জাদুকর
নির্ঘুমরাত—কাটছে মনটা হাওয়ায় ভাসছে
আধাঁর রাতে মেঘনীল আকাশে অভিমানী মেঘ দেখে
তোমারও হয়তো অভিমান হয়েছে খুব—
সেই একজন
স্বপ্নপুরুষ হয়ে,
ঘুমের রাজ্যে—স্বপ্ন ডানায় ভর করে
তোমারে বুকে লয়ে—নিত্য ভালোবাসিতেছে খুব।
পৃথিবীর সব সুখ —যেন হরণ করেছে
তার লোমশ প্রশস্ত বুক— বাঁকা ঠোঁট,
তুমি আর আগের মতন করে
অবলীলায় ভালোবাসি বলতে পারো না অন্য কাউকে
অদ্ভুত জড়তা; অদ্ভুত ঘোর
সব ভালোবাসা যেন বিলীন হয়ে গেছে
—একজোড়া মুগ্ধ দু’চোখে; কেমন করে অবাক চেয়ে থাকে তারা
নিরবে নিভৃতে প্রেম এবার দিয়েছো উজাড় করে তারে
স্বশ্রদ্ধ সম্ভ্রমে—কিছুটি নেই আর অবশেষ, তোমার করে..
তুমি প্রেমে পড়ে আজিকে রিক্ত নিঃস্ব অথচ গর্বিত— এক নারী
সেই স্বপ্নচারী—মায়াপুরী থেকে শব্দ এনে মায়াবী রাতে
—কবিতা লিখে রোজ;
প্রেমের উত্তাপে কঠিন বরফ বিগলনে
তুমি যেন সতত বহতা নদী— অনুভবে
থেকে থেকে তাতে ঢেউ ওঠে—সাগরে স্রোত হয়ে যেন ছোটে
উতলা হাওয়া প্রবাহিত হয় বুকে—
আর অবাক চোখে দেখেছো মনের সুখে
দু’জনার ভালোবাসায় আর কোন বিরুধিতা নেই—কোনখানে
চারিদিক মুখরিত যেন আমাদের দু’জনার প্রেমে
সবাই অভিবাদনে সিক্ত করছে প্রেরণা দিয়ে
তাতে নিহিত যেন—
দু’জনার গোপন অভিসারের সুস্পষ্ট ইঙ্গিত;
মানুষটা না আসলেই জাদুকর!
ভাবছো সুনিশ্চিৎ..
পুনশ্চ দূর্দিনের যাত্রী
পুনশ্চ দূর্দিনের যাত্রীগণ—তোমাদের অভিবাদন
সকল প্রতিকূলতা জয় করে
আমাদের সোনার তরী জানি
একদিন ঠিকই কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছে যাবে
অতীতেও মিথ্যে টিকেনি সত্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
অভিশপ্ত কারূনের মতো করে তা
—সতত ডুবতে থাকে
রুদ্র জমিনের বুকে—বিত্ত বৈভব সমেত।
জানি একদিন সুদিন আসবে—সাফল্য পদচুম্বন করবে
রাহুমুক্ত হবে ব্লগ—আবারো প্রস্ফুটিত হবে ফুল
ফুলের সুবাস মেখে বসন্তের বাগানে ডাকিবে কোকিল
নীল নদে ডুবে আবারো হবে সলিল সমাধি—নব্য ফেরাউন
গুয়েবলসীয় কায়দায় বেশি দিন দমিয়ে রাখা যায় না সত্যের অগ্রযাত্রা
এসো হে সুধীগণ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মিথ্যের ভিত কাঁপিয়ে দিই
দূর্দিনের যাত্রীরা তোমরাই শ্রেষ্ঠ সন্তান— সামনে বিজয় সুনিশ্চিত
সমুখে এগিয়ে চলো—সকল অতীত ব্যবধান ভুলে
ব্যবধান হয়েছে শুধু—
আমাদের দ্বিধাবিভক্ত করে দাসত্বের শৃঙ্খল পড়াবে বলে
এসো হে সুধীগণ! এসো হে!! একি পতাকা তলে
একাত্তরের মতন করে উজ্জীবিত হয়ে
—আমরা রচিবো বিজয়ের সমবেত সঙ্গীত।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:১৮