গণতান্ত্রিক অধিকার হরতাল পালনে বাধা দিলে এর সব দায় দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফের হরতাল প্রতিহত করার বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হুমকি কোনো গণতান্ত্রিক ভাষা হতে পারে না। আশা করব, শান্তিপূর্ণ হরতালে সরকার সহযোগিতা করবে। যদি সহযোগিতা না করে তাহলে রাস্তায় পিসু করে দেবো।’
গত বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা হরতাল করতে চাই না। গত আড়াই বছরে মাত্র চারটি হরতাল করেছি। সারাদিন বাসায় বসে টেলিভিশনে নাটক, সিনেমা দেখে দেখে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের শরীর জলহস্তির মত মোটা হয়ে গেছে। সেই সাথে বেড়েছে তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। কাজেই দেশের স্বার্থে, দলের স্বার্থে, জনগণের কল্যাণে আমরা হরতাল দিতে বাধ্য হয়েছি।
জলহস্তিকে "না" বললেন নাজমুল হুদা
সভায় আগামী রোববার দিনব্যাপী কর্মসূচি চুড়ান্ত করা হয়। আগামী রোববার সকাল সাড়ে দশটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পায়জামা খোলার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচি আরম্ভ হবে। পায়াজামা খোলা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন সাদেক হোসেন খোকা, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, ও মোসাদ্দেক আলী ফালু। এ ছাড়াও উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি হিসাবে পল্টনে ইসলামী তরিকায় ঠোলাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ ও বাদ জোহর চার দলীয় জোটের অন্যতম শরীক জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে মালাউন ধোলাই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মির্জা ফখরুল বলেন, মালাউনদের দেশ ইন্ডিয়া। বাংলাদেশে থাকতে চাইলে মালাউনদের জিজিয়া কর দেয়া বাধ্যতামূলক।
সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালনে বাধা দেয়া হলে বিএনপির নেতাকর্মীরা এক কাতারে ধানমণ্ডি লেকের পাড়ে দাঁড়িয়ে পিসু করে ঢাকা মহানগরীকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসিয়ে দেবেন।
এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির নেতা ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদা। মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের বিরোধিতা করে মতিকণ্ঠকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,’আমার দারা-পুত্র-পরিবার মোটা হতে পারে কিন্তু জলহস্তি নয়।’ উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামের অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি কাপ্তাই লেক ঘিরে সারাদেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণ বাড়াতে এবং কাপ্তাই লেককে দূষণমুক্ত রাখতে লেকে জলহস্তি ছাড়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয়। ভবিষ্যতে বিএনপি নেতাদের জলহস্তির সাথে তুলনা না করে সিন্ধুঘোটকের সাথে তুলনা করার আহ্বান জানান ব্যারিষ্টার।
***সংবাদ টি দৈনিক মতিকণ্ঠ
হতে সংগৃহীত।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০১১ দুপুর ১২:০১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



