somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডাঃ জাকির নায়েক কার এজেন্ট? ইহুদী- খ্রিষ্টান, নাকি মুসলমানদের। (পুরোটা পড়ার অনুরোধ থাকলো)

২০ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ডাঃ জাকির নায়েক বর্তমান সময়ের একজন জনপ্রিয় বক্তা আবার তিনি একই সাথে এই ভারতীয় উপমহাদেশের অনেক আলেমের কাছে সমালোচিতও বটে। কেউ কেউ তাঁকে ইহুদী খ্রিষ্টানের এজেন্ট বলে থাকেন। আর নাস্তিকদের কাছে তিনি জোকার নায়েক বলে পরিচিত।

আসলেই কি তাই? আমার মনে হয় কিছু বিষয় ক্লিয়ার করলে ভুল বুঝাবুঝি অনেক কমে যাবে।
জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগগুলো হলোঃ

১) ডাঃ জাকির নায়েক একজন প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত। পেশাগত জীবনে তিনি একজন
ডাক্তার। এবং জীবনে মাদ্রাসায় পড়েন নি। উনার কুনো স্বীকৃত উস্তাদ নেই।
২) সাধারনত স্যুট টাই পড়েন
৩) নির্দিষ্ট কুনো মাজহাবের অনুসরন করেন না।
৪) তিনি কোন আলেম নন।
৫) তিনি ভুল মাসায়ালা দেন।
৬) উনার আরবী উচ্চারন সঠিক নয়।
৭) তিনি টেলিভিশনের মাধ্যমে ইসলাম প্রচার করেন।
৮) তার এখানে পর্দা বজায় রাখা হয় না।
৯) তিনি অন্য ধর্মের ধর্ম গ্রন্থ থেকে রেফারেন্স দেন।
১০) তাঁকে ইহুদী খ্রিস্টানদের এজেন্ট বলার অন্যতম কারন হিসেবে বলা হয় তিনি
ভারতের মুম্বাইয়ের মতো জায়গায় কিভাবে পিস-টিভি পরিচালনা করছেন? যেটা
অসম্ভব!
১১) তিনি নাকি ইসলাম কে ছোট করেছেন। (নায়ুযুবিল্লাহ)
১২) তিনি নাকি বলেছেন কোরআনে ভুল আছে (নায়যুবিল্লাহ)। আল্লাহর কসম করে বলছি, এই প্রমান যদি কেউ আমাকে দেখাতে পারে সেদিন থেকে আমিও জাকির নায়েক কে আল্লাহর কারনে অপছন্দ করা শুরু করে দেবো।

এবার যুক্তি দিয়ে খন্ডন করি উনার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ বা অপপ্রচার প্রচলিত, সেগুলো কতটুকু বাস্তবিক বা যুক্তিসম্মত। মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই তিনি যেন আমার জ্ঞান বাড়িয়ে দেন আর আমি যদি ভুল পথে থাকি তিনি যেনো মেহেরবানী করে আমাকে সঠিক পথে নিয়ে আসেন এবং মুমিন না বানিয়ে মৃত্যু না দেন । আমিন।

প্রথমতঃ যে জিনিসটা বলা উচিত তা হলো তিনি একেবারেই সাধারন মানুষ। তার প্রতিনিয়ত ভুল হচ্ছে। তিনি কোন ওলী আওলিয়া বা আলেম নন। তার কথা শুনার বাধ্যবাধকতা কারো নেই। তিনিও অসংখ্যবার বলেছেন তিনি সকল ধর্মের একজন ছাত্র। ডাক্তারী বিষয়ে উনি যা বলবেন সেটা গ্রহনযোগ্য হতে পারে কিন্তু ধর্মীয় অবশ্যপালনীয় বিষয় গুলো যাচাই করে নিতে।
তিনি আল-কোরানের হাফিজ কিংবা ক্বারিও নন, সেক্ষেত্রে তাঁর আরবি হরফ উচ্চারন যে সঠিক যথাযথ হবে এমন তো নয়। তিনি সেখানে শুধুমাত্র আরবি আয়াত quote করেন। তিনি ত সেই আয়াত কাউকে শিক্ষা দিচ্ছেন না, শুধুমাত্র রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ করছেন। তাছাড়া আমি শুনেছি তিনি তোতলা এটাও এক কারন হতে পারে।

দ্বিতীয়তঃ উনাকে যারা অপছন্দ করে বা ঘৃণা করে (বিশেষ করে এই উপমহাদেশে) তাদের বেশিরভাগ মানুষই সারা জীবনে একবারও উনার লেকচার নিজ কানে শুনেনি বা দেখেনি। কেবলমাত্র হুজুর বা আমিরের কথাকে তাকলিদ করে উনাকে ভালোবাসেনা। বিপরীতদিকে যারা উনাকে পছন্দ করে তারা সবাই কারো কথা শুনে তাঁকে পছন্দ করে না বরং নিজ কানে এবং স্বচক্ষে উনার লেকচার শুনে উনাকে পছন্দ করে। এটাই হচ্ছে উনার আল্লাহর দেয়া মহা গুণ।

তৃতীয়তঃ এখানে বলে রাখা দরকার, তিনি ধর্মীয়ভাবে পালনীয় বিষয় নিয়ে সাধারণত বিতর্ক করেন না। এমনকি কখনো কুনো আলেমের সাথে বিতর্ক করেছেন বলে আমার জানা নেই। যখন প্রশ্নোত্তর পর্বে কেউ কোন বিষয়ে জিজ্ঞেস করে তখন তিনি হাদিস এবং রেফারেন্স দেন এবং বলেন এই ইমামের এই মত ঐ ইমামের ঐ মত। এটা তার নিজস্ব কোন অভিমত নয়। তার বিতর্কের মূল বিষয় হচ্ছে Religion Vs Religion. উনি বোঝাতে চান আগে একটা বিষয়ে একমত হই আল্লাহ এক। তার কোন শরিক নেই। বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে এটাই রেফারেন্স দেন। হিন্দুকে দেন বেদ থেকে, খ্রিষ্টানকে দেন বাইবেল থেকে আর তালমুদ থেকে ইহুদিদের। কারন কোরআন যেমন মুসলমানের কাছে সবচেয়ে সম্মানিত গ্রন্থ, তেমনি হিন্দুদের কাছে বেদ, খ্রিস্টানদের কাছে বাইবেল। তিনি যদি তাদের কাছে তাদের সবচেয়ে সম্মানিত কিতাব থেকে রেফারেন্স দেন সেটা বেশি গ্রহনযোগ্য হবে নাকি আল-কোরান থেকে দিলে বেশি গ্রহনযোগ্য হবে? এটা তার দাওয়াতের কৌশল মাত্র। কারন তাবলিগ বা দাওয়াত দেয়া কারো বাপের মৌরসী সম্পত্তি নয়। এটা হচ্ছে প্রত্যেকের জন্য বাধ্যতামুলক। ফরজে আইন। প্রত্যেক মুসলমান নায়েবে রাসুল (সাঃ) । প্রত্যেককেই এজন্য জবাবদিহী করতে হবে তোমাকে যে জ্ঞান দান করা হয়েছে তানুযায়ী কতটুকু আমল করেছো। উনি উনার কাজ করে যাচ্ছেন।
একটা কথা, উনি যদি এভাবে দাওয়াত না দিতেন বা অকাট্য যুক্তি দ্বারা লেকচার না দিতেন তাহলে তিনি একজন খুব ভালো মুসলিম থাকতেন। কারন আমরা দেখি অনেক খেলোয়ার আছেন যারা একনিষ্ঠভাবে ধর্ম পালন করেন, অনেক ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার আছেন, বিজ্ঞানী আছেন, প্রফেসর আছেন যারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে ধর্ম পালন করছেন এবং কখনো তাদের সাধ্যানুযায়ী দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছেন এতে কুনো সমস্যাই হচ্ছে না। কেবল একজন মানুষ তাঁর কথাগুলো টিভি মাধ্যম দ্বারা সারা বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন এটাই তাঁর দোষ হয়ে গেলো? নাকি যারা ইসলাম ধর্মকে তাদের নিজেদের উত্তরাধিকার (আপন পিতার) সম্পত্তি মনে করেন, তাদের ব্যবসা মার খেয়ে যাবে এই আশঙ্কায় বিরোধিতা করেন? আপনার কাছে যদি উনার কথা গ্রহনযোগ্য বলে মনে না হয় তবে আপনি তাঁর চেয়ে উন্নতভাবে মানুষকে বুজান। কে মানা করেছে? মানুষ তখন তাঁকে বাদ দিয়ে আপনাকেই বেশী শুনবে। এটাই স্বাভাবিক। তা না করে, যুক্তি বা বিচারের ধার না ধরে টিভি হারাম বলে দিলেন, তাঁর লেকচার শুনা নিষেধ করে দিলেন। কতদিন এরকম ধোঁকা দেবেন? খোঁজ নিয়ে দেখুন আপনাদের বিরোধিতার পরেও উনাকে পছন্দ করা মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে নাকি কমছে? উনার প্রকাশনা থেকে পাবলিশ করা বই বিক্রি কি কমছে নাকি বাড়তেছে? তারপর নিজেদের প্রশ্ন করুন আসলেই কি আপনারা ঠিক পথে আছেন নাকি বিভ্রান্ত হচ্ছেন? আমি জানি এবং বিশ্বাস করি জাকির নায়েক কে অপছন্দ করেন এমন অনেক আলেম তাঁরা আসলেই আল্লাহর প্রিয় বান্দা। তাদের নিয়ত হচ্ছে শুদ্ধ। তাঁরা আল্লাহর জন্যই জাকির নায়েক কে অপছন্দ করছেন। কিন্তু আমি মনে করি তাঁরা কারো প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হয়ে এরকম করছেন। ইতিহাসের অনেকক্ষেত্রেই এটা প্রমানিত সত্য। যারা সত্যিকার হাক্কানী আলেম, তাঁরা যদি একবার উনার কথা গুলো Uncut শুনতে পারতেন তবে আমি শিওর তাদের বিভ্রান্তি অনেকাংশে কমে যেতো। কিন্তু উক্ত আলেমগনের আশেপাশে কিছু সুবিধাবাদী দুনিয়াদার আলেম আছে যারা নিজেদের স্বার্থে উনাদের প্রতিনিয়ত জাকির নায়েক সম্পর্কে ভুল Information দিচ্ছে।

