somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাধারন নাগরিকের অসাধারন আর্তনাদ..

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এক দুই বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে আমার টাইম লাইনে একটি ভিডিও আসে।ভিডিওটি দেখে আমি শিউরে উঠি।বিষয়বস্তু ছিলো বগুড়ার একটি পার্কে অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে গ্রফতার হওয়া তরুণ তরুণীর লাঞ্চনা ও অপমানের চুড়ান্ত ব্যাবস্থা। আমি ভিডিওটি দেখে ব্যাক্তিগত ভাবে খুবই কষ্ট পেয়েছিলাম।তবে সেদিন সে ভিডিওতে আনন্দ প্রকাশের মানুষও কম ছিলো না।

তারপর থেকেই ভাবছি কিছু একটা করা দরকার,কিছু একটা করা দরকার।কি করব,কিভাবে করব করতে করতেই দেড় দুই বছর চলে গেল।এবং বিশ্বাস করুন এই ঘটনা আমার মনটাকে সবসময়ই পীড়া দিচ্ছিল।

কিন্তু আমার কিছু করার নাই।কারন আমি এ দেশের একজন সাধারন মানুষ।কোনমতে দুটি ডালভাতের যোগার করতেই আমার দফা রফা হয়,সময় সুযোগ পেলে ব্লগে এসে নিজের দূঃখ, রাগ,অভিমান শেয়ার করে ব্লগার ভাইদের সমবেদনা পাই।দেশের প্রশাসন নীতিনির্ধারকদের কাছে আমার কথা পৌছায় না,জীবনে পৌছুবে সে সম্ভবনাও ক্ষীন।তবে আমি ব্লগে লিখতে পারতাম।জানি কোন লাভই হতো না।তবুও আমার লিখে প্রতিবাদ করা উচিৎ ছিলো।এবং আমি আজ তাইই করলাম।আমি বগুড়া পার্কে রেইড চালিয়ে তরুণ-তরুণীর (বাংলাদেশের সন্মানীত জনগন) ভিডিও ধারন করে অপমান করার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আপনারা আমাকে ক্ষমা করবেন,অনেক দেরীতে আপনাদের প্রতি সহমর্মিতা জানানোর জন্য। কিন্তু প্রশ্ন হলো আজ কেন??

কারন,আজ আবারো একটি এমন দূঃখ জনক ঘটনা ঘটেছে বরিশালে।কলেজ ফাঁকি দিয়ে আড্ডা দেবার দায়ে একজন সতের বছরের নাবালিক কলেজ ছাত্র কে পনের দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং পাঁচজন ছাত্রীকে মূচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।যাক আমাদের খুশি হওয়া উচিৎ এটা ভেবে যে পাঁচ জন ছাত্রীকে শুধুমাত্র মুচলেকাতেই রেহাই দেওয়া হয়েছে!

আমি আইনের ছাত্র নই।বাংলাদেশের আইন কানুন সম্পর্কে আমার ধারনা নেই বল্লেই চলে। আমি এতোদিন জানতাম নাবালিগ কেউ যদি অপরাধ করে তাকে দেওয়া হয় কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে।কিন্তু আজ দেখলাম একেবারে জেলেই ঢুকিয়ে দেওয়া হলো।যাক তারচে বরং আমরা এটা নিয়ে চিন্তা করি যে পাঁচ জন ছাত্রীকে শুধুমাত্র মুচলেকাতেই ছাড় দেওয়া হয়েছে।তাতে আমাদের মস্তিষ্ক জটিল বিষয় নিয়ে চিন্তা করে ক্লান্ত হওয়া থেকে রেহাই পাবে।

তবে আমার শ্রদ্ধেয় সকল ব্লগারদের বলছি,আমার এ ব্লগ অনেকেই পড়বেন আমি জানি।আপনারা কেউ যদি আইনের লোক হয়ে থাকেন অথবা বাংলাদেশের আইন সম্পর্কে ধারনা থাকে অথবা আপনার পরিচিত এমন কেউ থেকে থাকে যে বাংলাদেশের আইন সম্পর্কে ভালো ধারনা রাখে প্লিজ আমাকে কিছু কোশ্চেনের উত্তর ম্যানেজ করে দিন:

১.পার্কে বন্ধু/প্রেমিকা নিয়ে বসে থাকা, বাংলাদেশের আইনে এর অপরাধ, ধারা এবং শাস্তি কি??

২.পার্কে গার্লফ্রেন্ড/বন্ধু /প্রেমিক-প্রেমিকা যদি প্রকাশ্যে গায়ে হাত রাখে অথবা চুম্বন করে,বাংলাদেশের আইনে অপরাধ,ধারা এবং শাস্তি কি??

৩.স্কুল/কলেজ ফাঁকি দিয়ে বন্ধুদের নিয়ে পার্কে বসে আড্ডা দিলে,বাংলাদেশের আইনে অপরাধ,ধারা এবং শাস্তি কি??

৪.অসামাজিক কার্যকলাপের বিবরন,ধারা এবং শাস্তি কি??

আমি শিওর বাংলাদেশের ৯৫ শতাংশ মানুষের দেশের আইন নিয়ে কোন ধারনা নেই।কোথায় কখন কি কারনে আপনি বাংলাদেশের আইনে আটক হতে পারেন অথবা আপনার বিরুদ্ধে জরিমানা /মুচলেকা/কারাদণ্ড হতে পারে সে ধারনা সরকার থেকে দেওয়া হয় নাই।

আইন বাস্তবায়নের আগে সাধারন জনগনকে আইন সম্বন্ধে ধারনা দিন।লিফলেট বিলি করুন।পোস্টার লাগান।নির্ধারিত স্থানে বিলবোর্ড লাগানোর ব্যাবস্থা করুন।

আর অতিদ্রুত কলেজ ফাঁকি দিয়ে আড্ডার দায়ে জেল হাজতে প্রেরণ করা ছাত্র কে মুক্তি দিন।

স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটি ফাঁকি দিয়ে ছেলে মেয়েরা আড্ডা দিবে এটা আমার কাছে স্বাভাবিক মনে হয়।এজন্য স্কুল কলেজের নিজস্ব আইন আছে, ডাইরেক্ট জেলহাজতে প্রেরণ করা আমার মানতে কষ্ট হয়।তবে আমার আবেগ দিয়ে দেশ চলবে না।যদি বাংলাদেশের আইনে এমন ধারা থেকে থাকে তবে আপনাদের জানাই সাধুবাদ।

যদি ভবিষ্যতে কোন একসময় দেখেন এ দেশে মানুষের মনে দেশপ্রেম কমে গেছে,তখন অবাক হবেন না দয়া করে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:১৫
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অপরূপের সাথে হলো দেখা

লিখেছেন রোকসানা লেইস, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৫



আট এপ্রিলের পর দশ মে আরো একটা প্রাকৃতিক আইকন বিষয় ঘটে গেলো আমার জীবনে এবছর। এমন দারুণ একটা বিষয়ের সাক্ষী হয়ে যাবো ঘরে বসে থেকে ভেবেছি অনেকবার। কিন্তু স্বপ্ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×