জুমআর দিনে এইসব ইবাদত খানায় আলেমগনের মধ্যে ধর্মীয় বিষয়ে আলোচনা ও বিতর্ক অনুষ্ঠিত হইত । আলেম গণের খেদমরে ভার বাদশাহ্ স্বহস্তে গ্রহণ করিয়াছিলেন। ফলে অর্থের লোভে বহু আলেম এই মহফিলে যোগদান করিতেন। তাহারা প্রথ্যেকেই বাদশাহর প্রিয়পাত্র হইবার জন সর্বদা চেষ্টা করিতেন । তাই একজন আরেকজনক হিংসা করিতেন। ফলে তাহাদের মধ্যে বিবাদবিসম্বাদ লাগিয়াই াকিত। নির্বিবাদে একজন আরেকজনকে ‘কাফের’ ফতোয়া দিয়া তাঁহারা নিজেদের জ্ঞান বুদ্ধি প্রদর্শনের প্রয়াস পাইতেন। একজন কোন কিছু ‘হালাল’ ফতোয়া দিলে অন্যজনের প্রধান কাজই হইত যেভাবেই হোক উহাকে ‘হারাম’ প্রতিপন্ন করা।
মোল্লা আবদুল্লাহ সোলতানপুরী ‘মখদুমুল মুলক’ খেতাবে ভূষিত হইয়াছিলেন। তিনি তাঁহার উপর হজ ফরজ নয় বলিয়া ফতোয়া দিয়াছিলেন। বাহানা করিয়া তিনি যাকাত প্রদানও স্থগিত করেন। মৃত্যুর পর তাঁহার লাহোরের বাসভবনে বহু পরিমান লুক্কায়িত ধনরত্ন পাওয়া যায়। গোরস্থান হইতেও স্বর্ণভর্তি কয়েকটি সিন্দুক উদ্ধার করা হয়। এইগুলি তিনি মৃত ব্যক্তিদের বাহানায় দাফন করাইয়াছিলেন।
হজরত আবদুল কুদ্দুস গাংগুহী (রঃ) –এর পৌত্র মাওলানা আবদুন্ নবী ছিলেন শাহী দরবারের একজন গণ্যমাণ্য ব্যক্তি। বাদশাহ তাঁহাকে খুবই সম্মান করিতেন। উল্লিখিত ‘মখদুমুল মূলক’ ও আবদুন নবীর মধ্যে চরম মতানৈক্য ছিল। উভয়ে উভয়ের প্রতি ফতোয়া দিতেন য়ে, তাঁহাদের পিছণে নামাজ পড়া দুরস্ত নয়।
বাদশাহ আলেমদেরকে এতো বেশী ভক্তি করিতেন যে, তাঁহাদেরকে তিনি ইমাম রাজী (রঃ) ও ইমাম গাজ্জালী (রঃ) হইতেও বড় ধারণা করিতেন। কিন্তু তাহাদের এই সমস্ত জঘণ্য নীচ কার্যকলাপ লক্ষ্য করিয়া ধর্ম বিষয়ে তিনি সন্দিহান হইয়া পড়েন। তাহার বিশ্বাসের মূলে ভাঙ্গন ধরে।ক্রমে ক্রমে তিনি পূর্ববর্তী ইমামগণকেও ইহাদের মতো ভাবিতে শুরু করেন এবং ধর্ম বিষয়ে আস্থা হারাইয়া ফেলেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



