আমার পুরানো ডায়রী থেকে লেখা তুলে দিলাম।
অফিস বিল্ডিংয়ের সিড়িতে দেখলাম গানের স্যার দাড়িয়ে আছেন। সালাম দিয়ে ভিতরে ঢুকলাম। হাফসা আপার রুমে ঢোকার আগে দেখলাম নাচের আপা দাড়িয়ে আছেন। তাকে সালাম দিয়ে ভিতরে ঢুকলাম। হাফসা আপাকে দেখলাম উপস্হাপনার মেয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। সালাম দিলে আমার দিকে তাকিয়ে হেসে ফেললেন। বললেন, "আমি এখনই তোমাদের ফোন করার কথা বলছিলাম আর তোমরা এসে পড়লে" তন্বীর (উপস্থাপিকা) আম্মা শেখাকে বললেন, "তুমিই বড় বিলাই "? হাফসা আপা বললেন, "না ও শেখা"।
এরপর হাফসা আপা উপস্থাপিকা শিটে বড় বিলাইয়ে র নাম কেটে শেখা লিখে দিলেন। আমাকে বসতে বললেন। অথচ চেয়ার মাত্র দুটো। একটাতে ঐ আন্টি আর আরেকটাতে শেখা বসে ছিল। আমার অপ্রস্তুত অবস্থা দেখে আন্টি উঠে আমাকে বসতে বললেন। কিন্তু একজন বয়স্ক মহিলাকে উঠিয়ে আমি বসি কি করে? তাই আমরা দুজনে দাড়িয়ে রইলাম আর চেয়ার খালি রইল। এরপর হাফসা আপা আন্টিকে বললেন, "আপনারা স্টেজে যান, ওদের (আমি আর শেখা) নিয়ে যান"।
অফিস থেকে বের হয়ে আন্টি অডিটোরিয়ামে যাবার পথ দেখিয়ে দিলেন (যেন এই মাত্র সুন্দরবন থেকে আমরা এসেছি কিছুই জানিনাহ)।
এবং নিয়ে কন্যাকে নিয়ে উল্টা দিকে চলে গেলেন। আমি আর কি করি, শেখাকে নিয়ে অডিটোরিয়ামে চলে আসলাম। একি! স্টেজের একি অবস্থা! রাস্তায় বানানো মঞ্চও এরচেয়ে ভাল হয়। সরু সিড়ি বেয়ে স্টেজে উঠলাম। তিন পাশে সাদা ময়লা চাদর দিয়ে ঢাকা। স্টেজের কোনায় চাদর সরিয়ে ঢোকা যায়। কোনাটা মেকানিক দিয়ে জ্যাম হয়ে আছে। বললাম, "এক্সকিউজ মি আমরা ভিতরে যাব" সবাই সড়ে দাড়িয়ে আমাদের ঢোকার জায়গা করে দিল। আমি আর শেখা ভিতরে একবার উকি দিয়ে দেখলাম, সম্পুর্ন অন্ধকার, কেউ নেই আর বসার কোন জায়গা নেই। শেখা বলল, "এখানে ঢুকে কোন কাজ নেই, চলো আমরা চলে যাই"।
এরমধ্যে স্বপন ভাই (গিটারের শিক্ষক) এসে মেকানিকদের পরামর্শ দেয়া শুরু করেছেন। আমরা স্টেজ থেকে নামার আগেই তিনি সিড়ি দিয়ে নামা শুরু করলেন আর পরপরই আমি আর শেখা। এখানে একটা কথা জানানো দরকার, স্বপন ভাই বেশ ছোট খাট একজন মানুষ। আর গলাও ভরাট না মানে বেশ চিকন। ফলে আমার নিচের সিড়িতে তাকে কেমন দেখাচ্ছিল, সেটা দেখটে না পেলেও অনুমান করা কঠিন না। কারন দর্শকদের প্রথম সারির লোকরা ৩৩ দাত বের করে হাসছিল। আমি এসব পাত্তা না দিয়ে অডিটোরিয়ামের দরজার পাশে দাড়ালাম। বেশ কিছুক্ষন দাড়িয়ে গল্প করে পা ব্যাথা করার পর দেখলাম তন্বী আর তার মা আসছে। ওরা ভিতরে ঢুকে সোফায় বসে আমাদের ডাকলেন। আমরাও বিশেষ অতিথিদের জন্য সংরক্ষিত আসনে (সোফায়) বসলাম। একটু পর আন্টি আর তন্বী উঠে চলে গেল। ম্যানেজম্যান্টের লোকজন আমাদের দিকে বাকা চোখে তাকাচ্ছিল।এখানে আমাদের বসা উচিত না। শেখা ভয় পেয়ে বার বার বলছিল, "চলো উঠে যাই"।
