সে যে কলঙ্কীনি তাই,
যখন তখন, যেথায় সেথায়,
যে সে লোকে কলঙ্ক ছড়ায়।
সে যে কলঙ্কীনি তাই,
তার রাত বিরাতের স্বপ্নগুলোর
কোনোই মূল্য নাই।
সে ভাই কলঙ্কীনি তাই,
চোরায় বলে গল্পছলে"গভীর রাতে,
ফিরছি যখন হাটের থেকে
উকি দিয়ে ঘরের ভেতর তার
দেখি চলছে সেথায় রঙিন সব কারবার।"
সেতো কলঙ্কীনি ভাই,
তাই নাহি কেও সুধায়,
"হাট ভেঙেছে সন্ধা বেলায়,
গভীর রাতে হাটটা ভাই কোথায়?"
সে যে কলঙ্কিনী তাই,
পুরুত বলে,"ধর্মপথে
আনতে তারে গিয়েছিলুম
কাল প্রভাতে ভাই,
সেযে আমারেই ভাই
নাগড় বানায় হায়।"
সে ভাই কলঙ্কীনি তাই,
কারো মনে এই প্রশ্নের
নাই যে কোন ঠাই,
"সূর্যি ওঠার আগেই রে ভাই,
কেমনে প্রভাত হয়?"
সেযে কলঙ্কীনি তাই,
লেপ্টে গেলে চোখের কাজল
চোখের জলে,নাহি কেও সুধায়।
সেতো কলঙ্কীনি তাই,
সবাই জানে,কোই থেকে
কোন নাগর এসে চোখের কাজল
লেপ্টে দিয়ে গেছে হেসে।
কলঙ্কীনির চোখে জল কোথায়!
সে ভাই কলঙ্কীনি তার,
স্বপ্নগুলোর নাই কোন আবদার।
তার চোখের জলের রঙও রঙীন,
হাসি তাহার ছল, তার যৌবন উচ্ছল।
সেতো কলঙ্কীনি, তার
মুখের পানে তাকিয়ে কেবা
জিজ্ঞাসিবে মনের ব্যাথা?
সেতো কলঙ্কীনি কলঙ্কীনি কলঙ্কীনি।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫২