somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৪) - বাংলাদেশ ভার্সেস কানাডার দোকানপাট, এবং বেচাকেনার কালচার! (কুইজ সলভড)!

২৪ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পূর্বের পর্বের লিংক: তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৩) - সুখে থাকতে কিলায় ভূতে!
পূর্বের সিরিজের লিংক: কানাডার স্কুলে একদিন এবং কানাডার স্কুলে একেকটি দিন

পূর্বের সারসংক্ষেপ: কানাডার নানা জায়গায় ইমিগ্র্যান্টদের সাহায্য করার জন্যে অফিস থাকে। তেমন একটি অফিসে গিয়ে কানাডায় আসার পরের সকল গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর লিস্ট পেলাম। কাজগুলোর জন্যে নানা জায়গায় ছোটাছুটি করতে করতে ক্লান্তিতে ভরে উঠল শরীর ও মন।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

প্রায় দেড় দু সপ্তাহ পার হয়ে গেল কানাডায়! এরমধ্যে প্রচুর ব্যস্ত সময় কাটিয়েছে পুরো পরিবার। সেই সকালে বেড়িয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরা। সারাদিন এই অফিস সেই অফিস ঘুরে নানান জরুরি সব ডকুমেন্টের জন্যে এপ্লাই করতে হয়েছে। সেদিন ইমিগ্র্যান্টদের সাহায্যকারী অফিসার যেসব কাজের লিস্ট দিয়েছিলেন তার অনেকগুলোই হয়েছে বা প্রসেসিং হচ্ছে।

তবে এখনো অনেক কাজ বাকি যার অন্যতম হচ্ছে কেনাকাটা। পুরো বাড়িতে দুটো ম্যাটরেস ছাড়া আর কিছুই নেই। টেবিল, চেয়ার সহ কিছু জরুরি ফার্নিচার কিনতে হবে। সেগুলো ছাড়া উঠতে বসতে নানা ধরণের সমস্যা হচ্ছে।
এ কদিন বাবা কাছের দোকান থেকে চাল, পাউরুটি, আলু, ডিম কিনে আনত ব্যাস। সারাদিন বাইরে বাইরে থাকা এবং নানা চিন্তার কারণে ভালোকিছু কিনে রান্না করতে হবে সে চিন্তা কারোরই মাথায় আসেনি। কিন্তু এক খাবার খেতে খেতে বিরক্তিও ধরে গিয়েছে। তাই সুপারস্টোরে গিয়ে ভালোভাবে কাঁচাবাজার করতে হবে।

পরিবারসমেত আমরা গেলাম সুপারস্টোরে। গিয়েই মাথা ঘুরে গেল। বাংলাদেশের মফস্বলের পাড়ার দোকান থেকে শুরু করে ঢাকার সবচেয়ে আধুনিক শপিংমল, সবই আমার দেখা হয়েছে। তবে সত্যিই এতবড় স্টোর তখন পর্যন্ত দেখিনি। প্রায় সব মহাদেশের নামকরা স্টোরগুলো এক করলে যা হয় তাই যেন কানাডার সুপারস্টোর! কানাডায় এসে প্রচুর দেশের মানুষ বসতি গড়েন। তাই নানা দেশের মানুষের প্রয়োজনমতো পণ্য এখানে থাকে। আমি সুপারস্টোরে কোন কোন ধরণের জিনিস পাওয়া যায় তার লিস্ট দেওয়া শুরু করলেও পোষ্টটি বই হয়ে যাবে। শুধু এটুকু বলব ইউ নেম ইট, দে হ্যাভ ইট!

সুপারস্টোরে প্রথমবার গেলে মনে হয় এর শুরু আছে, শেষ নেই। একের পর এক সুউচ্চ শেল্ফ হাজার হাজার পণ্যের পসরা সাজিয়ে দাড়িয়ে। মজার ব্যাপার হচ্ছে চারিদিকে এত শেল্ফ, এবং তাতে প্রচুর জিনিস থাকা সত্ত্বেও জায়গাটিকে ঘিঞ্জি মনে হচ্ছেনা। শেল্ফগুলোর মাঝখানে এত প্রশস্ত রাস্তা যে কেউ ইচ্ছেমতো ফুটবল খেলতে পারবে! সারকথায় প্রকান্ড, প্রশস্ত, সাজানো গোছানো, এবং ঝা তকতকে একটি স্টোর হচ্ছে সুপারস্টোর! আসলেই সুপারকিছু!

