------ক------
টার্গেট আড়াই লক্ষ অবৈধ শ্রমিক।
বিদেশে শ্রমিক আমদানিকারক একটি দেশ হিসাবে মালয়েশিয়া মাঝে মাঝে ই অবৈধ শ্রমিকদের বৈধ করার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করে।
এখানে বিভিন্ন দরিদ্র দেশ থেকে শ্রমিকরা কাজের সন্ধানে আসেন এবং প্রায়ই দেখা যায় তাদের ভিসা ও অন্যান্য কাগজপত্র মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়।
এমনিতেই আনডকুমেন্টেব প্রবাসী শ্রমিকরা বিশেষ করে বাংলাদেশের শ্রমিকরা মালয়েশিয়ার পুলিশদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ।
সম্প্রতি নতুন একটি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে যে কর্মসূচি চলবে ৬ মাস। এই কর্মসূচির মাধ্যমে আনডু কমান্ড প্রবাসী শ্রমিকরা বৈধ হতে পারবেন তবে এর জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করতে হবে আগামী ছয় মাসের মধ্যে। আবেদন গৃহীত হলে তারা এক বছর মেয়াদী ভিসা লাভ করবেন।
দেখা গেছে একজন শ্রমিকের বিভিন্ন ফি মিলিয়ে ৮ হাজার রিঙ্গিতের মতো খরচ হয়।
এর মধ্যে সরকারি বিভিন্ন ফি ও লেভি হয় প্রায় 3000 রিঙ্গিত।
গতকাল মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক মহোদয় বলেছেন, তাঁরা আশা করছেন প্রায় দুই থেকে আড়াই লক্ষ অবৈধ শ্রমিক এই প্রক্রিয়ায় আবেদন করবেন।
যদি দুই লক্ষ শ্রমিক ও আবেদন করে তাহলে তিন হাজার রিঙ্গিত করে ফি ধরলে সরকারের আয় হয় বিরাট অংকের টাকা।
ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়া-ক্যানাডার মত বৈধ হওয়ার প্রক্রিয়া মালয়েশিয়াতে নেই।
ক্যালিব্রেশন নামে চালু করা এই প্রকল্পে প্রতিটি শ্রমিকের নিম্নরূপ খরচ হতে পারে ঃ
১। এককালীন recalibration fee of RM1,500
২। লেভি (levi ) RM1,850 ( নির্মাণ ও উৎপাদনমুখী শ্রমিকদের জন্য) অথবা RM640 (কৃষি ও বনায়ন শিল্পের শ্রমিকদের জন্য)
৩। পাসের ফি RM60 ,
৪। প্রসেসিং ফি RM125
(এটার দেশ ভেদে বিভিন্ন রকম হতে পারে)।
------খ-----
পাসপোর্ট বানানোর ধুম লেগেছে।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট বানানো খুবই সহজ একটি কাজ। আমি এমনও বাংলাদেশের শ্রমিক পেয়েছি
ছি যারা বিগত পাঁচ বছরে তিন থেকে চারটা পাসপোর্ট বানিয়েছে।
সহজে পাসপোর্ট বানানোর তথ্য এখানে পাবেন।
এখানে পাসপোর্ট বানাতে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক খরচ কম হয় । বর্তমানে শ্রমিকদের পাসপোর্ট বানানোর ফি ধার্য করা হয়েছে 116 মালয়েশিয়ান রিংগিত।
মে ব্যাংকের যে কোন শাখায় এই 116 রিংগিত জমা দিয়ে হলুদ রঙের জমা স্লিপ সংগ্রহ করতে হয় । এই জমা স্লিপ আবেদনকারীর নাম এবং পাসপোর্ট নাম্বার উল্লেখ থাকতে হবে।
এরপর একটি পাসপোর্ট আবেদন ফরম কয়েক লাইনে পূরণ করতে হবে। তারপর সর্বশেষ পাসপোর্ট এর ফটোপেজ ও ভিসা পেজের একটি কপি সহ pos Laju করে পাসপোর্ট এর জন্য নির্ধারিত ঠিকানায় পাঠিয়ে দিতে হয়। এরপর পাসপোর্ট হয়ে গেলে ফেসবুকে ফলাফল ঘোষণা করা হয় । এরপর অনলাইনে পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য আবেদন করে একটি কুপন নিতে হয় এবং নির্ধারিত তারিখে পাসপোর্ট সংগ্রহ করা হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৮