জয়পাড়া গেলে আমি সাধারণত একাই ঘোরাঘুরি করি ।
একা ঘোরার মধ্যে একটা আলাদা উপলব্ধি আছে। আলাদা আনন্দে আছে।
যেমন সেবার একা একা জয় পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থান করেছিলাম প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট। ঘুরে ঘুরে দেখে ফিরে যেতে চেয়েছিলাম আজ থেকে অনেক বছর আগে।
ফিরে যাওয়ার ব্যাপারগুলোকে অনেকটাই নিষ্প্রভু করে দিয়েছে তথাকথিত অবকাঠামগত উন্নয়নের ধারা।
আমাদের সময়ে স্কুলের একমাত্র পাকা বিল্ডিংটি ছিল স্কুলের পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত একতলা দালানটি। সেই দালানের প্রায় মাঝামাঝিতে ছিল অগ্রনী ব্যাংকের জয়পাড়া শাখার অফিস। সর্ব উত্তরে তিনটি কক্ষ নিয়েছিল যথাক্রমে অফিস, প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় এবং শিক্ষকদের বসার জন্য একটি কক্ষ। এরপর একটি কক্ষ ছিল যেটা ছিল ল্যাবরেটরি। বিদ্যালয়ের একটি লাইব্রেরী ছিল যেটি আসলে শিক্ষক মন্ডলী বসেন সেখানে অনেকগুলো আলমারিতে সাজানো বই ছিল।
এখন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় গেলে পুরাতন দিনের প্রধান দুইটি টিনশেড ভবনদেখা যায় না। একটি ছিল টিনশেড ঘর যেটি উত্তর দিকে অবস্থিত । আরেকটি ছিল পূর্ব দিকে ব্রিজের সাথে ।
এই ভবনে তছিল জয়পাড়া পোস্ট অফিস এর দপ্তর।
এবার জয়পাড়া গিয়ে সবচেয়ে বেশী মিস করেছি আগের দিনের বটগাছটাকে ।
বটগাছটাকে কেটে ছেঁটে একটা সাইজ করে একটা নতুন আকার দেওয়া হয়েছে বটে। কিন্তু বট গাছের সাথে যুক্ত ছিল যেই ঐতিহাসিক ঘন্টাটি সেই ঘন্টাটি আর ওখানে নেই ।
আমাদের সময় আমরা অপেক্ষা করতাম কখন নূরু চাচা এবং পরবর্তীতে সোহরাব ভাই ঘন্টা বাজাবেন আর ছাত্ররা ক্লাস থেকে বের হয়ে যাবে ।
বট গাছের ঝোলানো সেই ঘন্টাটাই ছিল আমাদের ছুটির ঘন্টা এবং সোহরাব ভাই বাজানোর স্টাইল জানতেন। সেই স্টাইল থেকে আমরা বুঝে যেতাম কখন বিরতি হবে আর কখন ছুটি হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৬