সবচেয়ে বড় কথা ডাইভার্সিটি দেখার মতো। সুপারস্টোরে পা দিয়েই প্রথমে চোখে পরল নানা বর্ণের মানুষ! হোয়াইট, ব্রাউন, ব্ল্যাক! সবার হয়ত আলাদা আলাদা কালচার। কিন্তু সুপারস্টোরে সবাই একই উদ্দেশ্যে এসেছে, পরিবারসমেত বাজার করতে।
বাদামি বর্ণের মানুষ যেই দেখি, ভাবি বাংলাদেশী নিশ্চই! উত্তেজিত হয়ে বাবা মা কে বলি, বাবা ঐ দেখো বাংলাদেশী, চলো কথা বলি। বলতে না বলতেই কানে আসে হিন্দি, পাঞ্জাবিতে পাশের মানুষটাকে কি যেন বলছে তারা! মন খারাপ হয়ে যায়! এমন কয়েকবার হবার পরে আশা ছেড়ে দিলাম। কেনাকাটায় মনোযোগ দিলাম।

প্রথমে সবাই গেলাম সবজি কিনতে। থরে থরে রং বেরং এর তাজা সব ফল, সবজি সাজানো। অনেকগুলো চিনতে পর্যন্ত পারলাম না। এখানে শপিং এর কাজটি অনেকটা ক্রেতারই। প্রতিটি ফলমূল, সবজির আশেপাশে রোলের মধ্যে প্রচুর পলিথিন। একেকটি পলিথিন টেনে ছিড়ে নিজেই প্যাক করতে হয়। স্ট্যাফরা একটু পরে পরে, "আপা কিছু লাগবে?" জিজ্ঞেস করেনা। দরকার লাগলে তাদের খুঁজে নিতে হয়। দেশে আসলে প্রতিটি ছোট কাজের জন্যেও কেউ না কেউ থাকে, সেই অভ্যাসে অভস্ত আমাদের এখানে এসে একটু খারাপ লাগা স্বাভাবিকই!

এশিয়ান এবং ওয়েস্টার্নদের শপিং এর ধরণ অনেক আলাদা। যেমন এক চাইনিজকে দেখলাম সারি সারি আপেল থেকে একেকটি হাতে নিয়ে ভালোভাবে চেক করছে আর বাস্কেটে ভরছে। আর অন্যদিকে হোয়াইট একটা বাচ্চা মাকে হাতের ইশারায় জিজ্ঞেস করল কয়টা? মা একটু দূরে অন্যকিছু নিচ্ছিল, বাচ্চার দিকে চিল্লিয়ে বলল, "ফাইভ!" বাচ্চাটি ৫ টি আপেল উঠিয়ে নিয়ে এলো।

আমি এই বিষয়টি অনেকবারই লক্ষ্য করেছি। এশিয়ানরা সেটা ইস্ট হোক বা সাউথ, বারবার চেক করবে, ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সন্দেহের চোখে দেখবে, তারপরে এমনভাবে সবজি কিনবে যেন এটা জীবনের খুব বড় একটি ডিশিসন! আর কানাডিয়ানরা নিশ্চিন্তে প্রায় না দেখেই তুলে তুলে নেয়!
অনেকদিন ভাবতাম কেন এমন? পরে নানা দেশের মানুষের সাথে মিশে বুঝলাম ব্যাপারটি। দেশে অনেকেই হতাশ হয়ে যতোই বলুক না কেন বাংলাদেশের মতো এত ভেজাল আর কোন দেশে নেই, আসলে এশিয়ার অনেক দেশেই আইন স্ট্রিক্ট না। সেকারণে নানা ধরণের ১৯/২০ হয়।
কানাডায় কোন স্টোরে নিম্নমানের পণ্য রাখার অপরাধ ধরা পরলে কোর্ট কেস অনেক লম্বা সময় ধরে চলে, ভীষনই স্ট্রেসফুল এক প্রসেস। কোর্টের আদেশকৃত ক্ষতিপূরণ তো বাদই দিন, লয়ারের পেছনে যে পরিমাণ টাকা ঢালতে হয় তা আমরা সাধারণ মানুষেরা পুরো জীবনে কামাতে পারবনা। এখানকার বড় সব বিজনেসের জন্যে সেই টাকা যদিও কোন ব্যাপার না, সমুদ্রের বুকে এক ফোঁটা জলের মতো। তবে সমস্যা হচ্ছে কোম্পানির রেপুটেশন বাজেভাবে নষ্ট হয়। মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। কেউই তাই চাইবেনা মানহীন কোন পণ্য নিজের স্টোরে রাখতে। এজন্যে ক্রেতারাও নিশ্চিন্ত! অন্যদিকে এশিয়ান ক্রেতারা অভ্যাসের বশে এখানেও গাজর, মূলা কিনতে গিয়ে পুরোপুরি পুলিশ ইন্সপেক্টর বনে যান!
দ্বিতীয় পার্থক্য হচ্ছে কানাডিয়ানরা সাধারণত পুরো ট্রলি ভরে ভরে প্রচুর বাজার করেন, পুরো মাসের বাজার একদিনে সারার চেষ্টা করেন। এশিয়ানরা সাধারণত ছোট বাস্কেটে স্বল্প পরিসরে বাজার করেন। খুব বেশি ব্যস্ততা না থাকলে তারা একসাথে বেশি বাজার করতে পছন্দ করেন না। তারা মাঝেমাঝেই দোকানে ঢুঁ দেন, তক্কে তক্কে থাকেন কখন কোন সেল পাওয়া যায়। সে অনুযায়ী একটু একটু করে কেনাকাটা করেন।
এটা একটা স্টেরিওটাইপ, আমার চোখে পরেছে বহুবার। তবে সবাই এক নয়, সেটাও মাথায় রাখতে হবে।

যাই হোক সুপারস্টোরে ফিরে আসি। আমরা প্রায় হারিয়েই গিয়েছি বলতে গেলে। এত বড় স্টোরে প্রচুর জিনিসের মধ্যে থেকে নিজের প্রয়োজনের জিনিস খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আশেপাশে বেশকিছু ইউনিফর্ম পরিহিত সুপারস্টোর স্টাফ ছিল। তারা ট্রলিতে করে জিনিস এনে এনে শেল্ফে রাখার কাজে ব্যস্ত ছিল। তাদেরকে ডেকে কিছু জিজ্ঞেস করলে সাহায্য করত। কিন্তু হয়ত অস্বস্তি অথবা পুরো সুপারস্টোর ঘুরে দেখার শখে আমরা কাউকে কিছু জিজ্ঞেস না করে প্রয়োজনমতো জিনিস খুঁজতে লাগলাম।
একবার এদিক একবার ওদিক করে একই জায়গায় ফিরে আসছিলাম বারবার। একটা সময়ে আর না পেরে একজন স্টাফকে ডেকে বাবা জিজ্ঞেস করল স্পাইসেস কোথায় পাওয়া যাবে। কম বয়সী হোয়াইট মেয়েটি হেসে আমাদেরকে নিয়ে গেল সেখানে। আসলেই আমরা অনেকদূরে ছিলাম, ওনার হেল্প না নিলে আজ আর পেতাম না। মুচকি হেসে আমাদের অন্যকোন সাহায্য লাগবে কিনা জিজ্ঞাসা করল। বাবা না বললে, সে চলে গেল।

এখানে প্রতিটি দোকানদার অনেক সুইট ও আন্তরিক। কিন্তু বাংলাদেশের বিক্রেতাদের মতো বেচাকেনাকে আর্টের পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারেনি এরা। কানাডাতে নানা দোকানেই গিয়েছি। এমন কখনো হয়নি যে কোন দোকানদার কনভিন্স করার চেষ্টা করছে যে এই পন্যের এটা বেস্ট, সেটা বেস্ট, না কিনলে মিস! শুধু জিজ্ঞেস করলে দায়ে পরে বলবে আইটেমটির ব্যাপারে। যেন কিনি না কিনি তাদের কিছু যায় আসেইনা!

