‘রেহেনা মারা গেছে’ কথা টা বললেন আমাদের প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার রফিক ভাই । আমাদের প্রতিষ্ঠান টা দেশের মফস্বল শহরে অবস্থিত । আমাদের মূল ব্যবসা আইটি হলেও মোবাইল এক্সাসারিজ এর ব্যবসা শুরু করেছে এই দুই তিন মাস । আর এই মোবাইল সেকশনে অফিস সহকারী হিসাবে জয়েন করেছিল, রেহেনা । অনার্স পড়ুয়া রেহেনা এসেছিল, এই জেলার অত্যন্ত প্রত্যত্ত এলাকা থেকে; যে কিনা কম্পিউটার জিনিস টা হাতে স্পর্শ করে দেখেনি , আমাদের এখানে আসার আগে । যাই হোক, আমি বিস্ময় হতবাক হয়ে গেলাম । এমন সদা হাসিখুশি মেয়ে, এমন তরুণ প্রাণ মাত্র ২৩ বছরে থেমে গেল । এই ডিজিটাল দুনিয়ায়, মেয়ে টা ছিল সম্পূর্ণ অপরিচিত ।
রফিক ভাই কে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম, বোকা মেয়ে টার সাথে এক প্রবাসী ছেলের সম্পর্ক ছিল । ছেলে টা বিদেশে যাওয়ার আগে, মেয়েটার দেহে তার একটা অংশ রেখে যায় । ছেলে টা বিদেশে গিয়ে ওর সাথে প্রথম প্রথম যোগাযোগ রাখে । কিন্তু যেই রেহেনা ছেলে টা কে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে, তখন ছেলে টা এক রকম যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় । এর পর কোন উপায় না পেয়ে, রেহেনা ছেলের পরিবার কে সব জানায় । ছেলে পরিবার রেহেনা আর তার বাবা কে চরম অপমান করে । সামাজিক চাপ আর অপমানের বোঝা সইতে না পেরে, রেহেনা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ।
এমন তরুণ প্রাণ হারিয়ে গেল ।
এই যুগ টা ডিজিটাল । সবাই সব কিছুতে সচেতন । তারপরও কিছু মানুষ, সব কিছু জেনেশুনে বোকামি করে ফেলে ।
সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা ।