('নূরে সেরহিন্দ' গ্রন্থ অবলম্বনে)
বাদশাহ জালালুদ্দিন আকবর মাত্র তের বৎসর বয়সে সিংহাসন আরোহন করেন। তাহার পিতা হুমায়ুন মৃত্যুর পূর্বে বৈরাম খাঁকে তাহার অভিভাবক নিযুক্ত করিয়া যান। কিন্তু বৈরাম খাঁকে বেশীদিন অভিভাবকত্ব করিতে হয় নাই। অল্পদিন পরেই আকবর রাজ্যের সর্বময় মতা নিজ হাতে গ্রহণ করেন।তাহার জীবনের প্রথম দিককার ঘটনাবলী হইতে প্রতীয়মান হয় যে, তিনি প্রথম জীবনে বড়ই ধর্মভীরূ ছিলেন। ঘরে-বাহিরে সর্বত্র তিনি জামাতের সহিত নামাজ আদায় করিতেন। তিনি পাঁচজন আলেমকে ইমামতি করিবার কাজে নিযুক্ত করিয়াছিলেন। সফরের সময় নামাজের জন্য একটি খাছ তাঁবুর ব্যবস্থা করা হইত । তিনি উহাতে জামাতের সহিত নামাজ আদায় করিতেন। আলেম সমাজের প্রতি ভক্তি ছিল অগাধ। তাঁহার রাজত্বের প্রথম দিকে ছদরে জাহান ছিলেন- আবদুন নবী। বাদশাহ্ কখনো কখনো নিজেই তাহার বাসভবনে হাদিস শুনিবার জন্য যাইতেন। তিনি তাঁহার সামনে থাকা অবস্থায় জুতাও পরিধান করিতেন না।
কোন কোন সময় তিনি পায়ে হাঁটিয়া গরীবে নেওয়াজ খাজা মঈনুউ্িদ্দন চিশতি (রঃ) এর রওজা মোকারক জেয়ারত করিতে যাইতেন।তৎকালীন বিখ্যাত বুজর্গ শেখ সেলিম চিশতি (রঃ) এর প্রতিবেশী হিসাবে বসবাস করিবার জন্য তিনি ফতেহপুরে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন। ফহেতপুরে তিনি ‘অনুপ তালাও’ নামে একটি সরোবর খনন করান এবং উহার চারিদিকে কয়েকটি ইমারত নির্মান করিয়া সেইগুলির নাম ‘ইবাদতখানা’ রাখেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০০৮ সকাল ১০:১৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



