অবসান!!!!
_________
কাঁদো মেঘবালিকা কাঁদো,
অঘোর বর্ষায় বিভোর হয়ে
ঝরে পড়ে যেন— তোমার অবদমিত অভিমান।
প্রখর সূর্যালোকে— উত্তাপে তোমার প্রস্থান ,
উত্তাল সমুদ্রের বুক হয়ে আকাশে মেঘালোকে ।
যেন সংক্ষুব্ধ হয়েই তোমার এই উত্থান
রমনীর উদ্ধত স্তনের মতো মিলনের অভিপ্রায়ে
তোমার আমার অযাচিত ব্যবধান
দূর করার সুদৃঢ় প্রত্যয়ে
বৃষ্টি হয়ে নেমে আসে ভূমির উপর
অতঃপর মাটির ভেতর।
স্পর্শের বাইরে থেকে রচিত হোক
গভীর প্রণয়ের সংগত সুনিশ্চিত প্রেক্ষাপট
তুমি কামনার্ত হয়ে ওঠো
তুমি যেন বৃষ্টি স্নাত রক্তজবার মতো শাশ্বত
কামিনীর অনুরাগে
বিকশিত হও, এই অঘোর বর্ষায় শ্রাবণের প্লাবণে।
অতঃপর আমার সুদৃঢ় কামনা
তোমার দেহের ভাঁজে গ্রহণ করে
তুমি পান করো অমৃত সঞ্জীবনী সুধা
তৃপ্তির ঢেকুর তুলে
তুমি সিক্ত হয়ে ওঠো, উর্বর সোঁদামাটির মত।
আমি যেন দোসর গড়ে
তোমার জঠরে প্রবাহিত স্বর্গীয় নদী,
করি জলদান।—
তুমি যেন ঈশ্বর—
তোমাতে ভালোবাসার দ্রাক্ষারস হয়ে ওঠে
সম্ভাবনার মানব ভ্রূণ;
বালুকণা যেমন ঝিনুকের আবডালে গড়ে তোলে মুক্তো।
বৃষ্টির টাপুর টুপুর জলে সতেজ হলো প্রাণ
অঘোর বৃষ্টি যেন অব্যর্থ যৌবনের গান,
তোমার আমার প্রণয়ে অনন্ত প্রতীক্ষার
এবার তবে হোক অবসান ।
ভুত!!!!
___
আমি লিখি দেশের কথা,
দশের কথা৩ হৃদয়ের ব্যাকুলতা
এই মনের গোপন ব্যথা।
আমি ভাবি একা নয়
সবাইকে নিয়েই বেঁচে থাকার নাম জীবন
অন্যথা হলে তা মরণসম ।
তাই যেন লিখে ফেলি
বেঁচে থাকার উপায় , অলঙ্কার অথবা উপকরণ
নিয়ে কাব্য দর্শন অথবা নাতিদীর্ঘ কবিতা।
লেখা শেষ হওয়ার আগেই
যেন চেপে বসে ঘাড়ে একটা ভুত
প্রেমের সবিতা।
অপ্সরা রূপে যেন সুনিয়তি মম
যেন এক সাক্ষাত দেবদূত ,
খুব ভালোবাসি তাকে
তাই যেন লাভা উদগীরনের মত
জেগে ওঠে পৌরুষ অসহায় প্রাণে।
লেখা শেষে হয়— যেন অভিসার
আমাদের দুজনার।
একটা ভুত যেন ভালোবাসি খুব;
পরশে যার লোহা হয় খাঁটি সোনা
মহাদেশ হয়ে ওঠে ধূলিকণা
সমুদ্র হয়ে ওঠে জলকণা
আমার কী দোষ ?
তবুও ভালোবাসি খুব— সেই একটি ভুত ।
হে রাতের পাখিরা!!!!
-------------------
হে রাতের পাখিরা, কিসের সাধনায়?
তোমাদের এই রাতজাগা— জানিনা,
কিসের তাড়নায়? দুচোখে তোমাদের
যেন নিশি জাগা প্রহরী।
তোমরা কি তবে পণ করেছো— দেখবে না স্বপ্ন
নাকি দু’চোখে ঘুম আসে না— তাই
এখানেই তোমাদের নৈঃস্বর্গ বিরচন
নাকি এখানেই আছে তোমাদের— প্রাণপ্রিয়জন
তাই যদি হয়, তোমাদের পথচলা যেন হয় স্বর্গময়।
তোমাদের চাওয়া যেন— পূর্ণতা লাভ করে
ভ্রান্তিগুলো দূর করে তোমাদের পথচলা যেন
আলোর পথে হয়।
তোমরাও যেন নক্ষত্র হয়ে ওঠো—
তোমাদের দেখানো পথে যেন সৎ পথের সন্ধান মেলে
হে রাতাজাগা পাখিরা— এখন সাধনা ক্ষণ
এ যে মহেন্দ্রক্ষণ! তোমাদের এই রাতজাগা যেন সফল হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৩