১)আর ১১৮ দিন পরেই আমাদের দেশে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর - বিশ্বকাপ ক্রিকেট। অন্যতম আয়োজক হিসেবে আমাদের প্রস্তুতি কতটুকু?
২)আমাদের ভেন্যু স্ট্যাডিয়াম-গুলোতে এখন সংস্কার কাজ চলছে। আশা করা যায়, নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ হবে। আমরা যে বিশ্বকাপের আয়োজক, এটাতো কয়েক বছর আগেই জেনেছি, বিশ্বকাপ শুরুর মাত্র চার মাস আগে এখনো কাজ ফেলে রাখা উচিত হয়নি
৩)এই রকম বড় আয়োজনে উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানের আকর্ষণ অনেক বেশি থাকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্ব পড়েছে আমাদের দেশের উপর। খুব জমকালো একটি অনুষ্ঠানের প্রত্যাশা করছে সবাই। আমাদের দেশের এই রকম অনুষ্ঠানগুলোর মান খুব ভালো নয়। সর্বশেষ এস.এ গেমস-এ মোটামুটি মানের একটা আয়োজন হয়েছে। কিন্তু এই সময়ের অন্যান্য দেশগুলোর আয়োজনের সাথে তুলনা করলে অনেক পিছিয়ে আছি আমরা। আমাদের অনুষ্ঠানগুলোতে কিছু দৃষ্টিকটু অংশ থাকে যা সমালোচনা সত্তেও বার বার প্রদর্শিত হয়। কিছুদিণ আগে ১৯তম কমনওয়েলথ গেমসের উদ্বোধন হলো ভারতে। আমার মতে, ওরা এতে যেই অনুষ্ঠানটা আয়োজন করলো, তা অলিম্পিক মানের অনেক কাছাকাছি। আমাদের এখান থেকে কিছু শেখা উচিত।
৪) বিশ্বকাপ ক্রিকেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমাদের বড় সুযোগ আছে আমাদের দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, পর্যটন সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরার। যারা এই অনুষ্ঠানটির আয়োজনের সাথে জড়িত আছে, তাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, বাংলাদেশ কে সর্বোচ্চ মানে তুলে ধরার জন্য। আমাদের মান-সম্মান যেন ক্ষুণ্ন না হয়। দেশের সব প্রতিভাবানদের সাথে নিয়ে কাজ করুন। আমাদের দেশের সর্বোচ্চ আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করুন। আমাদের অনুষ্ঠানের মান যেন ভারতের কমনওয়েলথ গেমসের মান থেকেও উচ্চ হয়। আর অবশ্যই যেন রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকে।
৫)২০১১ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অন্যতম আয়োজক বাংলাদেশের ওপর ভরসা আছে কেন্দ্রীয় আয়োজক কমিটির৷ ঢাকায় কমিটির বৈঠক শেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল - আইসিসি'র প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাত সেরকমই মত প্রকাশ করলেন৷
৬)লরগাত বলেন, ''ঢাকায় আসার পরই বিশ্বকাপের আমেজ উপলব্ধি করতে পেরেছেন কেন্দ্রীয় আয়োজক কমিটির কর্মকর্তারা৷'' তিনি বলেন,'আমার বিশ্বাস ক্রিকেট বিশ্বে বাংলাদেশকে তুলে ধরার এটা একটা দারুণ সুযোগ৷ দেশের মানুষের সহযোগিতা নিয়ে বিসিবি নিশ্চয়ই বিশ্বকাপের সফল আয়োজন করতে পারবে৷'' বিশ্বকাপ আয়োজন কমিটির সভাপতি শরদ পাওয়ার বলেন, ''আমার আত্মবিশ্বাস রয়েছে যে, এটা অত্যন্ত সফল একটি ইভেন্ট হবে৷'' তাঁরা আশা করেন, বিশ্বকাপের অন্য দুই সহ-আয়োজক ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তাল মিলিয়েই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ৷
৭)সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ২০১১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ শরদ পাওয়ারকে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তাঁর উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে জানানো হয়৷ উল্লেখ্য, ১৪ জাতির এই টুর্নামেন্টের ২৯ টি ম্যাচ হবে ভারতের আটটি ভেন্যুতে৷ এছাড়া শ্রীলঙ্কার তিনটি ভেন্যুতে ১২ টি ম্যাচ এবং বাংলাদেশের দু'টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে আটটি ম্যাচ৷
৮)আমাদের কিছু কথা মনে রাখা ভাল যে আমাদের দেশকে সারা বিশ্ববাসী দেখবে| আমাদের উচিত
ক)বিদদুত ব্যবস্থা ঠিক রাখা
খ)জানজট নিয়ন্ত্রণে রাখা
গ)আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ঠিক রাখা
ঘ)আবাসন ব্যবস্থা ঠিক রাখা
ঙ)বিদেশি পর্যটকদের জন্য ব্যবস্থা রাখা
চ)ঢাকাকে মনরম করে গড়া
ছ)পূর্বে যারা বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে তাদের থেকে শিক্ষা নেয়া
৯)আমি বেক্তিগতভাবে যা দেখছি তাতে মনে হইতেছে আয়োজন এর অগ্রগতি খুব একটা ভাল না | ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়ে সংশয় সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় আয়োজক কমিটি এরই মধ্যে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতে শুরু করেছে।পত্রিকাগুলোতে এই বিষয়টা নিয়ে নিয়মিত খবর ছাপালে আমরা আমাদের বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে পারি।
অপেক্ষা করছি একটি সুন্দর, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিশ্বকাপ আয়োজনের.......

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