আর দেশের দোকানদার!? বেচার আগ্রহে একেকটি যা ডায়ালগ দিত তাতে পুরো একটি কমিক লেখা যাবে! যেমন "ভাবী, আপনি যদি এই ড্রেস না নেন, আমি আর কাউরে বেচমু না! ভদ্রলোকের এক কথা! আপনের গায়ের রং এর সাথে এইডা যা মানাইব! অন্যকাউরে কেমনে বেচি? নিয়া যান ভাবী! কসম, ঠকবেন না!" অথবা, "পুরা বাজারে যদি এরচেয়ে কম দামে মাছ পান, আমি কইতাছি ব্যাবসাই ছাইড়া দিমু!"
নাটক কি শুধু বিক্রেতাই করে? নাহ! আমার মা ই যেমন খুব নাটক করে দরদাম করত। দাম কমাতে না পারলে বলত, "না ভাই, কি আর করা, এত দামে নেব না। আমি যাই। বলে উঠেও যেত চেয়ার থেকে, যাবার জন্যে উদ্যত হতো!"
আমি মনে মনে ভাবতাম, মা হুট করে সিনেমার স্লো মোশনের মতো মুভ করছে কেন? আমি দোকানের গেট পর্যন্ত চলে এলাম আর মা সেই চেয়ারের কাছেই আছে এখনো! পরে বেশ কয়েকবার এমন হবার পরে বুঝে গিয়েছিলাম ব্যাপারটি। মা ওয়েট করত কখন দোকানদার আটকে আর বলবে, "আরেহ, আপা বসেন, আপনারো থাকল আমারো থাক, ১০০০ টাকা দিয়া দেন!"
মা তখন সাথেসাথেই বসে পরে বলবে, "আমার তো থাকল না ভাই, শুধু আপনারই থাকল, ৭০০ টাকার বেশি এর দাম হয়ইনা!"
ব্যাস চলতে থাকবে কথা। আবারো কয়েকবার ওঠার ভান, এবং শেষমেষ জিনিসটি কেনার পরে মা আমার দিকে তাকিয়ে বিজয়ী টাইপ হাসি দেবে! এরপর থেকে মা উঠলেও আমি উঠতাম না, অপেক্ষা করতাম পুরো ড্রামা শেষ হবার! তবে যা মজা লাগত! ক্রেতা বিক্রেতার টাগ অফ ওয়ার দেখতে! কে জিতবে? কে হারবে? আমি এত এনজয় করতাম সেটাকে! ক্রিকেটের পরে আমার সেকেন্ড মোস্ট ফেভারিট গেম ছিল সেটা!

দেশে থাকতেও ফিক্সড প্রাইসের হাইফাই শপিং মলগুলো আমার ভালো লাগত না। স্বল্প পরিসরের ছিমছাম দোকানগুলো খুব বেশি প্রিয় ছিল। রোবটের মতো গেলাম কিনলাম চলে আসলাম তা ভালো লাগত না। ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে প্রচুর কথা হবে, দরদাম হবে তারপরে না মজা! কানাডায় তো অন্যকোন অপশন নেই, সব দোকানের কালচার প্রায় একই, দরদাম কি এরা জানেইনা।
আমাদের দেশে কত ধরণের দোকান আছে! কানাডার সবচেয়ে বড় শপিংমলে এলেও আমার মন দূরদেশের কোন এক অখ্যাত মার্কেটেই পড়ে থাকে।

