিনি মহিলাকে জিজ্ঞেস করলেন-‘কার কবর এটা?’ ‘আমার স্বামীর’ মহিলার চটপট জবাব। শুনে ভদ্রলোক বলল- ‘বাহ! প্রেমের এমন দৃষ্টান্ত আমি এই প্রথম দেখলাম। বেঁচে থাকতেও সেবা যতœ করেছেন, এখন মৃত স্বামীকেও একইভাবে যতœ করে বাতাস করে চলেছেন। সত্যি অসাধারণ।’ মহিলা যেন একটু লজ্জিত হলেন। নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন- ‘আসলে ঠিক তা না। বিষয় হলো আমাদের গোত্রে স্বামীর কবর শুকানোর আগে দ্বিতীয় বিয়ের নিয়ম নেই।’ বিবাহিত লোকজন স্বামী বা স্ত্রী মরার পরপরই দ্বিতীয় বিয়ের জন্য উঠে পড়ে লাগে। মেয়েদের কথাটা না হয় বাদই দিলাম। কারন তারা উত্তরাধুনিক যুগের বাসিন্দা। কিন্তু ছেলেরা ন্যাড়া হয়ে দুইবার কেন বটতলায় যায় সেটা আমার একদমই বোধগম্য নয়। এই বিষয়ক একটা জোকস মনে পড়ে গেল। বনের রাজা বাঘের বিয়ে। পুরো বনে তা নিয়ে ব্যাপক হৈ চৈ। সবাই আনন্দ করছে। ইঁদুরও আনন্দ করছিল। কিন্তু ইঁদুরের আনন্দটা যেন একটু বেশিই হয়ে যাচ্ছিল। সে সারা দিন জুড়েই ব্যাপক নাচানাচি করছিল। তা দেখে শিয়াল তাকে জিজ্ঞাসা করল- ‘কী ব্যাপর ভায়া? তোমার এতো আনন্দের কারন কি?’ ইঁদুর বলল- ‘বাঘের বিয়ে হচ্ছে। আমাদের আরেকজন জাতভাই বাড়ল।’ শিয়াল অবাক হয়ে বলল-‘কিন্তু সে বাঘ। আর তুমি ইঁদুর।’ শুনে হাসল ইঁদুর। তারপর বলল- ‘সবই ঠিক আছে। কিন্তু বিয়ের পর সব বাঘই ইঁদুর হয়ে যায়।’ তাই পুনরায় বিয়ে করার বদভ্যাসটা মেয়েদের বেলায় উত্তরাধুনিকতা হলেও পুরুষদের বেলায় নিজের অমঙ্গল নিজে ডেকে আনা ছাড়া আর কিছুই নয়। আবার কিছু কিছু ম্যাডামদের খুঁজে পাওয়া যায় যারা বিউটি পার্লার থেকে দুই তিন ইঞ্চি পুরো মেকাপ না দিলে তাদের পেটের ভাত হজম হয় না। এমনই এক মডার্ণ মা তার ছেলেকে নিয়ে তার ছেলেকে নিয়ে রাস্তায় হাঁটছিল। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হল। বৃষ্টিতে মায়ের মেকাপ সব ধুয়ে গেল। বৃষ্টি থামার পর ছেলেটি তার মেয়ের দিকে তাকালো এবং কান্না শুরু করে দিল। মা বললো, ‘কাঁদছো কেন? কি হয়েছে?’ কান্নার স্বরে ছেলে বলল,‘আমার মা কোথায়? আমি মায়ের কাছে যাবো।’ বদভ্যাসের লাগাম টানা সত্যি কঠিন আর সেটা যদি হয় বিড়ি সিগারেট বা মদের মতো, তাহলেতো কাহিনী আরো খারাপ। এমনই এক মাতাল মদ কেনার জন্য তার স্ত্রীকে বিক্রি করে দিল। মদ খেয়ে প্রায় ঘন্টাখানেক পর সে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁদতে লাগলো। কান্না দেখে এক পথচারী দাঁড়ালো এবং কান্নার কারন জিজ্ঞেস করল। মাতাল বলল-‘মদ খাওয়ার জন্য আমি আমার স্ত্রীকে বিক্রি করে দিয়েছি। আমি তাকে ফেরত চাই।’ তখন সেই লোক তাকে বলল- ‘তার মানে তুমি এখন অনুতপ্ত?’ তখন মাতাল বলল- ‘হ্যাঁ, আমার আবার মদের তৃষ্ণা পেয়েছে।’ আবার বউয়ের বদভ্যাস যদি হয় আরো খারাপ তাহলে এমন বউ বেঁেচে দেয়াটাই মঙ্গলজনক। প্রতিবেশী ভদ্রলোক আরেক ভদ্রলোককে সাবধান কওে দিচ্ছে। ‘শোন, বউকে আদও করার সময় জানালা বন্ধ কওে নিও। কালতো ব্যাপারটা আমার চোখে পড়ে গেল।’ তখন ভদ্রলোক বলল-‘হতে পাওে কিন্তু কালতো আমি বাস াতেই ছিলাম না!’
১৯টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×