গল্পটা অনেক পুরোনো। আমি এই পর্যন্ত দুজনের মুখ থেকে দু রকম ভাবে শুনেছি। এবার বলছি আমার ভার্ষনটা।
তিন বন্ধু ঘুরতে গেছে খাগড়াছড়ি। ঘুরতে ঘুরতে এক পাহাড়ী মেয়েকে দেখে এক বন্ধুর মাথা নষ্ট। বাকি দু বন্ধুর সহযোগিতায় সে মেয়েটিকে...। পথ দিয়ে যাচ্ছিলো আরেক পাহাড়ী যুবক। ঘটনা আঁচ করতে পেরে সে এলাকায় খবরটা রটিয়ে দিলো। রেজাল্ট, কট বিহাইন্ড দ্যা ঝোপ।
তিনজনকে ধরে নিয়ে আসা হলো গোত্র প্রধানের দরবারে। গোত্র প্রধান জানতে চাইলেন আসামী তিনজনের অপরাধের পরিমান কতটুকু। প্রত্যক্ষ্যদর্শী জানালো, এদের মদ্যে একজন মেয়েটিকে ধর্ষন করেছে এবং বাকি দু'জন এই কাজে তাকে সহযোগিতা করেছে। ধর্ষককে এবং সহযোগি দুজনকে চিহ্নিত করা হলো। এবার শাস্তি দেবার পালা।
গোত্র প্রধান বললেন, এই তিন নরপশুর কঠোর শাস্থি হওয়া উচিৎ। ধর্ষকের এক সহযোগির কাছে জানতে চাইলেন, তুই মৃত্যুদন্ড চাস নাকি বুঙ্গা বুঙ্গা। সাথে সাথে ছেলেটা জানতে চাইলো বুঙ্গা বুঙ্গা কি জিনিষ? প্রধান বললেন, সেটা যাইহোক অন্তত মৃত্যুদন্ড না। ছেলেটার উত্তর, আমি এই বয়সে মরতে চাইনা। প্লিজ আমাকে বুঙ্গা বুঙ্গা দিন।
ইয়া মোটা ভূড়িওয়ালা এক লোক এগিয়ে এলো। গোত্রপ্রধান বললেন, গিভ হিম টেন বুঙ্গা বুঙ্গা। ভূড়িওয়ালা লোকটা ছেলেটাকে ঘুড়িয়ে টেন টাইম বুঙ্গা বুঙ্গা দিয়ে দিলো। পাছার ব্যাথায় কাতরাতে লাগলো ছেলেটা।
দ্বিতীয় সহযোগির কাছে জানতে চাওয়া হল একই প্রশ্ন। দ্বিতীয় সহযোগি মনে মনে ভাবলো, "মরে গেলেতো শেষ হয়ে গেলাম। ঐ শালা যখন সইতে পেরেছে তবে আমিও পারবো।" সে মিনমিনে গলায় বলল, আমি বুঙ্গা বুঙ্গা চাই। গোত্র প্রধান বললেন, গিভ হিম টেন বুঙ্গা বুঙ্গা। আবারো মোটা ভূড়িওয়ালা লোকটা খুশিমনে এগিয়ে এসে টেন টাইম বুঙ্গা বুঙ্গা দিয়ে দিলো ছেলেটাকে। ব্যাথায় ছেলেটা উঠতেই পারলোনা জায়গা থেকে।
এবার ধর্ষকের পালা। অতক্ষন সে পুরো ঘটনা পর্যবেক্ষন করতে করতে আবিস্কার করলো, তার শাস্থি যোদি বুঙ্গা বুঙ্গাও হয় তবে একশটা হবে না। অন্তত এক হাজারটা হবে নয়তো এক লক্ষ হবে। আর এর পরিনতি নিশ্চিত মৃত্যু। মরতে যখন হবেই তবে অন্তত সন্মান নিয়ে মরি। গোত্র প্রধান যখন জানতে চাইলেন, তুই শালা কি চাস। মৃত্যুদন্ড নাকি বুঙ্গা বুঙ্গা। তখন ধর্ষক বলল, " আমাকে মুত্যুদন্ড দিন। বুঙ্গা বুঙ্গা আমি সইতে পারবো না।" গোত্র প্রধান কিছুক্ষন কিছু একটা চিন্তা করলেন। এবার মোটা ভূড়িওয়ালা লোকটাকে ডেকে বললেন, গিভ হিম বুঙ্গা বুঙ্গা আনটিল ডেথ.........................গল্প শেষ।
আমাদের দেশে ধর্ষকদের লঘু সাজা দেয়ার ঘটনা কম ঘটেনা। তবে আমার মতে ধর্ষকের মৃত্যুদন্ড অবশ্যই হতে হবে। বুঙ্গা বুঙ্গা মৃত্যুদন্ড দিয়ে এই নরপশুদের সমাজ থেকে পরিস্কার করতে হবে। বুঙ্গা বুঙ্গা দেবার দায়িত্বটা প্রতিষ্ঠিত গে'দের উপর ছেড়ে দিলে ভালো হয়। স্যার এ্যল্টন জনকে চাইলে ইনভাইট করা যেতে পারে। ভদ্রলোক ব্যাপক খুশি হবেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


