
ধূলিমাখা এই আঁকাবাঁকা পথে ফের-
বাতাসে ভাসছে পূর্বপুরুষের ঘ্রাণ ,
জৈব ফসিল মাটিতে গড়া এ পথই
দূরযাত্রার রথ এনেছিল দ্বারে
ভেন্না পাতার নুপুরে বাজছে স্মৃতি ।
একটি উঠোন, কাঠমালতির পাশেই ডালিমগাছ,
এক্কা দোক্কা ছক কেটে চলে দুরন্ত শৈশব।
দূর থেকে ডাকে স্বাগত বৃক্ষ জোড়া
“তুই তবে এলি, এতদিন পরে, মা!
যে দেশেতে যাস , সেটি কি পাথরে গড়া
আমার কথা কি মনেতেই পড়ে না? “
এপথ আমায় শিকড়ের দিকে টানে,
এই যে নদী আমার শরীরে শিরা ধমনীতে বয়।
আলো না ফুটতেই শান্ত নদীতে
বাতাসের সাথে ঢেউ তুলে এলো কেউ-
সে-ই নিয়ে চলে - জীবনের পথে
দূর থেকে বহুদূর,
কতদূর পথ পেরিয়ে এলাম- সমুখে অথৈ পথ
বুকে জমে থাকে কচুরিপানা বা
পাটপঁচে যাওয়া ঘ্রাণ , যতদূরে যাই-
এ নরম মাটির মায়াই আমার পীঠস্থান।
—-—//———
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুন, ২০২৫ রাত ১১:১৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


