
আমাকে মানুষ বলে ডেকোনা তুমি,
'মানুষ' কিন্তু আসলে সরলরৈখিক সত্তা নয়।
বুকের একপাশে দেবতারা ফুঁ দেয় শংখে
অন্যপাশে দানবেরা ফুঁসে উঠে রাগে, ক্রোধে!
ভেবে নিতে পারো
আলো আঁধারের নিঁখুত তবু অনিশ্চিত মিশ্রণ,
আমাকে সমসত্ত্ব দ্রবণ ভেবোনা তুমি আর,
সামান্য নাড়াচাড়া দিলে ভেংগে যেতে পারে,
দ্রব আর দ্রাবকের সুনিপুণ সমাহার!
আমি ঠিক 'মানুষ' নই,
কারণ মানুষ পারেনা হতে এক প্রকৃত 'মানুষ',
অর্ধেক সময় স্বপ্নে থাকি, বাকি অর্ধেক জেগে,
জানিনা কখন থাকে প্রকৃত হুঁশ!
এক কাঁধে নীলাম্বরী ময়ূর তুলেছে নাচ,
অন্য কাঁধে উঁকি দিচ্ছে শিকারী ঈগল,
কি তীক্ষ্ণ তার চোখ, শাণিত ছুরির মতো নখ!
তাই আমাকে পরিয়ে দিতে এসোনা তুমি
'মানুষ' নামের শিকল,
নিখুঁত মানুষ সাজার ব্যর্থ অভিনয়ে
অন্তর্গত দ্বৈতসত্তা ক্রমেই হয়ে যাচ্ছে বিকল।
আসলে আমি কে বলোতো?
আমি সরলরেখার মতো সহজ কেউ নই,
নই রম্বস চতুর্ভুজের মতো ঘর আকৃতির ছাউনি
যেখানে মিলবে তোমার আকাংখিত ছায়া,
এমনকি ত্রিভুজের মতো কোণায় কোণায় নেই
রহস্য কিংবা প্রেম।
সম্ভবত আমি বৃত্তের মতো,
কেন্দ্রে হতে অসীমের দিকে অসংখ্য স্তরে বিস্তৃত,
ভিতরে আসেনা কেউ, আমিও পারিনা নিতে
আমার পরিধিতে,
নিজেকে জানতে যতো হাতড়াই রেখা
ঘুরে ফিরে আসি একই বিন্দুতে।
হয়ত আমি সেই জলবিন্দুটি, কিন্তু মানুষ নই।
ঝড়ে পড়ে সেইসব বিন্দু বিন্দু জল তারপর
কৃষ্ণচূড়ার ডগা বেয়ে নামে ধীরে,
সে মেঘের ও কেউ নয়, নদীর আপন নয়,
তবুও বাঁচে জীবনের নিয়মে,
হয়ত আমিই সেই জলের বিন্দুটি যে চলছেই
থেমে থেমে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


