
খাগড়াছড়ি শহর থেকে ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে মাটিরাঙ্গা উপজেলার আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে রয়েছে একটি রহস্যময় গুহা। স্থানীয়রা একে বলে মাতাই হাকড় বা দেবতার গুহা। তবে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে অবস্থিত বলে সাধারণত একে আলুটিলা গুহা বলেই ঢাকা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় খাগড়াছড়িতে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে এখানকার জনগণ এ পর্বত থেকেই বুনো আলু সংগ্রহ করে তা খেয়ে বেঁচে থাকতো। তারপর থেকে এই পর্বতটি আলুটিলা নামেই পরিচিতি লাভ করে বলে কথিত আছে।
আলুটিলা খাগড়াছড়ি জেলার সবচেয়ে উঁচু পর্বত। নামে এটি টিলা হলেও মূলত এটি একটি পর্বতশ্রেণি। আলুটিলার আগের নাম ছিল আরবারী পর্বত। এর সর্বোচ্চ উচ্চতা সমুদ্র সমতল থেকে ৩০০০ হাজার ফুট। এখান থেকে খাগড়াছড়ী শহরের বেশ কিছুটা অংশ দেখা যায়। এই গুহাটি খুবই অন্ধকার ও শীতল। কোন প্রকার সূর্যের আলো প্রবেশ করে না বলে মশাল নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে হয়। সুড়ঙ্গের তলদেশ পিচ্ছিল এবং পাথুরে ও এর তলদেশে একটি ঝর্ণা প্রবাহমান। গুহাটি দেখতে অনেকটা ভূ-গর্ভস্থ টানেলের মত যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৫০ ফুট। গুহাটির এপাশ দিয়ে ঢুকে ওপাশ দিয়ে বের হতে আনুমানিক ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় লাগে। গুহাটির উচ্চতা মাঝে মাঝে খুব কম হওয়ায় নতজানু হয়ে হেটে যেতে হয়। তো আসুন ঢুকে পড়ি এই রোমাঞ্চকর দেবতার গুহায়।

(২) খাগড়াছড়ি শহর থেকে এমন চমৎকার পাহাড়ি পথে চান্দের গাড়িতে করে ৭ কিলোমিটার দূরের আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়াটাও কম রোমাঞ্চকর নয়।

(৩) আলুটিলা পর্যটনের প্রধান ফটক।

(৪) মুল ফটকের দুই পাশে দুটি শতবর্ষী বটবৃক্ষ আপনাকে স্বাগত জানাবে, তবে বাম পাশের গাছটা দেখতে সত্যিই বেশ চমৎকার!

(৫) বট গাছের পাকা বেদীর একটা লেখনী।

(৬) প্রধান ফটক পার হয়ে এমন বেশ কিছুটা ঢালু পথ ধরে নেমে যেতে হবে গুহার দিকে।

(৭) যাওয়ার পথে একটা গাছে লাল সবুজ এগুলো কি ফল ধরে আছে চিনলাম না।

(৮) অন্ধকার গুহায় ঢোকার জন্য এখান থেকে ১০ টাকা করে মশাল নিতে হয়।

(৯) প্রায় ৩৫০ ধাপ পাকা সিড়ি বেয়ে নামলে পাওয়া যাবে দেবতার গুহায় প্রবেশ পথ।

(১০/১১) এবার মাশল জ্বালিয়ে ঢুকে পড়ার পালা।


(১২) কোথাও গুহাটা বেশ পরিপাটি, যেন কোন দক্ষ কারিগরের নিপুন হাতে তৈরি।

(১৩/১৪) কোথাও পথের পরতে পরতে বিছিয়ে আছে এবরো থেবরো পাথর, একটু অন্যমনস্ক হলেই হোচট খেতে হয়। আর নিচ দিয়ে বয়ে চলেছে ক্ষীণ জলধারা।


(১৫/১৬) কোথাও বা ছাদ এতটাই নিচু যে, হামাগুড়ি দিয়ে এগোতে হয়।


(১৭) গুহার ভেজা ছাদ দিয়ে চুইয়ে চুইয়ে পড়ছে ফোটা ফোটা পানি।

(১৮) গুহার শেষ মুখে সুর্য্যি মামা আমাদের যেন হাত ধরে বের করার জন্য দাঁড়িয়ে।

(১৯) উপর থেকে গুহা থেকে বের হওয়ার পথ দেখতে যেমন।

(২০) গুহা দেখা শেষ, আবার সেই ধাপ বেয়ে উপরে উঠে যাওয়ার পালা।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




