somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্মের মিরাকল

১০ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ধর্মের মিরাকল
…………………
শেখর সিরাজ

শুনেছি শক্তির ধংস বা বিনাশ নেই।আছে পরবর্তীতে রুপান্তর।স্হান কাল ভেদে তারও আকার আয়তন পরিবর্তন হয়।সেই রকম শক্তি বলয়ের মত মানুষেরও জীবন মানের দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন আছে কিন্তু সেই অনুপাতে তার মননশীলতার সাথে যদি সঙ্গতি রেখে চিন্তা ভাবনার নৈতিক আর্দশ গত পরির্বতন না ঘটে,তবে সে জাতি সত্তার মানুষের জীবন যাত্রার মানে খুব বেশি রুপান্তর বা পরিবর্তন ঘটে না।উঁচু নিচু ঢিলার মত প্রান নিয়ে স্হবির হয়ে দাড়িয়ে পড়ে।তখন সে সমান তালে পা ফেলে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না।চলেতে গিয়ে বারবার হোঁছট খেয়ে পড়ে।বাঙ্গালী জাতি সত্তা এখনও সেই রকম অনাড়ী শিশুর মত টালমাতাল হয়ে হোঁছট খেয়ে পড়ছে স্বাধীনতার এতো বছর পরেও।মৌলিক গনতন্ত্র বিকশিত হতে বাঁধা গ্রস্ত হচ্ছে।ব্যাক্তি রাষ্ট প্রশাসন।ডাক্টারের ভুল ইনজেকশনে রোগির যেমনি অপঘাতে মৃত্যু ঘটে,তেমনি রাজনীতির ভুল নেতৃত্বে ব্যাক্তি রাষ্ট প্রশাসনের সুস্হ্য গনতন্ত্রের চর্চা বোধেরও অপঘাতে অকাল মুত্য আছে।তৃতীয় প্রজ্ম্মের উত্তরসুরী প্রতিনিধিরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠছে।কিন্তু সে অনুপাতে তারা গনতন্ত্রের রক্ষা কবজের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারছে না।শুধু মাত্র ভুল গনতন্ত্রের নেতৃত্বের জন্য,তার দায় ভার ব্যাক্তি রাষ্ট প্রশাসনের।গনতন্ত্রের চর্চা বোধের নয়।

গনতন্ত্র একটি আধুনিক সর্বজনীন রাষ্টীয় ব্যাবস্হাপনা।এবং সাধারন জনগনের স্বল্প পরিসরে সজ লভ্য সেবা প্রদানের মাধ্যম আধুনিক গনতন্ত্র রাষ্টীয় ব্যাবস্হাপনা।।সেখানে ধর্মের মিরাকল প্রধান্য বিষয় নয়,র্ধম একটি নিদিষ্ট গোত্রের লৌকিক আচার অনুষ্ঠানের প্রতীকি বিভাজনের চিহ্ন মাত্র।কত গুলো নিদিষ্ট লৌকিকতার আচার ব্যাবহার ছাড়া রাষ্টীয় সর্বজনীন গনতন্ত্রের ব্যাবস্হাপনায় ধর্মের কোনও প্রকারের আক্ষরিক অর্থে মুল্য নাই।

