মালয়েশিয়াতে আজ ঈদ উল আযহা উদযাপিত হচ্ছে। বেশির ভাগ মসজিদেই সকাল আটটায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
মালয়েশিয়ার কুরবানী আসলে বাংলাদেশের মতো নয় । এখানে বাংলাদেশের মতো লোক দেখানো কোরবানি করা হয় না। এদের এই বিষয়টি আমার খুবই ভালো লাগে। এখানকার মানুষ মসজিদে তাদের ভাগের টাকা দিয়ে আসেন। সেই অনুযায়ী মসজিদে গরু কিনে কোরবানি করা হয়। যিনি টাকা দেন তিনি সাধারণত তার ভাগের জন্য কোন মাংস দাবি করেন না। তবে কেউ কেউ দুই এক কেজি বাসায় খাবার জন্য আনেন। কুরবানির মাংস বেশির ভাগই গরীব লোকদের মাঝে ও এতিমখানা ইত্যাদিতে বিলিয়ে দেওয়া হয়। বাংলাদেশের মতো অমুকে 10 টা গরু, তমুকে ২০ টি গরু কুরবানী দিয়েছে এই ধরনের অহমিকা এখানে কেউ করেন না।
বাংলাদেশে অনেক ব্যক্তি আছেন তারা গ্রামে দুইটা গরু , ঢাকায় তিনটা গরু কোরবানি করেন। অনেকে আবার ফুটানি দেখান তার গরুটি 2 লাখ টাকা দিয়ে কিনা , তার গরুটি 80 হাজার টাকা দিয়ে কেনা। মালয়েশিয়ার অনেক খারাপ জিনিস আমার চোখে পড়েছে। কিন্তু এই জাতীয় খারাপ জিনিস এখানে দেখি নাই।
আমি নিজেও গতকাল বাজারে গিয়েছিলাম। সেখানে দেখেছি গরুর মাংসের দোকান গুলোতে প্রচণ্ড ভিড়। লোকজন ঈদ উপলক্ষে তাদের বাসার জন্য মাংস কিনে নিচ্ছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি গরুর মাংস খাওয়া বাদ দিয়েছি অনেক দিন ধরেই। হার্টের সমস্যার কারণে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার পর থেকেই আমি ঐদিকে আর যাই না।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:৩৯