চতুর্থতঃ আসি এবার উনার স্যুট আর টাইয়ের বিষয়ে, এব্যাপারে উনি নিজেও গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন এবং বলেছেন যদি কেউ প্রমান দেখাতে পারে যে এটা খ্রিস্টানদের পোষাক তবে তিনি তা বাদ দিয়ে দেবেন। তিনি বলেছেন neck টাই হচ্ছে খ্রিস্টানদের পোষাক কিন্তু প্রচলিত যে টাই সেটা তাদের ধর্মীয় কোন প্রতীক প্রকাশ করে না। পৈতে হচ্ছে হিন্দু ব্রাম্মনগনের পোষাক এজন্য এটি মুসলমানদের জন্য হারাম। কিন্তু টাই খ্রিষ্টানদের যাজকগনের পোষাক নয়, এটা প্রাশ্চাত্যের সার্বজনীন পোষাক। শুধু মুখে বললে তো হবে না, আপনাকে উপযুক্ত প্রমানাদি দিতে হবে। দীর্ঘদিনের প্রচলিত কথাকে base করে বলে দিলেন এটা ক্রুশের মতো দেখায় এজন্য এটা হারাম। কি অদ্ভুত কথা! আচ্ছা উনি তো শুধু মুসলিমদের কাছে দাওয়াহ দিচ্ছেন না। বরং বিশ্বের সকল ধর্মের মানুষের কাছে দাওয়াহ দিচ্ছেন সেক্ষেত্রে যদি তিনি প্রচলিত যেগুলোকে বলা হয় ইসলামী পোষাক (পাঞ্জাবি, আচকান ইত্যাদি) সেগুলো পরিধান করে যদি লেকচার দিতেন তবে কি হতো? প্রথমেই তাঁকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিতো কিংবা একপেশে বলে দিতো। তিনি যতই বুঝাতে চাইতেন বা যুক্তি উপস্থাপন করতেন তাঁকে মৌলবাদী বলে চালিয়ে দিত। অন্য সকল ধর্মের মানুষ উনার লেকচার শুনতে আসত না। এজন্য তিনি এই পোষাক পড়েন (এটা আমার ধারনা)।

পঞ্চমতঃ বলা হয় উনার অনুষ্ঠানে পর্দা মানা হয় না। যারা বলেন আমি নিশ্চিত উনারা নিয়মিত উনার অনুষ্ঠান দেখেন না। কিংবা দু একটি অনুষ্ঠান দেখেই মন্তব্য করে ফেলেন। উনার অনুষ্ঠানে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য থাকে পৃথক বসার ব্যবস্থা। আর পর্দা হচ্ছে মুসলমানের উপর ফরজ ভিন্ন ধরমালম্বীদের কাছে তা নয়। সুতরাং অন্য ধর্মের বা নাস্তিকদের পর্দা মেনে আসার কথা বললে কি তাঁরা সেই অনুষ্ঠানে আসবে?

ষষ্ঠতঃ উনাকে বলা হয় লা-মাযহাবী। মানে কুনো নির্দিষ্ট মাযহাবের অনুসারী নন। আমার মনে হয় এটার উত্তর উনিই ভালো দিতে পারবেন। আমি এসংক্রান্ত উনার মতামত পাইনি। তবে আমি শুনেছি উনি সম্ভবত ইমাম মালেক (রাঃ) কিংবা ইমাম ইবনে হাম্বল (রাঃ) এর অনেক ক্ষেত্রে ফলো করেন। (এটা আমি শিওর না)। ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাঃ) এবং আলবানি (রাঃ)’র ও প্রচ্ছন্ন অনুসরন রয়েছে বলে আমার ধারনা। তিনি মাযহাব বিরুধী এধরনের কোন কথা তাঁর কোনও বক্তব্যেও পাইনি এবং কখনো কোন ইমাম সম্পর্কে খারাপ কথা বলেন নি। তবে কেনো তাঁর প্রতি এতো অপ-প্রচার?

