পুরনো একটি লেখা: সালমানকে মনে পড়ে
শুক্রবার এলেই বসে থাকতাম কখন ৩.২০ বাজবে। কখন ছবি শুরু হবে। সালমান শাহ’র ছবি হবে তো? প্রতি ঈদে তো হতোই, এক দুই সপ্তাহ পরপর তার ছবি হতো বিটিভিতে। বিচার হবে, স্বপ্নের নায়ক, কেয়ামত থেকে কেয়ামত, দেনমোহর, বিক্ষোভ, চাওয়া থেকে পাওয়া, তোমাকে চাই, স্নেহ, সত্যের মৃত্যু নেই, অন্তরে অন্তরে, স্বপ্নের পৃথিবী, আনন্দ অশ্রু, প্রিয়জন, বুকের ভেতর আগুন, শুধু তুমি, মহামিলন, প্রেমপিয়াসী, সুজন সখি, মায়ের অধিকার, জীবন সংসার, এই ঘর এই সংসার, আশা ভালোবাসা, আঞ্জুমান, প্রেমযুদ্ধ প্রায় সব ছবি দেখা শেষ। তাও দেখি।
শুধু কী ছবি? তার চুলের স্টাইলও ফলো করতাম। সালমানের চিপ ছিল না। আমিও রাখতাম না। তার কপালের দুই পাশে চুল ছিল না। আমিও নিজে নিজে চেছে ফেলতাম। অদ্ভুত সব পাগলামি ছিল।
সালমানের জন্ম সিলেটে। ‘৭১ এর ১৯ সেপ্টেম্বর। মৃত্যু ৬ সেপ্টেম্বর ‘৯৬। পিবিআই বলছে ওনি সুইসাইড করেছেন। হাসিখুশি একজন মানুষ কেন এমন করবে? আরও কিছু রহস্য আছে, যাতে মনে হয় ওনাকে হত্যা করা হয়েছে। যদিও বলা হয় শাবনুরের সাথে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে একটা ঝামেলা ছিল। এছাড়া মা নীলা চৌধুরীর সাথে স্ত্রী সামিরার দ্বন্দ ছিল। ইমোশনাল সালমানের পক্ষে অঘটন ঘটানো অসম্ভব নয়।
হত্যা মামলায় সামিরা, ডন সহ অনেকেই ছিল। মূল কালপ্রিট ধরা হয় আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে, পরবর্তীতে যে সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামী।
যাহোক, সালমান নেই এটা একসময় বিশ্বাস হতো না। ওনি মারা যাওয়ার সময় আমি খুব ছোটো। কিন্তু আমার শৈশবের বিশাল একটা অংশ নিয়ে ওনি ছিলেন, এখনও আছেন।
ছবি: নেট