চাঁপাইনবাবগঞ্জের জনসভায় খালেদা জিয়া জামায়াতের নেতা নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদী, কামারুজ্জামান ও বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মুক্তি দাবি করে বলেছিলেন, এরা স্বাধীনতাবিরোধী নয়। তিনি যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে প্রশ্নও তোলেন। তাঁর এই বক্তব্যের কারণে অনেকে মন্তব্য করেছে, তিনি যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য মাঠে নেমেছেন।এ বিষয়ে মতিকণ্ঠ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে। তিনি এই সাক্ষাৎকারে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদী, কামারুজ্জামান ও সাকা চৌধুরী - এরা সকলেই ছিলেন পাকিস্তানের স্বাধীনতার সপক্ষে, অতএব এদেরকে স্বাধীনতাবিরোধী আখ্যা দেয়ার কোনো ভিত্তি নেই। একটি বিশেষ মহল অপপ্রচার চালিয়ে এদেরকে পাকিস্তানের স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি বলে প্রচার করে আমাদের পাকিস্তানী প্রভুদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নষ্ট করার ষড়যন্ত্রে নেমেছে।
মতিকণ্ঠের পক্ষ থেকে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, এদের যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে প্রশ্ন তোলার ভিত্তি কী? উত্তরে তিনি ক্ষিপ্ত স্বরে বলেন, আপনাদের পড়াশোনা মনে হয় আমার চেয়েও কম। ক্লাস ফাইভও পাশ করেছেন বলে তো মনে হয় না। অতি সাধারণ যুক্তি বোঝার ক্ষমতা আপনাদের আছে? থাকলে গবেটের মতো এমন প্রশ্ন করতেন না। যারা যুদ্ধের সময় শান্তির পক্ষে ছিলেন, ছিলেন শান্তি কমিটির সদস্য, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ করাটা নির্বুদ্ধিতা না? “যুদ্ধ” আর “শান্তি” - এই শব্দ দুইটা বোঝেন? শান্তি কমিটির সদস্য কী করে যুদ্ধাপরাধী হতে পারে।
**সংবাদ টি দৈনিক মতিকণ্ঠ হতে সংগৃহীত।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:১৩