
আগ্নেয়গিরির দিকে গেলে ত্বক পুড়ে যায়—
কি তীব্র লেলিহান লাভা।
বরফের দিকে সরে গেলে জমে যায় হাত-পা-শরীর,
ফ্রস্টবাইটের দানবের কামড়ে।
তুমি বলেছিলে— “নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে থেকে যাও,
এখানে বাসযোগ্য ভূমি আছে বিস্তর।”
ময়ূরপঙ্খী জাহাজ থেকে সেই যে নেমে গেলাম,
আমার আর পৃথিবীকে দেখা হলো না।
চেতনার প্রান্তর ছেড়ে দেবদারু গাছের নিচে
অচেতন পৃথিবী প্রতিদিন ডাকে।
তার নকশী আঁচল ধরে বহুদূরে চলে যাব বলে
ফিরে আসি কয়েদখানায়।
পদ্মের অভাবে শুকিয়ে যায় উপসাগরের জল,
তার জলজ প্রাণীরা বিলুপ্তির আগে ডেকেছিল
সান্ধ্যসভায়।
আমি সমতল ছেড়ে সেখানে যেতে পারিনি।
তুমি বলেছিলে, মৃত সাগরের কাছে যেতে নেই।
বহুদূর হেঁটে এসে তেজস্ক্রিয় শহরকে স্বর্গ ভেবে
লুকিয়ে ছিলাম—
আয়েশী কম্বলে।
এভাবেই পৃথিবীর শেষ সজীব প্রাণীর সঙ্গে
আর দেখা হলো না।
অধিক ঘুমালে ধীর হয়ে যায় নাকি আহ্নিক গতি,
পৃথিবী ঝিমায় শুধু দুপুরের কুমড়োর মতো।
যদি বেশি জাগি, তীব্র গতিতে পৃথিবী উন্মাদ হয়,
মদমত্ত হাতির মতো বেসামাল তড়পায়।
তুমি বলেছিলে, নিয়ন্ত্রণে রাখো হাতির পায়ে শিকল—
নাহলে ডিমের খোসার মতো ভেঙে যাবে
সত্তার প্রকৃতি।
আমি তাকে শিকলে বেঁধেছি,
ঘুমে কিংবা জাগরণে নিখুঁত হিসাব রেখেছি।
কখন যে পোষা হাতি ফসিল হয়েছে, বুঝতে পারিনি।
আমার আর জীবিত প্রাণী পোষা হলো না।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:১৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




