মায়ের মমতা, আদর স্নেহ অবাক নৈতিকতা
সতত মুগ্ধ করে আমায়।
মা যে আমার দেখা প্রথম বিপ্লব
অকূতভয় শত প্রতিকূলতায় ।
হার না মানা মায়ের তাই হয়না তুলনা।
জীবন যুদ্ধে চলার পথে মা -ই
আমার প্রেরণা, আমি মায়ের কাছে যাই,
বাবার কবর জিয়fরতে কিছুটা সময় কাটাই,
মায়ের পায়ের নীচে আমি বেহেশত খুঁজে পাই।
মায়ের মতন দয়ালু দাতা আর যে কেহ নাই
ধর্মভীরু মা আমার স্বস্তির ঠিকানা।
আমি মায়ের কাছে যাই মা যে আমার শেষ স্বান্তনা।
মা যে আমার মহান সাধক সন্তানের মঙ্গলকামনায়
মা যে আমার মাথার তাজ
শেষ আশ্রয় স্তন্য দাতা গর্ভধারিনী
মায়ের মাঝে স্রষ্টার ছায়া অনেক দয়া স্নেহের রাগিনী।
জীবন সংগ্রামে সতত করছি যেন লড়াই সবখানে
মায়ের চেয়ে বড় লড়াকু আর দেখিনা যে কোন খানে।
তাই মা-ই আমার চলার পথে জীবন যুদ্ধে প্রথম আদর্শ
মায়ের মাঝেই আমি যেন অসীম শক্তির উৎস খুঁজে পাই।
মা আমার অমূল্য রতন কেউ না জানুক আমি ঠিকই জানি।
মায়ের জন্যই স্তুতি বন্দনা তাই সারা দিবারাতি।
বিনম্র শ্রদ্ধা মা তোমার জন্য অনেক প্রার্থনা
তুমি যেন থাকো সুখে সদা এই শুভ কামনা।
--------
বি. দ্র. মা আমার ছবি তুলেন না। তাই মডেল হিসেবে সালমান মুয়াজের মা। মুয়াজ হয়েছে করোনার সময়ে। করোনা বিজয়ী শিশু। মুয়াজ হওয়ার একদিন পরেই মুয়াজের মা কে নিয়ে যাওয়া হয় রংপুরে তার শরীরে অস্ত্রপাচার করতে হবে। টানা মাস তিনেক ট্রিটমেন্ট বলতে গেলে প্রতিদিন ড্রেসিং । ব্রেস্ট ফিডিং করতে পারতো না। তাই জীবনের শুরুর কয়টা দিন মুয়াজের নিদারুন স্ট্রাগলিং। জীবন যুদ্ধে মুয়াজের মাও। মুয়াজকে আমি বলি লড়াকু। ও যে জীবন যুদ্ধে অবতীর্ণ জীবনের শুরু থেকেই। মুয়াজের মায়ের কষ্ট সহ্য করার শক্তি বেচে থাকার প্রেরণা দিতো সেই ছোট্ট মুয়াজ । আমি তখন করোনাকালের কবি। আমি জানি আমার মায়ের কথা। আমাদের বড় করেছেন লালন পালন করেছেন। বাবা মারা যাবার পর আবারও একাই তিনি নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে যাচ্ছেন পুরুষ শাসিত এই সমাজে।তিনি আবার পর্দানশীন নারি। তিনি মেয়েদের তালিম দিয়ে কাঠমোল্লা গ্রুপের চক্ষুশূল। আমি মায়ের সাথে আছি। কবিতাটি গতদিন আন্তর্জাতিক মা দিবসে লেখা। তাই মা দিবসে আমার মা সহ সকল মায়ের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেশত কে না জানে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০২৩ সকাল ৯:৫৫