১। প্রথম প্রেমে পড়ি তখন বয়স কত মনে নেই ৫/৬ হবে হয়ত, অবশ্যই ব্যর্থ প্রেম ছিল সেটা। সত্যিই কি প্রেম ছিল... প্রেম কি তা কি আসলেই তখন বুঝতাম... মনে হয় না... কিন্তু সাদা-কালো সিনেমায়... নায়ক-নায়িকা... ইত্যাদি দেখে মনে হয়েছিল আমারো এমন একটা নায়িকা না থাকলে কি আর ইজ্জত থাকে। কারণ আমি যে অপূর্ব সুন্দর ছিলাম তা বাড়িতে বড় আয়না থাকলেও তা না দেখেই সবার কথা-বার্তায় বুঝতে পারতাম।
ছবিঃ গুগল
২। নিয়মিত ম্যাকগাইভার, দ্যা থ্রী স্টুজেস, ইত্যাদি, ধারাবাহিক নাটক কোথাও কেউ নেই, ঢাকায় থাকি, এই সব দিনরাত্রি, আরও অনেক নাম মনে না পড়া ধারাবাহিক বা সাপ্তাহিক নাটকগুলি ওহহ.... টারজান, সুপারম্যান, কিম্বা দ্য হোয়াইট লায়ন, আলিফ লায়লা ছাড়াও আরও অনেক অনেক নাম মনে না পড়া কার্টুন সিরিজগুলি আর কলকাতার দূরদর্শন-১, ২ এর কিছু কিছু বাংলা ছবি, কিছু হিন্দি ছবি আর গান, মাঝে মাঝে ভিডিও ক্যাসেট ভাড়া এনে মুভি দেখা (একটু বড় হওয়ার পর)।
ছবিঃ গুগল
৩। আমাদের পুরো গ্রামের মধ্যে সবচেয়ে নম্র, ভদ্র, সুদর্শন হিসেবে বেশ সুনাম ছিল। কিন্তু বন্ধু আমার তেমন একটা ছিল না, কারণ গ্রামের আর দশটা পাজী বজ্জাত ছেলেগুলোর সঙ্গে মিশলে আমিও নষ্ট হয়ে যেতে পারি এইজন্য পরিবার থেকে নিষিদ্ধ ছিল তাদের সঙ্গে মেশা। তবে বিকেলে বাড়ির সামনের খালি জমিকে সাময়িক খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে সকল গ্রাম্য খেলাগুলি উপভোগ করতাম। গোল্লাছুট, দড়ি, বদন, হাডুডু, ইচিং-বিচিং, বউচোর, বাঘ-বন্দী, পটকা (বাঁশের সরু আগা ছিল বন্দুক আর নিমফল বা এইজাতীয় ছোট ফলগুলি বুলেট আর ট্রিগার হিসেবে বাঁশের ফালি চেছে সরু করা দন্ড যেটা অনায়াশে বন্দুকের নলের মধ্যে প্রবেশ করতে পারত), বিয়ারিং দিয়ে তিন চাকার গাড়ী, সুপারীর পাতা দিয়ে বানানো গাড়ি এসব ছিল আমার নিত্যবিকেলের সময় কাটানোর মাধ্যম।
ছবিঃ গুগল
৪। নানার বাড়ীতে একটা কুয়ো ছিল, শুনতাম তার ভেতরে নাকি টাকার কলসি ছিল (নানার বাবা ছিলেন ঐ এলাকার জমিদার)। নানার বাড়ির পাশেই ছিল একটা বিশাল বট গাছ যা এখনও আছে। মাঝে মাঝে বেড়াতে যেতাম আর সেখানে বট গাছের ঝুরি ধরে দোল খেলতাম। নানি, খালাদের মুখে জলপরী, সাত ভাই চম্পা, বামন, দৈত্য-দানব, রাক্ষশ-খোক্কশ, নীল পরি-লাল পরি, বানর রাজা... আরও সব ভুলে যাওয়া অস্বাধারণ গল্পগুলো.........।
ছবিঃ গুগল
নাহ্ এখন আর নয়........পরে আবার কখনও সময় পেলে..... ছাতা পড়ে যাওয়া স্মৃতিগুলো লিখে যেতে চাই।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