
রেল লাইন ধরে পায়ে হেটে ঢাকার কমলাপুর ষ্টেশন থেকে চিটাগাং পর্যন্ত যাওয়ার পরিকল্পনার কথা অনেকেই জানেন । ইতিমধ্যেই আমরা হাটা শুরু করে দিয়েছি,,,,,,,, মাঝখানে অনেকদিন বন্ধের পর আবারো শুরু করলাম । ঢাকা থেকে চিচাগাং যেতে অনেকগুলো ছোট ষ্টেশন আছে যেগুলোর নাম এবং সংখ্যা অনেকেই জানেন না, আমি ও জানি না । আমি এক ষ্টেষণ থেকে পরবর্তী ষ্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানগুলোর ছবি দিব এবং প্রতি ষ্টেষণের জন্য একটা করে পোষ্ট । এতে করে ষ্টেষণের নাম এবং সংখ্যাটা ও হিসেব হয়ে যাবে ।
আমাদের হাটার ধরণঃ- সারাদিন রিলাক্স মুডে রেল লাইন ধরে হাটব, সন্ধ্যায় গাড়িতে করে বাড়িতে ফিরে আসব । এই সপ্তায় যেখানে আমার হাটা শেষ হবে আগামী সপ্তায় সেখান থেকে হাটা শুরু করবো এবং আবারো সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে আসব । এভাবেই পর্যায়ক্রমে আমি চিটাগাংএর দিকে অগ্রসর হব এবং যতদিন না আমি চিটাগাং পৌছতে পারি প্রতি সপ্তাহে আমার হাটা চলতেই থাকবে । বিশেষ সমস্যা না হলে কোন সপ্তাহ'ই আমি হাটা বন্ধ করবো না ।
ষ্টেশনের অবস্থানঃ কিশোরগঞ্জ জেলার একটি উপজেলা ভৈরব, ৬৫তম জেলা হওয়ার ও সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে ভৈরবের ।

ভৈরব ষ্টেশন পার হওয়ার একটু পরই বাঁকের পাশে ভৈরব ব্রীজ ।

ব্রীজের আগে এই নোটিশটা পড়ে কি একটা ভাবছিলাম ।

আমাদের ভাবনার অবসান ঘটাতেই জেন পাশের পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ছুটে এলো এক পুলিশ । কিছুটা হুমকী ধামকি অতপরঃ আমাদের পরিকল্পনা জেনে ব্রীজের নিচ দিয়ে যাওয়ার পরামর্শ সহ শুভকামনা জানিয়ে বিদায় দেয় ।

একটা বাস-ট্রাক চলার ব্রীজ ও অন্যটা ট্রেনব্রীজ, পাশাপাশি দেখতে কিন্তু বেশ লাগে, প্রথম ছবিটাই এখানেই তোলা ।

প্রচুর পর্যটক আসে বলে এখানে ভাসমান দোকানপাট ও আছে ।


আছে নৌ বিহারের ও ব্যবস্থা.....

শেষ পর্যন্ত আমরা রেল ব্রীজের বদলে বাস ব্রীজ দিয়া হেটে পার হই ।

মেঘনা নদীতে মাছ ধরারত জেলে, ব্রীজের উপর থেকে তোলা ।


মেঘনা ননদীতে একটা দ্বীপ

এক সময় পৌছে যাই আশুগঞ্জ......।

আগের পর্বঃ ঢাকা টু চিটাগাং - ১৭ ( দৌলতকান্দি )
পরবর্তী পর্ব হবে, ঢাকা টু চিটাগাং - ১৯ ( আশুগঞ্জ )

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


