
ঘরোয়া লীগে তিনি তিনি ছিলেন একজন সফল পারফর্মার। ব্যাটিং এ তিনি একজন বিশ্বমানের খেলোয়াড় যা তার প্রোফাইল দেখলেই বুঝতে পারবেন। অবশ্য তার অনেক আগেই জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া উচিত ছিলো কিন্তু আমাদের বিজ্ঞ নির্বাচক কমিটির দল নির্বাচনে তাকে অবহেলাই করা হয়েছে। আশ্রাফুল, রকিবুল,জুনায়েদ সিদ্দিকীর মতন বলদ খেলোয়াড়রাও বছরেরে পর বছর সুযোগ পান বাজে পারফর্ম করেও।
যাইহোক আসুন আমরা শুভাগত এর প্রোফাইল দেখিঃ
জাতীয় দলঃ
জাতীয় দলে তিনি জিম্বাবুয়ে সফরে ৩য় ও ৪র্থ ম্যাচে দলে সুযোগ পেয়ে প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ৩২ রান। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক ভাবে রান আউট না হলে একটি দীর্ঘ ইনিংস হয়তো আমরা তার কাছ থেকে পেতাম। পরের ম্যাচ তিনি অপরাজিত ৩৫ রান করে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেন সাফল্যের সাথে।
প্রথম শ্রেণীর ম্যাচঃ
প্রথম শ্রেণীর ১০ টি ম্যাচে তার রয়েছে ৩টি সেঞ্চুরী এবং ৬টি হাফ সেঞ্চুরী। তার সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ১৬৬। ব্যাটিং গড় ৬১.২৬।
বোলার হিসেবেঃ
বোলার হিসেবেও তিনি একদম ফেলনা নন। যার প্রমান প্রথম শ্রেণীর ১০টি ম্যাচে নিয়েছেন ৬টি উইকেট। বেষ্ট বোলিং ফিগার ৪/৩৩।
উল্লেখ্য গত বছরের মার্চে ইংল্যাণ্ড এ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ এ দলের হয়ে ৩০ বলে তার অপরাজিত ৯১ রান বেশ আলোড়ন তৈরী করেছিল।
আমাদের ক্রমাগত ব্যাটিং ব্যর্থতায় থেকে মুক্তি পেতে প্রয়োজন দলে কিছু ধারাবাহিক পারফর্মার। বাংলাদেশের ব্যাটিং স্তম্ভ তামিম, শাহরিয়ার নাফিস, সাকিবদের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে বিকল্প খেলোয়াড় বড্ড প্রয়োজন। তাই শুভাগতর মত নতুন উদীয়মান নির্ভীক অদম্য তরুনরাই হোক আমাদের ভবিষ্যত কাণ্ডারী।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