বাঙ্গালী জাতি সত্তার তৃতীয় প্রজম্মের উত্তরসুরীর প্রতিনিধিরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও বিনা বাক্যে ধর্মের আফিমের নেশায় টালমাতাল হচ্ছে।সেখানে তৃণমুল পর্যায়ের সাধারন মানুষ কোন ছাড়!তারাই মুলত ধর্মের জগদ্দল পাথরের রোষানলের প্রধান ভিকটিম বা মুলধন।সুযোগ সন্ধানী বখতিয়ার খিলজী হিজড়া রাজনীতির মহার্ঘ নেতারা ধর্মের আবেগী মুলধন পুজি লগ্নি করে গনতন্ত্রের ইস্তেহারে ব্যাবহার করছেন।যা শোভন তো নয় বরং ধর্মের মহামান্বিত উদারতাকে প্রতিনিয়ত খর্ব করছেন।ধর্মের জোর জোবর দস্তির টানাপোড়েনের ব্যাবহার ধর্মের প্রীতি থেকে মানুষের ভক্তি শ্রদ্ধা বোধ খুব বেশি মাত্রায় উঠিয়ে দেয়।ধর্ম যখন গনতন্ত্রের চর্চা বোধে ব্যবহারের হাতিয়ার হয়ে উঠে।তখনেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যাক্তি রাষ্ট প্রশাসনের নৈতিক মুল্যবোধের ধস নামে।এবং সেখান থেকেই ব্যাক্তি রাষ্ট প্রশাসন অতিরিক্ত মাত্রায় দুর্নিতি গ্রস্ত হয়ে পড়ে।সাধারন মানুষের সরলতার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে রাজনৈতিক মঞ্চে যখন গনতন্ত্রের ধোঁয়া তুলে ধর্ম কে ইস্যু বানানো হয়।এর চেয়ে ধর্মের অবমাননা আর কি হতে পারে?ধর্মকে তার নিদিষ্ট লৌকিক আচার অনুষ্ঠানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখাই বাঞ্জনীয় এবং বুদ্ধি মানের কাজ।আর্বজনার স্তুপ নিয়ে বেশি মাত্রায় ঘাটাঘাটি করলে তা পরিবেশ বান্ধব র্দুগন্ধ ছড়ায়,যদিও ধর্ম আর্বজনার স্তুপ নয়।তবে বিবাহ পুর্ব গন্ধব বিবাহের মত।যার দন্ড নারী পুরুষ উভয়কেই দন্ডিত করে।মানে ব্যাক্তি রাষ্ট প্রশাসন সর্বত্রই তার নিতিবাচক প্রভাব ফেলে।সুস্হ্য গনতন্ত্রের চর্চা ব্যাহত হয়।।জাতীয় অগ্রগতি লোকাল বাসের মত থেমে থেমে এগিয়ে যায়।সাধারন মানুষের গনতন্ত্রের নিজস্ব মৌলিক দর্শনের চিন্তা ভাবনা,মুষ্টিমেয় কিছু লোকের হাতে বন্দি হয়ে পড়ে,একটা কথা স্পষ্ট করে বলে রাখাই ভালো ধর্ম কিংবা রাজনীতির ইস্তেহারের নিদিষ্ট গোটা কয়েক দিক নির্দেশনা দিয়ে মানুষের গনতন্ত্রিক বহুমুখী সার্বজনীন জীবন ধারাকে নিয়ন্ত্রন সম্ভব নয়। মানুষের বহুমুখী সার্বজনীন জীবন ধারার জন্য চাই,সার্বজনীন উওর আধুনিক বহুমুখী প্রস্তাবনা ও তার বাস্তবায়ন।মচঁকাবে তবুও ভাঙ্গেবে না,মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে হয়তো অনেকেরেই অনেক কিছুতে অ্যালার্জি আছে,তা সত্বেও যেন কুকুরের পেঠে ঘি হজম হওয়ার মত,বাঙ্গালী জাতি সত্তায়ও যেন তা হজম করার মত মানুষের পরিপাকতন্ত্রের নালীতে শক্তিও থাকে।কিন্তু তা ধর্মের মোড়ক উম্মেচন করে নয়।ধর্মের কল বাতাসে আপনি হতেই নড়ে।তার জন্য উগ্র জংগিবাদের ঢাক ডোল পেটানোর প্রয়োজন নেই।তার জন্য ধর্ম বিশ্বাসেই যদেষ্ট।কথায় বলে বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহু দুর

তার পরেও ধর্মের অন্ধ বিশ্বাসের প্রয়োজনীয়তা মানব সভ্যতা থেকে ফুড়িয়ে যাবে।এমন একটা দিন হয়তো আসবে মানব সভ্যতার সংজ্ঞার মদবাদ উপ-মদবাদের সংজ্ঞাগুলি কালের ইতিহাসের বিলুপ্ত প্রজাতির ফসিল হয়ে উঠবে।মানুষ বর্তমান থেকে আরও উন্নত চিন্তা ভাবনার অধিকারী হবে,মানুষ তার অতীত ইতিহাসের জন্য অনুশোচনায় দগ্ধ হয়ে প্রায়চিত্ত করবে।এক পৃথিবী এক মানুষ,মানবতাই সর্ব ধর্ম বলেই বিবেচিত হবে।প্রচলিত ধর্ম বিশ্বাস নিক্ষেপ হবে আস্হাবলের কুড়ে।



২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৬

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট



পানি জীবনের মূল উৎস। এটি ছাড়া কোনো প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:

وَجَعَلۡنَا... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×