
রেল লাইন ধরে পায়ে হেটে ঢাকার কমলাপুর ষ্টেশন থেকে চিটাগাং পর্যন্ত যাওয়ার পরিকল্পনার কথা অনেকেই জানেন । ইতিমধ্যেই আমরা হাটা শুরু করে দিয়েছি,,,,,,,,
আমাদের হাটার ধরণঃ- সারাদিন রিলাক্স মুডে রেল লাইন ধরে হাটব, সন্ধ্যায় গাড়িতে করে বাড়িতে ফিরে আসব । এই সপ্তায় যেখানে আমার হাটা শেষ হবে আগামী সপ্তায় সেখান থেকে হাটা শুরু করবো এবং আবারো সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে আসব । এভাবেই পর্যায়ক্রমে আমি চিটাগাংএর দিকে অগ্রসর হব এবং যতদিন না আমি চিটাগাং পৌছতে পারি প্রতি সপ্তাহে আমার হাটা চলতেই থাকবে । বিশেষ সমস্যা না হলে কোন শনিবারই আমি হাটা বন্ধ করবো না । এ বিষয়ে আমার আগের পোষ্ট Click This Link

পূবাইলে দুপুরের খাওয়া দাওয়া সেরে আবারো হাটতে থাকি.......

পূবাইল এলকাটা দেখতে খুবই সুন্দর

আমাদেরকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য রাস্তার পাশে ফুটে ছিল এমন অজস্র ফুল

সামনে এমন দীর্ঘ পথ আমাদের সামনে ।

শেষ বিকেলের সূর্যের আলো লেগে রেল লাইনে সৃষ্টি হয়েছিল অপরূপ সৌন্দর্য্য !

অরক্ষিত রেল ক্রসিং দিয়ে পার হচ্ছে বিপদজনক গাড়ি, এমন অনেকগুলো রেল ক্রসিং আমাদের চখে পড়েছে ।

শুধুই হেটে চলা.............

পাশের খালে রেলের খুটিতে বাঁধা দুটি ডিঙ্গি নৌকা ।

দিনের বেলা আকাশে বিশাল গোলাকার চাঁদ


সন্ধ্যা হয়ে গেল, পানির বোতল হয়ে গেল খালি..........

আকাশে ছিল পূর্ণিমার চাঁদ, তাই আরো একটু হাটলাম, পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় হাটতে কিন্তু বেশ লাগছিল, যদিও সারাদিন হেটে আমরা যথেষ্ট ক্লান্ত ছিলাম ।

এক সময় আমরা পৌছে গেলাম পরবর্তী ষ্টেশন আড়িখোলায় ।
পরবর্তী পর্ব হবে, আড়িখোলা ষ্টেশন থেকে ঘোড়াশাল ।
বিঃ দ্রঃ ঈদ হয়েছে একশনিবার, তার পরের শনিবার সেন্টমার্টিন এবং পরের শনিবার বগুড়ার মহাস্থান গড়ে যাওয়ায় পর পর তিন শনিবার আমার হাটা বন্ধ ছিল । সামনের শনিবার থেকে আবারো হাটাশুরু করবো ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