আমি জোর করে বসে রইলাম। যা হয় হবে। দাড়িয়ে থাকতে পারবোনা। এদিকে হলের সিট সম্পুর্ন ভরে গেল। মানুষ আর দাড়িয়ে থাকতে না পেরে সোফায় বসে পরতে আরম্ভ করলো। অবশ্য আমাদের বসা দেখে সাহস পেল। এরপর একাডেমীর লোকদের আর সহ্য হলো না। ওরা উঠে যেতে বলল এবং কেউই উঠলোনা। বলল, "আগে সিটের ব্যবস্থা করে দেন তারপর উঠব।" পরে উপ পরিচালক আসলে কমিটির লোকরা তার কাছে নালিশ জানালো। তিনি বললেন প্রথম সারির সোফাতেই অতিথিদের জায়গায় হয়ে যাবে। তাই দ্বিতীয় সারির লোকদের আর উঠতে হলোনা। আমরাও স্বস্তির নি:শ্বাস ফেললাম।
আলোচিত ব্লগ
কিছু হিন্দু অখন্ড ভারত চায়
মুসলিম অখন্ড ভারত শাসন করেছে তখন তারা ছিলো সংখ্যা লঘু। খ্রিস্টান অখন্ড ভারত শাসন করেছে, তারা তখন সংখ্যা লঘু মুসলিম থেকেও সংখ্যা লঘু ছিলো। তারপর মুসলিমদেরকে সাথে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ্ সাহেবের ডায়রি ।। টাইম ম্যাগাজিনের আগামীর ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় বাংলাদেশের নাহিদ ইসলাম
নাহিদের ভাষ্য, ‘আমাদের নতুন প্রজন্মের পালস বুঝতে হবে। বাংলাদশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহিংসতার যে পালাক্রম– অবশ্যই তার অবসান হতে হবে। আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’ ... ...বাকিটুকু পড়ুন
যে গল্প প্রকাশিত হবার পর নিষিদ্ধ হয়
এক কাপ চা, শীতের সন্ধ্যায় বেশি ঝালের ভর্তায় মাখানো চিতই পিঠার অজুহাতে বুকপকেটে কতবার প্রেম নিয়ে তোমার কাছে গিয়েছিলাম সে গল্প কেউ জানে না।
আজকাল অবশ্য আক্ষেপ নেই।
যে গল্প... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইন্দিরা গান্ধী চেষ্টা করেছিলেন বাংলাদেশের মিলিটারীকে ক্ষমতা থেকে দুরে রাখতে!
১৯৭১ সালের জেনারেশন'এর কাছে ইন্দিরা (১৯১৭ - ১৯৮৪ ) ছিলেন ১ জন বিশাল ব্যক্তিত্ব; যু্দ্ধ লেগে যাওয়ার পর, উনি বলেছিলেন যে, বাংগালীরা ভালো ও নীরিহ জাতি, তিনি এই জাতিকে... ...বাকিটুকু পড়ুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন - পর্ব ৩
জুলাই ১৮: ছাত্রলীগের হামলা, সাধারণ শিক্ষার্থীদের হত্যা এবং ঢাবি প্রশাসনের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে ১৭ই জুলাই কমপ্লিট শাট ডাউন কর্সুচী ঘোষনা করে বৈষম্যিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন