এই মানুষবিহীন চন্দ্রাভিযানের গুরুত্ব এজন্য যে এর সংযুক্ত মডিউল চাঁদ থেকে ২ কেজির মত মাটি সংগ্রহ করবে । এর একটি থ্রি ডি এনিমেশনে খুবই চমৎকারভাবে বিষয়টি বোঝানো হয়েছে । প্রায় ১১ ভাগের পঞ্চম স্তরে এটি ড্রিল করে চাদের ভিতর থেকে মাটি বা বালু সংগ্রহ করে ভেতরে একটি পাত্রে আটকে দেবে । এরপর চাদের ওপর চার পায়া স্ট্যান্ড ত্যাগ করে মুল অবতরন যান আবার তেল বা গ্যাস শক্তিতে উপরে অপেক্ষমান রকেটের সাথে যুক্ত হবার সময় তার বাইরের অংশ আবারো ত্যাগ করবে । এবার মুল চন্দ্রযান সৌর বিদ্যুতে পৃথিবীর দিকে ধাবমান হবে । পৃথিবীর বায়ুতে এসেই এটি তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে একটি ছোট অংশ ইনার মঙ্গোলিয়ার উপরে আকাশে প্যারাসুট ছেড়ে ল্যান্ড করবে । আমি গভীর মনোযোগ দিয়ে পুরো বিষয়টি দেখলাম এবং তাজ্জব হলাম চীনাদের মহাকাশ প্রকৌশলের শনৈ শনৈ উন্নতিতে । সিচুয়ানে ৮০ র দশকে বানিজ্যিকভাবে রকেট উৎক্ষেপণ প্যাড বসাল । অপরের কৃত্রিম উপগ্রহ নিজেদের রকেটে উৎক্ষেপণ করেই ভালই আয় হচ্ছিল । সাথে অর্জন হচ্ছিল অভিজ্ঞতা । চীন নিজের অনেকগুলো স্যাটেলাইট এই লঞ্চ প্যাড থেকেই ছুড়েছে। এবারের মহাকাশযান উৎক্ষেপণ হবে হাইনান থেকে , নতুন আরেকটি লঞ্চ প্যাড । প্রায় ৩৫ বছর পরে একটি দুর্দান্ত এপিসোড দেখতে পাব আমরা ২০২১ এর জানুয়ারিতে । পুরো সংগ্রহ বিষয় চীনের নির্মিত রোবট সম্পন্ন করবে । সাহায্য প্রয়োজন হলে ভুমি থেকে কন্ট্রোল প্যানেল দিয়ে সমাধান করবে । প্রকৌশল জ্ঞান অর্জনে চেষ্টার কোন বিকল্প নেই । সফল হলে চীন চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহে তৃতীয় দেশের তালিকায় নাম লেখাবে ।
চীনের চাঁদ অভিযান
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৭