চার বছরের ক্যাম্পাস লাইফটা মনে হয় একটু তাড়াতাড়িই শেষ হয়ে গেল।সেই কোন দিন আসলাম আর এখন নিজেদের ই র্যাগ ডে হয়ে গেল।খুব মিস করব পরিচিত এই জায়গাগুলোকে আর পরিচিত বন্ধুদের মুখগুলোকে।
র্যাগ ডের আগের দিনের প্রস্তুতি--

কাটাকুটি আর হাজারটা জক্কিঝামেলার সব ভার ছিল বন্ধু তিশাদের উপর

জোরেশোরে চলছে ককশিট ডিজাইন

পুরো ডিপার্টমেন্ট জুড়েই চলে ওয়াল পেইন্টিং আর ফ্লোর পেইন্টিং

ওইদিকে গানের প্র্যাকটিস থেমে নেই...মেঘের দেশে কি এখনো তুমি হারাও আনমনে...

আশিক ওরফে দাদুর রঙলেপন কার্যক্রম

চলছে রাতজেগে কাজ,কাজের ফাকে কিছুটা সময় অবশ্যই ক্যামেরার সামনে পোজ দেওয়ার জন্য।

ওদের আর কি দোষ বলুন??সারা বিকেল থেকে টানা কাজ করার পর আইসা যদি দেখে ভাত তরকারি সব শেষ তাহলে যে কারো এইরকম ই হবে।আহারে বেচারারা..।

অবশেষে একটু বিশ্রাম,চেয়ার ই সই।

র্যালির পর রঙমাখামাখিতে ছোটভাইবোনরা

রঙমাখামাখিতে বাদ যায় নাই কেউ,চ্যাংদোলা করে হলেও পুরো শরীরে রঙ মাখানো হয়েছে

সিইপিইয়ান্স

র্যাগের শিকার দুই বন্ধু নয়ন ও মিরাজ

অতঃপর পুকুরে গনগোসল

রাতের প্রোগ্রাম শুরু হতে আর বেশিক্ষন নাই

অনুষ্ঠান কিন্তুক শুরু হয়ে গেছে,কিছু মজার স্লাইড আর নাটিকার পর এখন বাঁশিবাদক অভিতে বুঁদ হয়ে বাঁশি শুনছি

রাত ১০ টা,প্রোগ্রাম কিন্তুক শেষ না,খাওয়া দাওয়া কইরা এনার্জি নিতে হবে,কারন কনসার্টে নাইলে হেডব্যাং দিবে কে??

বাপ্পি আর জয়ন্তর যুগলবন্দী

অডিয়েন্স বরাবর ই ক্রেজি

র্যাগ শেষ,কিন্তুক বন্ধুরা থেকে যাক হাতের মুঠোয় সবসময়
পোষ্ট টা সব বন্ধুদের জন্য যাদের সাথে চার চারটা বছর কেটে গেল,যখন ভাবি চলে যেতে হবে তখন যে পরিচিত মুখগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠে মনের ভিতর কেমন যেন গুমোট বাঁধা ঝড় তুলে দেয় তাদের জন্য।
ভাল থাকিস বন্ধুরা।