somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাধা বিনোদ পাল: আজও যে বাঙালিকে কৃতজ্ঞচিত্তে সম্মান জানায় জাপানিরা

২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিচারপতি রাধা বিনোদ পাল

টোকিও ট্রাইব্যুনালের অন্য বিচারকদের সঙ্গে রাধা বিনোদ পাল

কুষ্টিয়ার প্রত্যন্ত শালিমপুর গ্রামের রাধা বিনোদ পালের ভাস্কর্য আজ সদর্পে দাঁড়িয়ে জাপানের কিয়োটো শহরে। কেবল ভাস্কর্যই নয় তার নামে আছে রাস্তা, গড়া হয়েছে জাদুঘর। তার নামে আছে রাজধানী টোকিওতে সুপ্রশস্ত রাজপথ। সম্রাট হিরোহিতো তাকে ভূষিত করেছেন জাপানের সর্বোচ্চ সম্মাননা 'কোক্কা কুনশোও' পদকে।

অথচ অভাবের তাড়নায় একসময় পড়াশোনা বন্ধ করতে হয়েছিল রাধা বিনোদ পালকে। পরিবারের খরচ জোগানোর জন্য মামার দোকানে ফুটফরমাশ খাটতে হয়েছে তাকে।

আজকের জাপানের উন্নতির পেছনে অন্যতম ভূমিকা ছিল রাধা বিনোদ পালের। তারা সেই অবদান ভোলেনি। আর তাই ২০০৭ সালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে ভারত সফরে এসে রাজ্যসভার অধিবেশনে দাঁড়িয়ে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন রাধা বিনোদ পালকে। কলকাতায় কৃতজ্ঞচিত্তে সাক্ষাৎ করেন তার বৃদ্ধ ছেলের সঙ্গে।

কিন্তু কেন এই সম্মান? কে এই রাধা বিনোদ পাল?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের পর জাপান আত্মসমর্পণ করেছিল। নিতে হয়েছিল যুদ্ধাপরাধের দায়। পরাজিত জাপানের শাসনের ভার যায় মিত্র শক্তির হাতে। মার্কিন জেনারেল ডগলাস ম্যাকআর্থারের নির্দেশে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত জাপানিদের বিচারের জন্য গঠিত হয় 'ইন্টারন্যাশনাল মিলিটারি ট্রাইব্যুনাল ফর দ্য ফার ইস্ট', যা টোকিও ট্রাইবুনাল নামে পরিচিত। ডগলাস ম্যাকআর্থার জাপানি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করেন। অভিযুক্ত করা হয় ২৮ জন জাপানি রাজনীতিবিদ, সামরিক ও সরকারি কর্মকর্তাকে। এই ট্রাইব্যুনালের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন অস্ট্রেলিয়ান বিচারপতি স্যার উইলিয়াম এফ ওয়েব।

ট্রাইব্যুনালে বিচারকের দায়িত্ব দেওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সোভিয়েত ইউনিয়ন, চীন, ফ্রান্স, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস মিলিয়ে ১০ দেশের ১০ জন বিচারককে। তাদের মধ্যে ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাধা বিনোদ পাল। গোটা উপমহাদেশেই তার বিচারের পুঙ্খানুপুঙ্খ রায়ের সুখ্যাতি ছিল। বলা বাহুল্য, জাপানি সেনাবাহিনী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে, ১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর আচমকা যুক্তরাষ্ট্রের পার্ল হারবার আক্রমণ করে। ওই হামলায় ২৪০৩ সেনাকর্মী ও বাসিন্দা মারা যায় এবং ১৪২৭ জন আহত হয়। কেবল তাই নয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি সেনাবাহিনী অজস্র গণহত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাট চালিয়েছিল। গণহত্যার মধ্যে সুক চিং ও নান জিং গণহত্যা ছিল অন্যতম। প্রায় দুই লাখের বেশি নারীকে ধর্ষণ ও যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করেছিল জাপানি সেনাবাহিনী, যারা পরে 'কমফোর্ট উইমেন' নামে পরিচিতি পায়।

