somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রুহুলআমিন চৌধুরি
স্বাধিনতার শত সহস্র, লক্ষ কোটি সুফল - কিন্তু একটি মাত্র “কুফল” - দেশের নিতি নির্ধারণে অযোগ্য লোকেরা সব উচ্চাশনে - রাজনিতিতে ও প্রশাসনে - ফলে দেশটি যথাযথভাবে উন্নতিতে আগাতে পারছে না। তারপরেও যে টুকু এগিয়েছে সব টুকু ব্যাক্তি উদ্যোগে - সরকারের ভূ

ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন গুলিস্তানের ‘গোলাপ শাহের মাজার কতটা ট্রাফিক বিড়ম্বনার সৃষ্টি করে অথবা মিরপুর রোডে সোহবানবাগ মাসজিদ ? কর্তৃপক্ষ কি পারবেন ওগুলো স্থানান্তর করতে ? নাকি বীরত্ব সব হিন্দুদের ওপর ?

১৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পটুয়াখালীর দশমিনার আলিপুরে বিধবা কানন বালার ওপর সদ্য (১১ মে, ২০১৭ খৃঃ) ঘটে যাওয়া অত্যাচারের ভিডিও ঢাকায় একটি টিভি দেখিয়েছে। সম্পত্তি দখলের জন্যে কানন বালাকে হাত-পা বেঁধে অত্যাচার করা হয়। কানন বালা বলেছেন, ‘ওগো পাও ধইরা মাফ চাইছি। বাড়িঘর ছাইড়া ভারত চইল্যা যামু কইছি। তাও ওরা আমারে পাড়াইয়া মাটিতে ফালাইয়া রাখে’। প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশে জন্মই কি কানন বালাদের আজন্ম পাপ? বর্তমান বাংলাদেশে বা তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে হিন্দুর জমি দখলের মহোৎসব শুরু সেই ভারত বিভাগের পর থেকেই। আজো তা সমানভাবে চলছে। বলার কেউ নেই। দেখার কেউ নেই। কারণ প্রায় সবাই অল্প-বিস্তর এই সুবিধা ভোগ করছেন। এমনকি রাষ্ট্রযন্ত্র এ সুবিধাভুগী। কেউ যদি ১৯৪৭-এর আগে বা এমনকি ১৯৭২-এর আগে এবং ২০১৭-তে হিন্দু সম্পত্তির পরিমাণ যাচাই করেন, তাহলে অবাক হয়ে যাবেন বৈকি? হিন্দুরা রাজত্ব, রাজকন্যা দুটোই হারাচ্ছে। রাষ্ট্রযন্ত্র এ যাবৎ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এ বিষয়ে সহায়তা করেছে।

১৯৫০ সালে পূর্ব-পাকিস্তানে জমিদারি প্রথা বাতিল হয় (পূর্ববঙ্গ জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০)। পশ্চিম পাকিস্তানে তা হয়নি, কারণ সেখানকার জমিদাররা ছিলেন প্রায় সবাই মুসলমান। পূর্ব পাকিস্তানে হয়েছে, কারণ প্রায় সকল জমিদার ছিলেন হিন্দু। যদিও তখন বলা হয়েছিল, জমিদারদের থেকে জমি নিয়ে গরিবদের দেয়া হবে, বা অনেকে সমাজতান্ত্রিক শ্লোগগানে অভিভূত হয়েছিলেন,
মূলত: সেটি ছিল ‘হিন্দুর থেকে জমি নিয়ে মুসলমানকে দেয়া’।
তারপর এলো ১৯৬৫ সালে ‘শত্রু সম্পত্তি আইন’।
এই আইন সাধারণ হিন্দুদের সর্বস্বান্ত করে দেয় এবং এটি করে রাষ্ট্রযন্ত্র।
রাজার হস্ত করে সমস্ত হিন্দুদের ধন চুরি’।
এ জ্বালা এখনো শেষ হয়নি। এজন্যে দায়ী এ যাবৎকালের প্রতিটি সরকার।
কারণ পাকিস্তানি এই কালো আইন সবার হাত ঘুরে রয়ে গেছে।
কদিন আগে মন্ত্রীসভার এক বৈঠকে ‘স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল আইন ২০১৭’-এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এর ফলে জনস্বার্থে মন্দির, মসজিদ বা অন্য ধর্মীয় উপাসনালয়, কবর, শ্মশানের জমি বা সম্পত্তি অধিগ্রহণ করা যাবে।
এরই মধ্যে এই আইনের সফল প্রয়োগ হয়েছে মিরপুরের কাফরুলে।
সেখানে জনস্বার্থে রাস্তা প্রশস্ত করতে সার্বজনীন দুর্গা মন্দির গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ হিন্দুদের আপত্তি শুনেননি, কারণ জনস্বার্থ বলে কথা ?
ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন গুলিস্তানের ‘গোলাপ শাহের মাজার কতটা ট্রাফিক বিড়ম্বনার সৃষ্টি করে অথবা মিরপুর রোডে সোহবানবাগ মাসজিদ ? কর্তৃপক্ষ কি পারবেন ওগুলো স্থানান্তর করতে ? নাকি বীরত্ব সব হিন্দুদের ওপর ?
রমনা কালীবাড়ির কথা তুললাম না, রাষ্ট্রযন্ত্র এর পুরোটাই গিলে খেয়ে ফেলেছে।
ঢাকেশ্বরী মন্দির প্রতিষ্ঠিত ২০ একর জমির ওপর, দখলে আছে মাত্র ৬.১০ একর,
বাকি ১৩.৯০ একর বেদখল, এমন কি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত হিন্দুর জমি মেরে খেয়েছে ?
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:১৯
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×