সপ্তমতঃ তিনি কিভাবে ভারতের মতো হিন্দুপ্রধান দেশে এরকম প্রচারনা চালান? কতটুকু হাস্যকর কথা! ভারতে ৩৫ কোটির উপরে মুসলমান আছে। অসংখ্য মসজিদ মাদ্রাসা আছে। তাবলিগ জামায়াত কাজ করছে, জগতশ্রেষ্ট্র দেউবন্দ মাদ্রাসা ভারতেই অবস্থিত। সেগুলা যদি চলতে পারে তবে সেদেশের আইন মেনে কেনো একটি টিভি চ্যানেল কেনো চলতে পারবে না? আমি নিজ কানে উনার লেকচারে শুনেছি এই টিভি চ্যানেল চালাতে কত রকমের প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হচ্ছে তাঁকে। যত সহজে চলছে মনে হচ্ছে তত সহজ নয় ব্যপারটা।

অষ্টমতঃ তিনি ইসলামকে নাকি ছোট করেছেন? কিভাবে ছোট করেছেন কখন করেছেন ? এর সদুত্তর কখনো কারো কাছেই পাইনি? বরং দিনের পর দিন নাস্তিকদের প্রশ্নের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিচ্ছেন। যারা বলতে চায় আল-কোরানের সাথে বিজ্ঞান সামঞ্জস্যহীন, তাদেরকে অকাট্য যুক্তি দ্বারা তিনি পরাজিত করেন।
আমার বলতে ইচ্ছা করে, যারা উনার বিরোধিতা করেন তাঁরা কতজন সাংবাদিক, ভিন্নধরমালম্বীদের, নাস্তিকদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন? আদৌ কি কখনো দিয়েছেন? সারাটা জীবন নিজের ছাত্রদের, ওয়াজ কিংবা জলসায় নিজের অনুকুল পরিবেশে কথা বলে এসেছেন। আর যারা প্রতিনিয়ত কষ্ট করে দ্বীনের জন্য নিজকে উৎসর্গ করেছেন, জীবনের প্রারম্ভে দ্বীনশিক্ষা না করেও একটা সময়ে এসে দ্বীনের প্রতি আগ্রহী হয়েছেন। এধরনের ভাগ্য কতজনের হয়? আর উনার বিরুদ্ধেই তথাকথিত আপনারা খড়গহস্ত। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে উনাকে সমালোচনার পাত্র করছেন। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ উনাকে সাহায্য করবেন। সর্বক্ষেত্রেই উনাকে বিজয়ী করবেন। অনেকে উদাহরন দেন কাদিয়ানীও নাকি এরকম ছিলো? তারপর সে নিজেকে নবী দাবী করে বসে। সকল উদাহরন সকল জায়গায় প্রযোজ্য নয়। আল্লাহ না করুন যদি এরকম কখনো ঘটে তবে কাদিয়ানীকে যেমন এখন সবাই ঘৃণা করছে তখন উনাকেও ঘৃণা করবে। আগে থেকেই খারাপ ধারনা নিয়ে একজন মানুষ কে ঘৃণা করা কতটুকু যুক্তিসম্মত?

আমার এই লেখা তাদের জন্য নয়, যারা অন্ধভাবে না জেনে না বুঝে শুধু হুজুরের কথায় জাকির নায়েক কে অপছন্দ করে। আমার লেখা সেই তাদের জন্য যারা জাহিলদের মতো পূর্বপুরুষদের কিংবা হুজুরদের দোহাই দিয়ে তাদের চোখ এবং কান বন্ধ করে রাখে নি, যারা সত্যকে সত্য বলে স্বীকার করতে চায়। আল্লাহর দেয়া জ্ঞান কে কাজে লাগায়, সত্য এবং মিথ্যাকে ভেদাভেদ করতে পারে তাদের জন্যই আমার এই লেখা। আমার লেখায় অসংখ্য ভুল থাকা স্বাভাবিক। সবার কাছে একান্ত অনুরোধ, প্লিজ গালাগালি না করে গঠনমূলক সমালোচনা করুন, আমার ভুল সংশোধন করে দিবেন। আল্লাহ আমাদের সবাই কে সঠিক পথ হেদায়তের পথে চালিত করুন। শয়তানের সকল খারাপ প্ররোচনা থেকে হেফাজত করুন। দুনিয়ার স্বার্থ থেকে বেচে থাকার তৌফিক দান করুন। আমিন।

ফুটনোটঃ ডাঃ জাকির নায়েক সহ অনেক বিশ্ববরেণ্য আলেমদের বাংলাদেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ হলেও পর্ণষ্টার সানি লীওন’রা পায় ভি আই পি মর্যাদা।
কি আচানক এই দেশ! এই দেশের মানুষগুলো।।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫
১০টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×