মনে মনে দেশের সাথে সবকিছু তুলনা করতে করতে কসমেটিকস এর রো খুঁজে পেলাম। একটা শ্যাম্পু হাতে নিয়ে পেছনের লেখা পড়তে শুরু করলাম, কোন ধরনের হেয়ার টাইপের তা জানতে। এ কি! কিছুই তো বুঝিনা! ইংলিশই তো, কিন্তু মানে বুঝতে পারছিনা কেন? এটুকু তো আমি দেশেও পারতাম। আমি খুব ভয় পেয়ে গেলাম। বিদেশে এসে ব্রেইনের সব তথ্য নষ্ট হয়ে গেল নাকি? স্কুলে গিয়ে তো কিছু বলতে পারবনা, লিখতেও পারবনা!
মা বিরক্ত হয়ে হাত থেকে নিয়ে নিল, "এতক্ষন লাগে দেখতে?" দেখে বলল, "নরমাল হেয়ার!" ঠিক আছে, ঝুড়িতে ঢাল।

একেকটি জিনিস বাস্কেটে ঢালা হচ্ছে, আর আমার বাবার মুখ শুকিয়ে যাচ্ছে। বিদেশে প্রথম প্রথম কেনাকাটা করতে গিয়ে এটা হওয়া স্বাভাবিক। ডলার আর টাকার পার্থক্য যে অনেক! যেমন বিশ ডলার কে বিশ ডলার না, ১৪০০ টাকা মনে হয়!
তাছাড়া কানাডায় জিনিসের দামও বেশি। আমরা তো ফিল করেছিই, তাছাড়া নানা দেশের মানুষের কাছেও শুনেছি কানাডায় প্রতি পন্যের দাম তাদের দেশের থেকে বেশি, এবং ট্যাক্সও অনেক! কানাডা নিয়ে এটা একটা কমন অভিযোগ বেশিরভাগ মানুষের।

তখন বাড়িতে কারোরই জব নেই। বাড়িঘর একটু গুছিয়ে বাবা জব খোঁজা শুরু করবে। জমানো টাকা থেকে একটি টাকা গেলেও বুকে ধক করে লাগে। কেননা টাকা খরচ হলেও আয়ের কোন উৎস নেই!
নিত্যদিনের জরুরি জিনিস কিনতেই বেশ কিছু ডলার অথবা হাজার হাজার টাকা খরচ হয়ে গেল। বিল মিটিয়ে বের হতে হতে, বাবার মুখ দেখে মা বলল, "থাক আজকে আর ফানির্চার কিনতে হবেনা। বাড়ি চলো।"
বাবা যেন একটু নিশ্চিন্ত হলো! কিন্তু আমি হলাম না। আমি বুঝে গেলাম, আমাদের শুধু দেশই নয়, অবস্থানও পরিবর্তিত হয়েছে। বাবা মা কে আগে কখনো বারবার প্রাইস ট্যাগের দিকে দুশ্চিন্তা নিয়ে তাকাতে দেখিনি। মা দরদাম করত তবে দায়ে পরে নয়, আনন্দ করে। শপিং করে হাসতে হাসতে বাড়ি ফিরেছি সবসময়, এখন চিত্র বিপরীত। ইংলিশ না জানা, বিপরীত সংস্কৃতিতে এসে পরার সমস্যাগুলোকে হুট করে ছোট মনে হতে লাগল। সামনে আরো বড় সমস্যা হয়ত অপেক্ষা করছে!

নানা সংশয় মনে নিয়ে তিনটি প্রানী ফিরল অচেনা দেশের চেনা নীড়ে।

মোরাল অফ দ্যা স্টোরি: কানাডায় শপিং যতোই অত্যাধুনিক, ভেজাল ফ্রি হোক না কেন মারাত্মক বোরিং। আমি দেশের মজাদার শপিং ভীষনভাবে মিস করি। :)

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

আগের কুইজে সবাই খুব ভালো উত্তর দিয়েছিলেন। একজন তো এমন এক্যুরেট জবাব দিলেন আমি অবাকই হয়ে গেলাম! সেই মুগ্ধতায় আবারো নিয়ে এলাম কুইজ। :)
পাঠকের জন্যে কুইজ: আমি কেন শ্যাম্পুর পেছনের লেখা কিছুই বুঝলাম না? মা কিভাবে বুঝে গেল?
আমি ২০ নাম্বার মন্তব্যে উত্তর লিখে দিয়েছি। কৌতুহলী পাঠক চেক করে নেবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪
২৫টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×