আপনার সন্তানের শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে কি সমান গুরুত্ত দিচ্ছেন? বাবা মা হিসেবে আপনার যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি- কয়েকটি বিষয় আপনাদের জন্যই শেয়ার করলাম আমার লেখাতে, আশা করি পরলে উপকৃত হবেন-
১। যদি দেখেন যে আপনার সন্তান বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যে কথা বলে-
কারন, তার অতীতে ছোটখাটো ভুলগুলোর জন্য তাকে অনেক বকা দিতেন, ধমক দিতেন।
২। যদি বুঝতে পারেন যে আপনার সন্তান ভীতু টাইপের-
কারন, ছোটবেলা থেকে তার যে কোন সমস্যা আপনি নিজেই দ্রুত সমাধান করে দিতেন। সব রকম সমস্যা সবসময় আপনি সমাধান করে দিবেননা। সময় নিবেন এবং তাদেরকেই সমাধান করতে উৎসাহ দিবেন।
৩। সন্তান ঈর্ষাপরায়ন হওয়ার কারন-
আপনি প্রতিটিক্ষেত্রে সবসময় অন্যের সাথে আপনার সন্তানের তুলনা করতেন।
৪। যদি আপনার সন্তান একটুতেই রেগে যায়-
কারন আপনি তাকে যথেষ্ট প্রশংসা কখনোই করতেননা যে কারনে তার মনোযোগ সবসময় বাজে ব্যবহারের দিকেই থাকে।
৫। সন্তান যথেষ্ঠ বড় হওয়া সত্তেও তার প্রয়োজনিয় সবকিছু আপনাকেই কিনে দিতে হয়-
এর কারন, তাকে কখনো কোনকিছু নিজের পছন্দে কেনার সুযোগ দেননি।
৬। আপনার সন্তান যদি আত্নরক্ষার কৌশল না যানে-
কারন, আপনি সবসময় সবার সামনে খুব বেশি বকা দিতেন (বন্ধু, কাজিনদের সামনে বকা দিবেননা অথবা মারবেননা)।
৭। সন্তান এর মধ্যে সবকিছুতেই গোপনিয়তার প্রবনতা রয়েছে-
কারন, তার সবকিছুতেই সবসময় ভুল ধরেন এবং গুরুত্ত না দিয়ে উড়িয়ে দেন।
বি.দ্র: বাচ্চারা সাধারনত কৌতুহলী হয়ে থাকে। তাদের ছোট ছোট প্রশ্নগুলোর সঠিক উত্তর দিবেন, আপনি না জানলেও মিথ্যে কিছু বলবেননা, ভুল শেখাবেননা।
সবার সন্তান বাবা মায়ের সেরা সন্তান হোক সেই কামনা ও প্রতাশা রইলো।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫১