বিবিধ ভাবনা
……………….
শেখর সিরাজ
এক এক লেখকের লেখার দর্শন এক এক রকম হয়ে থাকে এবং তার উপস্হাপনের প্রকাশ ভঙ্গির টং এর মধ্যেও ভিন্নতা থাকে।তার মানে এই নয় তা অশ্লীল,পর্নোগ্রাফি।সৃজনশীলতার সব চিত্র কর্মই পর্নোগ্রাফি নয়।
পর্নোগ্রাফি বলতে আমি সাধারনত রাস্তার ধারের যৌন রসালো ভরপুর চটিগুলোকেই বুঝে থাকি।আর বাংলা সিনেমার কাটপিছ জোরা লাগানো বানিজ্যিক চবিগুলোর কথাই জানি। যদি কোনও একজন জনপ্রিয় লেখকের লেখাকে যৌনতার পক্ষপাতে দুষ্টে বলে অভিহিত করে নিষিদ্ধ করা হয়।তবে তো যৌন বিজ্ঞান এবং নারী পুরুষের রতিক্রীয়া থেকে প্রজননের পর্বটাও পর্যন্ত রীতিমত ভয়াভহ ভাবে অশ্লীলতার দায়ে যুক্ত এবং দন্ডিত।প্রকাশ্যে আমরা যৌনতার বিষয় নিয়ে গোপন করবো,সবার সামনে ধর্মের তজবিহ গুনবো,আড়ালে যৌনতা নিয়ে রসালো মুখরোচক আলাপ করবো,রাতের অন্ধকারে ঘরে বসে রাত ভর টিভিতে পর্নোগ্রাফি দেখবো অথবা বেশ্যালয়ে রাতের নগ্ন নৃত্যের সুরা পান করবো।এটাই হয়তো বাঙ্গালীর ধর্ম উপাসনার চরিত্র।না হয় ধর্ম,না হয় ভন্ডামি।যা হয় বিকৃত যৌনাচার বিকার গ্রস্ত মনোবৃত্তি।অনেকটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকবার মত করে যৌনতা থাকবে লুকানো সিন্ধুকের মধ্যে,আর ধর্ম থাকবে তার বহিরাবনের চাদর।যৌনতার সম্ভোগের রক্ষা কবজ ধর্ম,ধর্ম এবং যৌনতা বাঙ্গালী জাতি সত্তায় বড় স্পকাতর উপাদানের সংযোগ।অবাদ যৌনতা কিংবা ধর্মের অতিমাত্রার রক্ষনশীলতা কোনওটাই বাঙ্গালী জাতি সত্তায় খাপ খায় না।যেটা হয় সাপও মরবে না,লাটিও ভাঙবে না।ধর্মে যৌনতায় কিংবা রাজনীতিতে সব জায়গাতেই তার ব্যাবহারিক তৈজসপত্রে বাঙ্গালী এই ধাচের মধ্যম পথটাকেই অবলম্বন করে থাকে।যেটা বিষধর সাপের চেয়ে ভয়ানক,লক্ষ্য বস্তু নির্নয়ে যদি ভুল না থাকে।তবে বিষধর সাপের একটা ছোবলেই মৃত্যুর জন্য যদেষ্ট,তার জন্য আর দ্বিতীয় ছোবলের প্রয়োজন পড়ে না।ধর্মে যৌনতায় রাজনীতি থেকে শুরু করে বাঙ্গালী জাতি সত্তায় যে সলো পয়জনের বিষ প্রয়োগের ধারা শুরু হয়েছে,তার জন্য হয়তো বাঙ্গালী উত্তর পুরুষ,বাঙ্গালীর পুর্ব পুরুষকে কখনও ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি নিয়ে দেখবেনা।সর্বদাই নাক চিটকাবে।বস্তুবাদী থেকে উত্তরন ঘটিয়ে মুক্ত বাজার অর্থনীতির বিশ্বের পুজিবাদেও এসেও বাঙ্গালী তার ভাল মন্দের পার্থক্য র্নিনয় করতে ব্যার্থ হয়ে ধর্মে যৌনতায় রাজনীতি তার সর্বজনীন তৈজসপত্রের সংস্কৃতিতে বাঙ্গালী জাতি সত্তায় দিন দিন ভোজন রসিক হয়ে উঠছে।কিন্তু কুকুরের পেঠে ঘি হজম করার মত করে তা বাঙ্গালী জাতি সত্তায় হজম করতে পারছে না।
বরং দিন দিন আরও বেশি গুরুতর ভাবে অসুস্হ্য হয়ে পড়ছে।বিকৃত যৌনচারের মত করে,কি ধর্মে কি যৌনতায় কি রাজনীতিতে কি তার সর্বজনীন সংস্কৃতিতে সব জায়গাতেই যেন বাঙ্গালী তার বিকৃত রুচিবোধের পরিচয় দিচ্ছে।ধর্ম শান্তির সহায়ক ভুমিকা পালন করার চেয়ে বেশি হয়ে উঠছে আতঙ্ক এক জংগিবাদের নাম।রাজনীতি হয়ে উঠছে মানুষ ঠকানোর যন্ত্র।যৌনতা হয়ে উঠছে সিন্ধুকের ভিতরে লুকানো সন্তোগ।আমরা পুরুষেরা যখন যৌনতা নিয়ে আলাপ করি তখন নিজেদের মা মেয়ে বোনের বেলায় খুব সর্তক ও শ্রদ্ধাশীল এবং ভালবাসার স্নেহের পরশ পাথরে সত্বি সাবিত্রী হয়ে গদগদিয়ে উঠি।সে শুধু নিজের রক্ত সম্পকীয় মা বোন মেয়ে বলেই, কিন্তু পাড়ার একটি রক্ত সম্পর্কীয় অনাত্মীয় কোনও নারী দেখলেই দোকানের মোড়ের সুবোধ ছেলটিও যে কোনও রকম বাজে মন্তব্য করতে ছাড়ে না।শরীর দিয়ে না হলেও,অন্তত চোখ দিয়ে হলেও একবার মনের কল্পনায় সঙ্গম জলে নিজেক স্লান করিয়ে ছাড়ে।কিন্তু দর্শন কি বলে-যৌনতা এটা একটা প্রকৃতি দস্ত মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি।মানুষের বোধ বুদ্ধি আছে বলেই যৌনতা বিভিন্ন শ্রেনী বিভাজনে বিভক্ত।ধর্মীয় দৃষ্টি ভঙ্গি এবং সামাজিক ব্যবস্হাপনায় রক্ত সমর্পকীয় কাউর সাথে কাউর যৌন সম্পর্ক স্হাপন নিষিদ্ধ।ব্যতিক্রম কিছু যে ঘটে না তা কিন্তু নয়।কিন্তু মানুষ যদি পশু স্তরের প্রানী হতো?কিন্তু মানুষ পশু স্তরে প্রানী নয় বলেই যৌনতা নিয়ে এতো শ্রেনী বিন্যাসের বিভাজন।তারপরেও নারী শেষ পর্যন্ত কোনও না কোনও ভাবে ইচ্ছা কৃত কিংবা অনিচ্ছা কৃত ভাবে পুরুষ দ্বারা ধর্ষিত হয়।কখনও স্বামী কখনও প্রেমিক দ্বারা কিংবা অন্য কোনও প্রলোভনে তার নিকট আত্মীয় কিংবা অনাত্মীয় পুরুষ দ্বারা।প্রেম ভালবাসা বিবাহ,মা বোন মেয়ে নারীর ক্ষেত্রে এ জাতীয় বিশেষনের শব্দ গুলো হচ্ছে গিয়ে অনেকটা নগ্ন শরীরে কাপর পড়ার মত কিংবা বোতলের শরীরে লেবেল আঁঠা লাগানোর মত।বিয়ের মন্ডবে বসতে গেলেও পাত্র পক্ষ মেয়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা বংশ নাম উপাধি দেখার আগে দেখে মেয়ের রুপ সৌন্দর্য্য,মেয়ে কতটা যৌন আবেদনময়ী।কিন্তু খুব কম বাঙ্গালী নারী আছে যারা বাঙ্গালী পুরুষের কাছ থেকে প্রকৃত যৌন সচ্ছলতার তৃপ্তি পায়।বাঙ্গালী নারী পুরুষের রতিক্রীয়ার সঙ্গম মানেই ধর্ষন পর্ব।