কয়দিন ধরে আওয়ামী নেতা নেত্রীগন মুনাফিক নামক শব্দটি নিয়ে বেশ মজা করছেন। তাঁরা কারণে অকারণে তাদের বিরোধীদের মুনাফিক বলে আখ্যা দিচ্ছেন।
গতকাল রাতে বাংলাভিশনের একটি টক-শোতে দেখলাম, সঞ্চালক যখন আওয়ামী এমপি জনাব রণিকে শুধালেন, 'এই যে বারটি ইসলামী ও সমমনা দল ৩০ ঘন্টার হরতাল দিয়েছে এবং বিএনপি ও জামায়াত তাতে তদের সমর্থন দিয়েছে, আপনার কি মনে হয়, এটা কি যৌক্তিক হলো?'
বিজ্ঞ(?) রাজনীতিবিদ বললেন, " এদের মতো এতবড় মুনাফিক কি আর হয়? সংবিধানে বিসমিল্লাহ রাখা হয়েছে, ইসলামী রাষ্ট্র কথাটিও বাদ যায়নি, অথচ তারা বলছে সংবিধানে আল্লাহর উপর আস্থা নাই কেন?" সাহারা খাতুন নামের নেত্রীও একই ভাষা প্রয়োগ করেছেন এই আলেম ওলামাদের বিরুদ্ধে।
দলের নেত্রী ছাত্রলীগের সম্মেলনে তার পূর্বদিন বিরোধী নেত্রীর বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, 'ওনারা সংবিধানে আল্লাহকে খুঁজে পান না, ওনারা কি হরতালের মাধ্যমে আল্লাহকে খুঁজে পেয়েছেন?'
এবার আসল কথায় আসা যাক। এই এমপি রণি সাহেবই তার আলোচনার এক পর্যায়ে স্বীকার করেছেন যে, সংবিধানে এহেন আংশিক সংশোধন করার কারণে (বিসমিল্লাহ রেখে দেয়ায়), তাদের মহাজোটের অনেক শরীকই নাখোশ হয়েছেন। কথা হলো, তিনি তাঁর বক্তব্যে এই কথাটি চেপে গেছেন(এবং তাদের ১ নং নেত্রীসহ সবাই এ কাজটি করে যাচ্ছেন) যে সংবিধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, "সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস" কথাটিকে তুলে নেয়া হয়েছে। এবং ওলামা মাশায়েখগন এই কারণেই তাদের হরতাল ডেকেছেন ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তার চেয়েও বড় কথা হলো, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশাই ৫/৬ দিন আগে সাংবাদিকদের সাথে কথা প্রসঙ্গে স্পষ্ট করে বলেই দিয়েছেন যে (মহাজোটের বাম শরীকদের খুশী করতে কিংবা বাগে রাখতে), তারা ধাপে ধাপে সংবিধানকে ৭২ এর অবস্থায় নিয়ে যাবেন, এবং সংবিধানে এখনো যেসব ধর্মবিশ্বাসের কথাগুলো আছে সেগুলো হতেও সংবিধানকে মুক্ত করা হবে, তারা যদি আবারো ক্ষমতায় যান।
প্রিয় ব্লগার গন, আপনারাই তাহলে বিচার করুন, প্রকৃত মোনাফেক কে? ঐ রণী আর সাহারা খাতুনগং নাকি ওলামা মাশায়েখগন?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



