somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীব ও জীবনের রহস্য - (মৃত্যুর কালো হাত)

০৯ ই জুন, ২০১০ সকাল ৯:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জীব ও জীবন নিয়ে আলোচনা করতে গেলে, সেখানে মৃত্যুও চলে আসে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে মৃত্যু কি এবং কেন মৃত্যু হয়? ধর্মীয় দিক থেকে মৃত্যু হচ্ছে আত্ত্বার দেহ ত্যাগ। আর বিজ্ঞানের ভাষায় মৃত্যু হচ্ছে জীব বা জীব কোষের সে সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলোর বিনাস যা ঐ জীব বা জীব কোষটিকে জীবিত বলে ঘোসনা করছিল। তার মানে জীবনের বৈশিষ্ট্যগুলো থেমে গেলেই মৃত্যু হয়। উচ্চতর জীবের জন্য এ মৃত্যু দুই ভাবে ঘটে। এক কোষীয় মৃত্যু ও দুই দৈহিত মৃত্যু। উচ্চতর প্রাণীগুলোতে কোষীয় মৃত্যু হর হামেসাই ঘটে। যেমন, আঙ্গুলের নখ্ (যে অংশটা চামড়ার সাথে লেগে থাকে না), অধিকাংশ সময় এই কোষীয় মৃত্যু বুঝা যায় না; কারন নতুন কোষ সে ঘাটতি মিটিয়ে ফেলে। আর দৈহিক মৃত্যু হচ্ছে পুরো দেহের মৃত্যু। যখন জীবনি শক্তি শেষ হয়ে যায় তখন কোষীয় বা দৈহিক মৃত্যু হয়। এই জীবনি শক্তিটা কি? যার পেছনে বিজ্ঞানীরা ছুটে চলেছেন এবং এখন পর্যন্ত ব্যার্থ জৈব রাসানিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া দ্বারা ব্যাখ্যা করতে। তোব কি এটাই সেই আত্ত্বা?

তাই যদি হয় আত্ত্বা কোথায় থাকে? নিশ্চয় কোষে, কারন কোষের মৃত্যু হয়। কিন্তু বহুকোষ বিশিষ্ট জীবের ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয় সমস্যা। যদি ধর্মীয় মতবাদ মেনে নিই তবে একটি জীবে, একটিই আত্ত্বা থাকার কথা। তাহলে বহুকোষী জীবের ক্ষেত্রে কোষীয় মৃত্যুতে আত্ত্বার কোন পরিবর্তন হবার কথা নয়। শুধু মাত্র দৈহিক মৃত্যুতেই এটা বলা যায় যে আত্ত্বার মৃত্যু হয়েছে বা আত্ত্বা দেহ ত্যাগ করেছে। তাহলে কোষীয় মৃত্যুর ব্যাখ্যা কি? আবার উচ্চতর জীবের কিছু অঙ্গ দৈহিক মৃত্যুর পরও কিছু সময় বেঁচে থাকে। যেমন মানুষের মৃত্যুর পর হৃদপিন্ড ১৫ মিনিট, কিডনি ৩০ মিনিট ও কঙ্কাল পেশি প্রায় ৬ ঘন্টা বেচেঁ থাকে। তার মানে দেখা যাচ্ছে ধর্মীয় মতবাদ দিয়ে মৃত্যুকে পুরোপুরি ব্যাখ্যা করা যায় না। কারন আত্ত্বার অবস্থান নির্ণয় করা যায় না, আবার আত্ত্বা দেহ ত্যাগকেও বর্ণনা করা যায় না!

মজার ব্যাপার হচ্ছে, মৃত্যু শুধুমাত্র উচ্চতর জীব যাদের যৌন-জনন হয় তাদের জন্যই প্রযোজ্য। যাদের যৌন জনন হয় না, তারা আক্ষরীক অর্থে অমর! যেমন অ্যামিবা সহ বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া, তাদের দৈহিক বৃদ্ধি ঘটতে থাকে, এবং এক সময় বিভক্ত হয়ে দুটি জীবে পরিনত হয়। (এই ক্ষেত্রে আত্ত্বার যে কি ঘটে, তা ধর্মে ব্যাখ্যা নেই!) যাদের অযৌন জনন হয় তাদের ক্ষেত্রে এই ঘটনা চলতেই থাকে বার বার যদি তারা অনুকূল পরিবেশ পায় তবে। আর প্রতিকূল পরিবেশে তাদের কোষীয় কিছু কার্যক্রম বন্ধ করে, স্পোর গঠন করে। এ সমস্ত অনুজীব মারা যায় তাপপ্রয়োগে বা কেমিক্যাল প্রয়োগে।

তাই যদি হয় তবে কি মৃত্যু একটি জিন গত বৈশিষ্ট্য! যা আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে পূর্ব পুরুষের কাছ থেকে পেয়েছি এবং বহন করে চলছি? তারমানে প্রতিটি উচ্চতর জীব এমন কিছু জিন বহন করছে যা ঐ জীবটির মৃত্যু ঘটায়। এধরনের জিনকে লীথ্যাল জিন বা মারন জিন বলে। মেন্ডেলের মোনোহাইব্রিড ক্রশে অনুপাত ১:২:১ এর পরিবর্তে ১:২ হয় লীথ্যাল জিনের কারনে। তাহলেকি মৃত্যু আসলেই একটি জিনবাহিত রোগ, যা আমরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বহন করে চলছি!?

আগের পর্বগুলো
১। জীবনের সূত্রপাত
২। জীবনের বৈশিষ্ট্য

আসছে >> অমরত্বের হাতছানি
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১০ রাত ১০:৫৫
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×