তাবুক যুদ্ধ ও মক্কা বিজয় সময়কালে নাজিল হওয়া সুরাহ আত তাওবা একমাত্র সুরাহ যেটাতে বিসমিল্লাহ পড়তে হয় না। এই সুরার শুরুতে কঠোরতা দিয়ে শুরু হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন এই সুরায় পরম দয়ালু (রহিম), দয়াময় (রাহমান) উচ্চারণ করে পড়আ অনুচিত।
তবে আমি আরো বিশ্বস্ত (আসলে পছন্দসই) সুত্রে জেনেছি এই সুরার আয়াতাংশ পুর্ববর্তী সুরার সাথে একই ঘটনা প্রবাহ/সময়ে নাজিল হওয়া এবং বাক্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থেই শুরুতে বিসমিল্লাহ নেই।
যাক সে কথা, আল্লাহই ভাল জানেন। সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং বিষয় হইল এই সুরা কোরআনের সর্বশেষ থেকে দ্বীতিয় সূরা যা আসলে ইসলামের ফাইনালাইজড অর্ডার সমূহ হিসাবে লিপিবদ্ধ আছে।
বিশ্বজুড়ে অনেক ইসলাম বিদ্বেষী (ইউরোপিয়ানরা বিশেষত) এই সুরা নিয়ে অনেক বেশি আক্রমণ করে ইসলাম যে অশান্তির ধর্ম, তরবারির ধর্ম সেটা প্রমাণ করার জন্য। আমি এখানে অনেক বে-আক্কেল/হতবুদ্ধিকর অবস্থায় পড়ে গেছি।
কারণ কোরআনের সবচেয়ে কঠোর সুরা এটা অথচ এখানে তেমন অস্বাভাবিক/জংগিপনার কোন জায়েজ সিস্টেম এখানে আমি পাইলাম না। তো এই যে জামায়াতুল মুজাহেদিন কিংবা তালেবান এদের এই ম্যানিউপুলেশ (যদি থাকে) তার উৎস কি?
আসলে আজকের এই পোস্ট মূলত কোন ধরণের ধর্ম প্রচার/কোরআন প্রচার/ইসলাম প্রচার নহে। এই পোস্ট মুলত জিজ্ঞাসা পোস্ট। যদি পারেন তবে উত্তর দেন-
ইসলাম/কোরআনে কাফেরদের কল্লা কাটার কি কি আয়াত আছে? (সূরা এবং আয়াত নাম্বার)
মুশরেক/নাসারা/ইয়াহুদীদের বিরুদ্ধাচারণ/হত্যার হুকুম আছে এমন কি কি আয়াত আছে?
মোনাফেক দের শাস্তি সংক্রান্ত কি কি আয়াত?
মুরতাদ/ইসলাম ত্যাগী সংক্রান্ত কি কি আয়াত আছে?
ভিন্নমত দমনে কি কোন আয়াত পেয়েছেন?
আরো প্রশ্ন আসতে পারে তবে আপাতত আমার কিউরিয়াস মন ওয়ান্টস টু নো যে ইসলামের/কোরআনের বিরুদ্ধে অসভ্যতা/আধুনিক ধারণার সাথে সাংঘর্ষিক কি কি আয়াত আছে।
অবশ্যই কোরআন থেকে মেনশন থাকতে হবে। যতই সহিহ হাদীস দিয়ে ইসলামের সৌন্দর্য ক্ষতিগ্রস্থ করতে চান করেন বাট এই পোস্ট স্পেসিফিক কোরআন ভিত্তিক আলাপ। আস্তিক, নাস্তিক সবার জন্য উন্মুক্ত, যে কেহ উত্তর দিতে পারেন, কোন রেস্ট্রিকশন নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৬