ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির মধ্যে ফ্যান যন্ত্রটা আমাদের সকলেরই খুব কাজে লাগে মনে আছে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যখন হলে থাকতাম তখন অনেক কষ্ট করে একটি টেবিল ফ্যান কিনেছিলাম। সেটা ব্যাক্তিগত ছিলে বলে সেটার বাতাস খেয়ে আরামে ঘুমানো যেত।
গরমের এই মৌসুমে আমাদের মতো দরিদ্র মানুষদের ফ্যান ছাড়া ঠান্ডা হওয়া খাবার কোন উপায় নেই । অবশ্য পয়সাওয়ালা ধনী মানুষেরা বাসায় এসি লাগিয়ে নিয়েছেন । তাদের কোনো চিন্তা নেই।
টেবিল ফ্যানের পাখা যে দিকে ঘুরে সিলিং ফ্যানের পাখা তার উল্টা দিকে ঘুরে। সিলিং ফ্যান ঘড়ির কাটা মে দিকে ঘুরে সেই দিকে ঘুরতে থাকে। আর টেবিল ফ্যান ঘড়ির কাঁটা যে দিকে ঘুরে তার উল্টো দিকে ঘুরে।
অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় , এরা একে অপরকে দেখতে পারেনা । যেন চির জনমের শত্রু । এক জন ডানে চলে তো আরেক জন বামে চলবে।
সাধারণ মানের টেবিল ফ্যান ও সিলিং ফ্যান ব্যবহার করা হলে টেবিল ফ্যান থেকে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব।
কেননা টেবিল ফ্যানে সাধারণত গতি বাড়ানোর জন্য তিনটা বাটন থাকে। তিন নম্বর বাটন প্রেস করলে সব চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হবে। আবার এক নম্বর বাটন প্রেস করলে সব চেয়ে কম বিদ্যুৎ খরচ হবে।
সিলিং ফ্যানে যদি সাধারণ রেগুলেটর ব্যবহার করা হয় সেই ক্ষেত্রে আপনি এক নম্বর বাটন প্রেস করলেও যে বিদ্যুৎ খরচ হবে তিন নম্বর বাটন প্রেস করলেও সেই বিদ্যুৎ খরচ হবে । বিদ্যুৎ খরচ কমানোর কোনো উপায় নেই ।
সম্প্রতিক কালে শোনা যাচ্ছে, কিছু আধুনিক রেগুলেটর তৈরি করা হয়েছে তা ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ খরচ কমানো সম্ভব।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