আমরা বাংলাদেশীরা বাদুড়ের জিন থেকে আসিনি ভাই । না বাদুড় খাই, না খাই প্যাঙ্গোলিন বা বন রুই । আমাদের কোন জীবাণু গবেষণাগার নেই , নেই জীবাণু অস্ত্রের গোপন ল্যাব । আমাদের মুসলিম , হিন্দু , বৌদ্ধ সবাই ক্লিন খাবার খায় । তোমাদের মত সর্বভুক নই । তোমাদের চীনারা আমাদের যেই এলাকায় ঘাটি গাড়ে সেই এলাকার কুকুর সব উধাও হয়ে যায় । তোমরা বলছ গেল ২০১৯ এর আগস্টে এদেশে এই ভয়ানক ভাইরাস দেখা গেছে । মরি মরি , জুতা মারি তোর মুখে । এসব তত্ত্ব খুজতে গেলে তোমাদের সৃষ্ট মাওবাদিদের বা চাকমাদের ধরলেই হবে । উহানের কেস চেপে গেলে কেন বাপু ? কমিউনিস্ট পার্টির প্রোপ্যাগান্ডা টিম বেশ দুর্বল এক ধরনের তত্ত্ব ছড়িয়েছে । আমরা ভ্যাক্সিন নেব কি নেব না এটা আমাদের সিদ্ধান্ত । নেইনি বলে এত বড় ব্লেম ? শোন আর নেবোও না !!! তোমাদের ভ্যাক্সিনে যে আরও দশটি ভিন্ন ভাইরাস লুকিয়ে থাকবে না কে জানে ? এই বদমাইশি করে আমাদের পশ্চিমমুখি করে দিলে । আমরা কি উহানে গিয়ে চীনাদের সাথে হাগ করতে চেয়েছি ? তোমরা রোমে গিয়ে তাই করেছ । সারা দুনিয়ার ব্যাবসা তোমাদের চাই । রমরমা ভ্যাক্সিন ব্যাবসা তাও তোমাদের হবে । পশ্চিম বিশ্বে বিশ্বাস আগেই হারিয়েছ , আমরা তো এতদিন হারাইনি , এবার চূড়ান্তভাবে হারালাম । উহান ল্যাবে কারা কারা শীর্ষ কর্মকর্তা ছিল ? প্রাক্তন শীর্ষ নেতা এবং এখনো পর্দার আড়ালে গুটি চালান সেই জিয়াং জে মিনের জামাই , পুত্র বা পৌত্রদের অংশীদারিত্ব উহান জীবাণু অস্ত্রের ল্যাবে অত্যন্ত স্পষ্ট । ট্র্যাম্প আসার সাথে সাথে আমেরিকার গবেষণাগারে এক বিজ্ঞানি ভয়ানক এক জীবাণু অস্ত্রের ফর্মুলা বের করেছিল । সেই প্রকল্পে ট্র্যাম্প অর্থায়ন করেনি । সেই বিজ্ঞানি চীনের উহানে সেই ল্যাবে ঘাটি গেড়েছিল । তিন বছর বাদে ২০১৯ সালে উহানের মাছ বাজারে প্রথম সংক্রমনের রেকর্ড পাওয়া গেল । প্রয়াত ডাঃ লি কে পুলিশ ধরে নিয়ে গেল কেন সে তার বন্ধুদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ভয়াবহ রোগের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানান দিয়েছিল । তাকে পুলিশ নিয়ে গেল এবং একটা মুচলেকায় সাইন করে ছেড়ে দিল । কদিন বাদেই লি অসুস্থ এবং কোভিড ১৯ এ মারা গেল । এতো চেপে যাবার কি এমন ছিল ? তৃতীয় কেউ কি আন্তঃ সঙ্ঘাতে ল্যাবের ৩ কিলোমিটার দূরে মাছের বাজারে সংক্রমণ ঘটিয়ে দিল । সারা দুনিয়া ওলট পালট হয়ে যাচ্ছে আর তোমাদের আঙ্গুল বাংলাদেশ আর ভারতের দিকে । তোমরা ৭১ সালে পাকিস্তানের পক্ষে ছিলে । ১৬ই আগস্ট ১৯৭৫ তোমরা বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিলে যখন রক্তের দাগ মোছেনি ।