পুরুষ করে সন্তোগ নারী হয় ধর্ষিত।বাঙ্গালী পুরুষ তান্ত্রিক সমাজ ব্যাস্হাপনায় নারীর বেঁচে থাকটাও পুরুষের ইচ্ছার অধীন। যে নারী ধর্ষনের স্বীকার হয়ে হাসপাতালে যায় গাইনী বিভাগের পুরুষ ডাক্টারটিও শারীরিক পরীক্ষার নামে নগ্ন করে ধর্ষিতা নারীটিকেও দ্বিতৃতীয় বারের মত ধর্ষন করতে কার্পন্যবোধ করে না।খুব কম নারী আছে যারা মুখ ফুটে এসবের প্রতিবাদ করার দুঃসাহস রাখে, কোনও জাতি সত্তায় হয়তো খাঁটি বিশুদ্ধতার জীবন যাপন নেই,আর তা হয়তো কোনও কালে সম্ভবও নয়। না।যেখানে আবাদী ফসলের চাষ হয়,সেখানে ফসলের সাথে আগাছারও জম্ম হয়।নীড়ানি দিয়ে মাঝে মধ্যে আগাছাগুলো উপড়ে ফেলতে হয়।তাহলে জমিনের ফলন ভালো হয়।সব ধরনের সুবিধা অসুবিধার মধ্যে থেকেও পরিমার্জিত পরিশোধিত হওয়ার প্রজ্ঞা নিশ্চয় কোনও ব্যাক্তি রাষ্ট প্রশাসনের জন্য দোষের কিছু নয়।আর সেটা নিশ্চয় গাইনী বিভাগের পুরুষ ডাক্টারটির ধর্ষন পর্বের মধ্য দিয়ে নয়।কিংবা ধর্মের নাম ভাঙ্গিয়ে জংগিবাদের ডাক ঢোল পিটিয়ে নয় অথবা আমাদের মহার্ঘ্য হিজড়া রাজনীতিবিদদের লাগামহীন ঘোড়া দৌড়ের মধ্য দিয়ে নয়।আর সেই পরিমার্জিত পরিশোধিত প্রজ্ঞাবোধ আসবে সাধারন জনগনের মৌলিক গনতন্ত্রের মুক্ত বুদ্ধির চিন্তার চর্চার মধ্য দিয়েই।গনতান্ত্রিক মৌলিক ব্যাবস্হাপনায় কোনও ব্যাক্তি কোনও ধর্ম বা জাতি গোষ্টীর কাছে তার দর্শনে প্রভাবিত হওয়ার জন্য সে দায়বদ্ধ নয়,জিম্মি নয় কিংবা বাধ্য নয়।একটি গনতান্ত্রিক রাষ্টীয় ব্যাবস্হাপনায় একজন ব্যাক্তির এটা তার মৌলিক এক্তিয়ার ভুক্ত অধিকার।সে তা যদি ধর্মকে আঘাত করেই বা হউক না কেন?সে তার চিন্তা দর্শনের মত প্রকাশের অধিকার রাখে।মুক্ত বাজার অর্থনীতির বিশ্বে অনেকেরেই অনেক কিছুতেই অ্যালার্জি আছে।সেখানে শুধু ধর্ম কোনও মৌলিক ইস্যু নয়।মুখ্য বিষয় নারীর ক্ষমতায়ন এবং সুষম বন্টন ও তার যাপিত জীবনের নিরাপত্তা।নারী যেন আধুনিকতার নাম করে শুধু পুরুষের ভোগপন্য না হয়ে উঠে।সেদিক থেকে নারীকেই তার নিজস্ব অবস্হান শক্ত করে ধরতে হবে।নারী যেন শেষ পর্যন্ত নারী হওয়ার আগে মানুষ হিসাবে মুখ্য হয়ে উঠে।এবং নারীর প্রতি পুরুষের সামাজিক দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন।ব্যাক্তির মৌলিক অধিকারে প্রসাশনিক সচ্ছতা।তবেই বাঙ্গালীর জাতিসত্তায় গনতান্ত্রিক রাষ্টীয় ব্যাবস্হাপনা আনুষ্ঠানিক রুপ পাবে।তার আগে নয়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



