ফিরে দেখুন আমাদের ইতিহাস - ১
ফিরে দেখুন আমাদের ইতিহাস - ২
ফিরে দেখুন আমাদের ইতিহাস - ৩
ফিরে দেখুন আমাদের ইতিহাস - ৪
আগের পোষ্টসমূহের ধারাবাহিকতায়-
প্রথমদিকে মুক্তিবাহিনী শত্রুদের সামরিক ঘাঁটি, তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং তাদের স্থানীয় দোসরদের উপর গেরিলা আক্রমণ চালাত। জুলাই মাস থেকে তিনটি নিয়মিত ব্রিগেড গঠন করা হয়। ব্রিগেডগুলো নামকরন করা হয়েছিল কমান্ডারদের নামের আধ্যাক্ষর দিয়ে।
ব্রিগেডগুলো ছিলঃ
জেড ফোর্স -
কমান্ডার - লেঃ কঃ জিয়াউর রহমান
এস ফোর্স -
কমান্ডার - লেঃ কঃ কে. এম. শফিউল্ল্যাহ
কে ফোর্স -
কমান্ডার - লেঃ কঃ খালেদ মোশারফ
বাংলাদেশ নৌ বাহিনী
ফ্রান্সের তুলন বন্দরে পাকিস্তান সাবমেরিন "ম্যাংগ্রো" তে প্রশিক্ষণরত ৮ জন বাংলাদেশী সাবমেরিনার ৩১শে মার্চ পালিয়ে ভারতে চলে আসে। প্রাথমিকভাবে তারাই বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর নেতৃত্ব দেয়।
বাংলাদেশ নৌ বাহিনী সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কর্নেল এম. এ. জি. ওসমানির তত্ত্বাবধানে সেক্টর ১০ এর অধীনে রাখা হয়।
পলাশীর ভগিরথী নদীর তীরে ২৭শে মে হতে ৬ই আগষ্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর ৩১৫ জন নৌ কমান্ডোর প্রথম দলটি প্রশিক্ষন নেয়। সর্বমোট ৪৯০ জন নৌ কমান্ডো প্রশিক্ষন নিয়েছিল।
এদের মধ্য থেকে ১৬০জন নৌ কমান্ডো আগষ্টের মাঝামাঝি সময়ে চট্টগ্রাম, মংলা, চাঁদপুর এবং নারায়নগঞ্জে "অপারেশন জ্যাকপট" এ অংশ নেয়। এই দুঃসাহসিক অভিযানে ২৬টি জাহাজ ধ্বংস করা হয়েছিল। অল ইন্ডিয়া রেডিওতে দুটি বিশেষ গান প্রচারের করে এই অভিযানে অংশগ্রহনকারীদের সংকেত দেয়া হয়।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী
নাগালন্দের ধীমাপুর বিমান ঘাঁটিতে ২৮শে সেপ্টেম্বর ১৯৭১ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জন্ম। গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ. কে. খন্দকারকে প্রধান করে ১০ জন পাইলট, ৬৭ জন টেকনিশিয়ান, ১টি ডিসি-৩ ডাকোটা, ১টি ওটার এবং ১টি এলমেট হেলিকপ্টার নিয়ে গঠন করা হয় এই বাহিনী।
৩রা ডিসেম্বর ১৯৭১ বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গোদনাইল এবং চট্টগ্রামের তেল প্রধানঃ পরিশোধনাগার আক্রমন করে।
অন্যান্য বাহিনী
মুজিব বাহিনী -
প্রধানঃ শেখ ফজলুল হক মনি, সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ।
ছাত্র ইউনিয়ন, ন্যাপ, সিপিবি -
প্রধানঃ মোহাম্মদ ফরহাদ
কাদেরিয়া বাহিনী -
প্রধানঃ কাদের সিদ্দিকী
হেমায়েত বাহিনী -
প্রধানঃ হেমা্যেত উদ্দিন
আফসার ব্যাটেলিয়ান -
প্রধানঃ মেজর আফসার উদ্দিন আহমেদ
[চলবে]