সম্ভবত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদন্ত দলের কাজ শেষ । আমরা জানতে পারব কি সেই অজানা কাহিনী । তবে ভাইরাসের স্পাইকের সাথে আলাদা প্রোটিন যুক্ত করা হয়েছে , ন্যাচারাল না , এটা এপ্রিল মাসেই জানি । বাংলাদেশ ভারত বেটে ফেললেও এমন বিজ্ঞানি খুজে পাবে না যে এই ভাইরাস গবেষণা করে তাকে ভয়ানক করে তুলতে পারে ।
একটা গল্প বলে শেষ করি । আমি ৮৩ সালের শুরুতে আমার লিভার ফাংশনে গোলমাল দেখা দিলে বিশেষ হাসপাতালে ভর্তি হলাম । বৃদ্ধ ডাক্তার , গোটা হাসপাতালের চিফ আমায় চেক করতে আসতেন । আমার ফ্লোরে সবাই বিদেশি কূটনীতিক আর বিদেশী ছাত্র ছাত্রী রোগী থাকে । একদিন ডাক্তার আমায় চেক করতে করতে বললেন ওই যে আফ্রিকান কূটনীতিক রাগ করে হাসপাতাল ছেড়ে গেল তার হেপাটাইটিস সে দেশ থেকে নিয়ে এসেছে । কূটনীতিক যাবার আগে আমায় বাইরের বারান্দায় দাড়িয়ে অপরিচ্ছন্নতার অভিযোগ করে গেছেন । কদিন বাদেই ডাক্তার ছুটতে ছুটতে এলেন , আমি দাড়িয়ে বাইরের বারান্দায় । তিনি আমার পাশে দাড়িয়ে বললেন ওই যে তোমার পাশের রুমে যে আফ্রিকান রোগী এসেছে সে তার দেশ থেকে রোগ বয়ে নিয়ে এসেছে ।
ডাক্তার আমায় পুত্রবৎ স্নেহ করতেন । আমি তাকে খুব শ্রদ্ধা করতাম , ভালবাসতাম ।
এখন আমার বলতে ইচ্ছা করছে বাড়িতে চীনা বা মাওবাদী কেউ এলে কুত্তা বিলাই ট্রাঙ্কে ভরে তালা দিয়ে রাখবেন কিন্তু ।
আপডেটঃ ৩০,১১ বিকেল চারটা , ভারতীয় সংবাদ পত্র ।
চিনের দাবি হয়তো তবু একটু গুরুত্ব পেত, যদি অন্য কেউ তাদের সমর্থন করত। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তো বাধা হচ্ছে চিন নিজেই। কোনও নিরপেক্ষ তদন্তকারী দলকে সাহায্য করছে না চিন। বেশ কয়েক মাস আগে উহানে একটি তদন্তকারী দল পাঠিয়েছিল হু। কিন্তু উহানের সেই খাবারের বাজারে দলটিকে ঢোকার অনুমতি দেয়নি চিনা প্রশাসন। হু-এর একটি নতুন প্রতিনিধি দল চিনে যাওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু তারাও কবে চিনে ঢোকার অনুমতি পাবে, তার ঠিক নেই। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, কোভিড-১৯-কে খতম করতে, কোথায় এর উৎস, সেটা জানা জরুরি। যাতে পরবর্তী অতিমারি আটকানো যায়, তার জন্যেও বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু পশ্চিমি বিশেষজ্ঞদের দাবি, চিন এ সব নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয়। বরং তাদের নজর, কার ঘাড়ে দোষ চাপানো যায়!
---------------------------------------------------------
ওই তদন্ত দল নিয়ে আমার একটি পোস্ট ছিল ।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৭