রবিবার মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের অনুপস্থিতি নিয়ে স্পীকারের বক্তব্যের সমালোচনা করে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী স্পীকার আব্দুল হামিদের প্রশ্ন রেখেছেন, তাহলে মাছের বাজারের আড়ৎদার কে?
সোমবার সংসদ অধিবেশনের এক পর্যায়ে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী সংসদে এ কথা বলেন।
সংসদীয় রীতির বিশেষজ্ঞ এম এন কাউলকে উদাহরণ দিয়ে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, স্পিকার হচ্ছেন সংসদের সেবক।প্রভু নন তিনি। কোনো সাংসদের পয়েন্ট অফ অর্ডার অনুযায়ী শুধু রুলিং দিতে পারেন স্পিকার।"
এর আগে গত রবিবার স্পীকার সংসদে বলেছিলেন, সংসদ যেন মাছের বাজারে পরিণত হয়েছে। এভাবে (সংসদ সদস্য) কথাবার্তা বলা এটা যেন ঠিক মাছের বাজারের মতো।
আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, স্পীকার হলেন সংসদের অভিভাবক। তার উপরে অনেক দায়িত্ব ও কতর্ব্য রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, তিনি সংসদের অভিভাবক হয়ে এ ধরণের কথাবার্তা কিভাবে বলেন। এ কথার মানে কি?
স্পীকারের সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, এই কথার দ্বারা এই পবিত্র সংসদকে অসম্মান করা হয়েছে। বিরোধী পরাজিত শক্তি এটাকে কাজে লাগিয়ে সংসদকে অকার্যকর করার ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পেয়েছে এবং জনগন এ কথার দ্বারা বিভ্রান্ত হচ্ছে।
সংসদের মন্ত্রীদের উপস্থিতির ব্যাপারে স্পীকারের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, মন্ত্রী এবং স্পীকারদের সংসদে আসা ছাড়াও তাদের অনেক দায়িত্ব রয়েছে। এবং সব সময় সংসদে উপস্থিত থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই। কেবলমাত্র বিল উত্থাপনের সময় মন্ত্রীদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক বলে আমার জানা আছে।
তিনি সংসদকে জানান স্পীকারের এ বক্তব্যের পর জোট সরকারের চামচা সাংবাদিকদরা বিভিন্ন টেলিভিশনে যে ধরনের কথাবার্তা বলেছেন যা আমাদের জন্য চরম অপমানমূলক ও যন্ত্রনাদায়ক।
তিনি তার ব্যক্তিগত প্রসঙ্গে বলেন, আমার জীবনে কখনো ঘুমহীন রাত্রিযাপন করিনি। তবে স্পীকারের এই বক্তব্যের পর আমার ঐ রাত্রি ঘুমহীন কাটাতে হয়েছে। এখন পর্যন্ত (সংসদে দাড়িয়েঁ) ঘুমাতে পারিনি।
তার বক্তব্যের পর ডেপুটি স্পীকার শওকত আলী সংসদকে জানান, এ ব্যাপারে মাননীয় স্পীকার আব্দুল হামিদ যথাসময়ে সংসদে জবাব দিবেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



