কাব্যিক ভ্রমণে মম হে সহযাত্রি
প্রেরণা হয়ে দিবারাত্রি
করেছো ঋণী কেবল
তোমারে তোমাদেরে স্মরণ করি তাই আজও শ্রদ্ধাভরে
হয়ত পারিনি অতটা হৃদয়গ্রাহি করে
যতটা চেয়েছো তুমি তোমরা
অনেকেই ভেবেছে নিছক বিড়ম্বনা শুধু
অযথা কালক্ষ্যাপন—ভালোলাগেনি যাদের
সবার ভালোলাগে না যে সব;
বাসন্তী ফুল পুষ্প সৌরভ পাখির কলতান
জানি সকলে ভালোবাসে না কবিতা
তবু লিখে গেছি হৃদয়ের ব্যাকুলতা
ঋতু পরিক্রমায় জননী জন্মভুমি প্রকৃতি বদলায়
মেঘ— বৃষ্টি —আলো— রৌদ্র মেখে গায়
প্রকৃতির অপরূপ সব রূপ আস্বাদন
কার না লাগে ভালো, বলো?
আমি যেন গেয়ে গেছি সমবেত সঙ্গীত
তোমাদের সাথে লয়ে—যেন ধ্যানমগ্ন এক বক
এক পায় দাঁড়িয়ে; হাঁটু ভাঙা জল অসহায়
তবুও হয়ত হয়নি লেখা;
একটিও মনের মতো করে তোমার, তোমাদের।
তবু জানি প্রচেষ্টা যায় না বৃথা আমাদের— মানবের
—হতে পারে না তা
হয় সে কী করে? জনম জনম ধরে অনন্ত সাধনা যা..
তাইতো লিখে গেছি অবিরত
ক্রমাগত হৃদয়ের গহীন থেকে গভীরতর অনুভূতি
চিরন্তন শাশ্বত বের হয়ে আসে আকূতি
আগ্নেয়গিরির লাভার মতো।
স্রষ্টার ইশারায় অনুমোদনে
হয়তো হয়েছে দিনে দিনে তা প্রগাঢ়— আরো
অনন্ত প্রেরণার কলম লিখে চলে—খরস্রোতা নদীর মতো
পার হয়ে সব বাঁধা কৃষ্ণ কৃষ্ণ-রাধা
কাব্যিক ভ্রমনে হে মম সহযাত্রি
জানি প্রতীক্ষার হয় শেষ
হবেই হবে শেষ এইসব তিমির রাত্রি...
ছবিঃ নিজস্ব এ্যালবাম
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩১