somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আকবরনামা-২

১০ ই মে, ২০০৮ বিকাল ৩:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জুমআর দিনে এইসব ইবাদত খানায় আলেমগনের মধ্যে ধর্মীয় বিষয়ে আলোচনা ও বিতর্ক অনুষ্ঠিত হইত । আলেম গণের খেদমরে ভার বাদশাহ্ স্বহস্তে গ্রহণ করিয়াছিলেন। ফলে অর্থের লোভে বহু আলেম এই মহফিলে যোগদান করিতেন। তাহারা প্রথ্যেকেই বাদশাহর প্রিয়পাত্র হইবার জন সর্বদা চেষ্টা করিতেন । তাই একজন আরেকজনক হিংসা করিতেন। ফলে তাহাদের মধ্যে বিবাদবিসম্বাদ লাগিয়াই াকিত। নির্বিবাদে একজন আরেকজনকে ‘কাফের’ ফতোয়া দিয়া তাঁহারা নিজেদের জ্ঞান বুদ্ধি প্রদর্শনের প্রয়াস পাইতেন। একজন কোন কিছু ‘হালাল’ ফতোয়া দিলে অন্যজনের প্রধান কাজই হইত যেভাবেই হোক উহাকে ‘হারাম’ প্রতিপন্ন করা।

মোল্লা আবদুল্লাহ সোলতানপুরী ‘মখদুমুল মুলক’ খেতাবে ভূষিত হইয়াছিলেন। তিনি তাঁহার উপর হজ ফরজ নয় বলিয়া ফতোয়া দিয়াছিলেন। বাহানা করিয়া তিনি যাকাত প্রদানও স্থগিত করেন। মৃত্যুর পর তাঁহার লাহোরের বাসভবনে বহু পরিমান লুক্কায়িত ধনরত্ন পাওয়া যায়। গোরস্থান হইতেও স্বর্ণভর্তি কয়েকটি সিন্দুক উদ্ধার করা হয়। এইগুলি তিনি মৃত ব্যক্তিদের বাহানায় দাফন করাইয়াছিলেন।

হজরত আবদুল কুদ্দুস গাংগুহী (রঃ) –এর পৌত্র মাওলানা আবদুন্ নবী ছিলেন শাহী দরবারের একজন গণ্যমাণ্য ব্যক্তি। বাদশাহ তাঁহাকে খুবই সম্মান করিতেন। উল্লিখিত ‘মখদুমুল মূলক’ ও আবদুন নবীর মধ্যে চরম মতানৈক্য ছিল। উভয়ে উভয়ের প্রতি ফতোয়া দিতেন য়ে, তাঁহাদের পিছণে নামাজ পড়া দুরস্ত নয়।

বাদশাহ আলেমদেরকে এতো বেশী ভক্তি করিতেন যে, তাঁহাদেরকে তিনি ইমাম রাজী (রঃ) ও ইমাম গাজ্জালী (রঃ) হইতেও বড় ধারণা করিতেন। কিন্তু তাহাদের এই সমস্ত জঘণ্য নীচ কার্যকলাপ লক্ষ্য করিয়া ধর্ম বিষয়ে তিনি সন্দিহান হইয়া পড়েন। তাহার বিশ্বাসের মূলে ভাঙ্গন ধরে।ক্রমে ক্রমে তিনি পূর্ববর্তী ইমামগণকেও ইহাদের মতো ভাবিতে শুরু করেন এবং ধর্ম বিষয়ে আস্থা হারাইয়া ফেলেন।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×