'ভালবাসা' শব্দটি যে পবিত্র তাতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। এই দুনিয়ায় সবচেয়ে ভালোলাগার এবং প্রশান্তির বিষয় হচ্ছে মানুষকে ভালবাসতে পারা। মানুষের বিপদে পাশে থাকতে পারা। আপনি তখনি সবচেয়ে বেশি শান্তি পাবেন যখন অন্যের জন্য ভালো কিছু করতে পারবেন। বিশ্বাস না হলে এমন কিছু করেই দেখেন না একবার। অথচ আজকের দুনিয়া িঠক তার উল্টো।
মানুষ হয়েও আরেক মানুষকে আঘাত করার প্রবণতা যে জঙ্গলে বসবাস করা জন্তু জানোয়ারের থেকেও নিকৃস্ট কাজ তা কিন্তু সত্য। যদিও এই সময়টাতে এগুলো অতি স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। অস্বাভাবিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি যখন নিত্যদিনের রুটিন হয়ে যায় একসময় তা সবার কাছেই স্বাভাবিক বলে বিবেচিত হয়। অনেক হয়েছে এবার থামেন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রশ্ন করার সাহস যে আমাদের নেই তা আজ সবার কাছেই বোধগম্য।
আমরা সবাই পরিবার, প্রতিবেশী, আত্মিয়, সমাজ, রাষ্ট্রের মধ্যে বিভিন্ন সম্পর্কে আবদ্ধ । আসুননা নিজেদের একবার জিজ্ঞেস করি, আমরা যা রেখে যাচ্ছি তা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে কী বার্তা প্রদান করবে। আপনি নিজেও জানেননা এবং জানবার চেষ্টাও করেন না যে আপনার সব রকম কর্মকান্ডই আপনার ছোটরা লক্ষ করছে। এবং তারা ভাবছে, বড়রা যাই করে সেটাই ঠিক। তাই যে পথে হাঁটছেন মনে রাখবেন সেই একই পথে আপনার পরবর্তী প্রজন্মও হাঁটবে। এখন আপনিই ভাবেন তাদের জন্য আপনি কী রেখে যাচ্ছেন।
আপনি নিজেই যদি ভাল মানুষ হওয়ার স্বপ্ন না দেখেন এবং কাউকে না দেখান, আপনার পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তবে তা বিলুপ্ত ডাইনোসর এর ইতিহাস বলেই মনে হবে। তার কিছুটা প্রমাণ আপনি ভালোভাবে তাকালেই দেখতে পাবেন। সমাজের সব শ্রেণীপেশার মানুষের মধ্যে আত্মিক অধ:পতন কত বেশি আকারে বেড়েছে। এই ভালবাসাময় পৃথিবীটাকে যেন মানুষরুপি কতকগুলো শকুন খামচে ধরেছে। একমাত্র উন্নত বিবেক বুদ্ধিসম্পন্ন প্রাণী হয়েও নিজেদের গায়ে নিজেরাই মলমুত্র ত্যাগ করছে, নিজেদের রক্তমাংস নিজেরাই ভক্ষণ করছে পরক্ষনে আবার অনুতপ্তও হচ্ছে।
কি ভয়ংকর খেলায় মেতেছে এই অত্যাধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক প্রানীরা। যা যাওয়ার তা তো গেছেই কিন্তু যা আছে এবং থাকবে তা রক্ষা করেন। আপনার নিজের দায়িত্বটুকু অন্ত:ত নিজে পালন করেন। আপনার সন্তানের কাছে মানবিকতা, সহমর্মিতা, শ্রদ্ধা, সামাজিকতা, ভালোবাসা ইত্যাদি শব্দগুলি যেন মঙ্গলগ্রহের মত কোন বিষয় বলে মনে না হয়। তারা যেন সত্যিকারের মানুষ হয়ে উঠতে পারে সেই অনুকূল পরিবেশ কিন্তু আমাদেরই তৈরী করে দিতে হবে। তা না হলে আগামী বিশ্ব যে পুরো অ্যামাজন জঙ্গল হিসেবে স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে তা নিশ্চয়ই বলা যেতেই পারে।।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:০১