কয়েক মাসের জন্য অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা রফতানিতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউটের উপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) দেয়া সাক্ষাতকারে সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী আদর পুনাওয়ালা এ কথা জানিয়েছেন।
উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউটের সিইও জানিয়েছেন, "আপাতত তারা শুধু ভারত সরকারকে টিকা সরবরাহ করবেন।" ভারত সরকার গতকাল এই টিকা অনুমোদন করেছে। তবে শর্ত হচ্ছে, সিরাম ইনস্টিটিউট বর্তমানে তাদের উৎপাদিত টিকা তারা ছাড়া অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করতে পারবে না, রপ্তানিও করতে পারবে না। ভারত সরকার আগে নিজের দেশের জনগণের প্রথম ডোজ টিকা নিশ্চিত করবে, তারপর শর্ত শিথিল করার কথা চিন্তা করবে। সিরাম ইনস্টিটিউট আগে ভারত সরকারকে ১০ কোটি টিকা সরবরাহ করবে, তারপর অন্য হিসাব।
খবরটি কেবলই গণমাধ্যমে এসেছে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে ঘটনাটি খুবই স্বাভাবিক। ভারত এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণের দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে আছে, জনসংখ্যা দেড়শ কোটি। ভারত সরকার স্বাভাবিকভাবেই নিজের দেশের চাহিদা মেটানোর আগে সিরাম ইনস্টিটিউটকে ব্যবসা করার সুযোগ দিবে না। এ ক্ষেত্রে সিরাম ইনস্টিটিউট বা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বেক্সিমকোর ও কিছু করার নাই। চুক্তিতে এমন কিছু বলা নেই যে যে কোন মূল্যে বাংলাদেশকেই আগে টিকা দিতে হবে। সিরাম ইনস্টিটিউটের সাথে কিন্তু কোভ্যাকসেরও ৩ কোটি টিকা সরবরাহের চুক্তি হয়েছিল। সেটিও আপাতত পিছিয়ে গেল।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১৭