এ ছাড়া মিত্রশক্তির বহু যুদ্ধবন্দী সৈন্যকেও নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করেছিল জাপানি বাহিনী। বন্দীদের ওপর জীববিদ্যা সংক্রান্ত গবেষণা চালানো হয়েছিল। জাপানের সম্রাট শোয়ার অনুমোদনে যুদ্ধে জৈব ও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে জাপান। পরবর্তীতে ইন্টারন্যাশনাল সিম্পোসিয়াম অফ দ্য ক্রাইমস অফ ব্যাক্টেরিওলজিকাল ওয়ারফেয়ার এর গবেষণায় দেখা যায় জাপানের জৈব ও রাসায়নিক হামলায় পূর্ব এশিয়ায় প্রায় ৫ লাখ ৮০ হাজার মানুষ নিহত হয়।টোকিও গিয়ে রাধা বিনোদ পাল দেখলেন তাকে মূলত সমতার জন্যই রাখা হয়েছে। বিচারক হিসেবে তার দায়িত্ব এক প্রকার লোক দেখানোর মতো। তাকে থাকতে দেওয়া হয়েছিল অতি সাধারণ এক হোটেলে। অন্য বিচারকদের জন্য ছিল আলিশান ব্যবস্থা।

রাধা বিনোদ পাল জানতেন জাপান যুদ্ধাপরাধ করেছে। তেমনি জাপানও যে ভয়াবহ যুদ্ধাপরাধের শিকার হয়েছে সেটিও সত্য।

তিনি তার রায়ে লিখেছিলেন, 'জাপানকে এককভাবে যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী করা হলে এটি হবে চরমতম ভুল। কারণ বাকি দেশগুলোও ভয়াবহভাবে যুদ্ধাপরাধ করেছে। এর অন্যতম উদাহরণ ছিল হিরোশিমা নাগাসাকিতে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ। হিরোশিমায় প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার এবং নাগাসাকিতে প্রায় ৭৪ হাজার নিরীহ মানুষ নিহত হয়। যুদ্ধাপরাধের জন্য যদি জাপানের বিচার করতে হয় তবে বাকিদেরও বিচার করতে হবে।'এই বিচারের অভিযোগ প্রক্রিয়া ছিল তিনটি ধাপে। প্রথম অভিযোগ, শান্তির বিপক্ষে অপরাধ। দ্বিতীয় অভিযোগ, প্রচলিত যুদ্ধাপরাধের বিচার। তৃতীয়ত, মানবতাবিরোধী অপরাধ।

এই বিচারের রায় ছিল মোট ১ হাজার ২৩৫ পৃষ্ঠার। রাধা বিনোদ পাল তার রায়ে শেষের দুটি ক্ষেত্রে আপত্তি তোলেন। তিনি বলেন, জপান যখন যুদ্ধে গিয়েছিল তখন এই অপরাধের জন্য কোনো আইন ছিল না। এই আইন তৈরি হয়েছে পরবর্তীতে। জাপান যখন যুদ্ধে গিয়েছিল তখন এই বিষয়ে কিছুই জানত না। সুতরাং বর্তমানে আইন তৈরি করে আগের অপরাধের বিচার করা যৌক্তিক না। জানা আর অজানা অপরাধের মধ্যে বিস্তর ফারাক।

রাধা বিনোদ পালের এমন মতামত শুনে ডাচ এবং ফরাসি বিচারকেরা নিজেদের অবস্থান খানিকটা নিরপেক্ষের দিকে মোড় নিলেন রায়ে তার তেমন প্রভাব দেখা যায়নি। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য নিজেদের জায়গায় অটল থাকে। এ সময় তারা রায়ের আগে প্রশ্ন তুলেছিল যদি জাপানে পারমাণবিক বোমা হামলা না হতো তবে জাপান আত্মসমর্পণে রাজি হতো না। কিন্তু প্রমাণসহ রাধা বিনোদ পাল দেখিয়েছিলেন, পারমাণবিক বোমা হামলা না করলেও জাপান আত্মসমর্পণে রাজি হতো। তিনি একই বলেন, হিরোশিমা নাগাসাকিতে যে হামলা হয়েছে তা ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ। জাপানকে যদি সম্পূর্ণ দোষী সাব্যস্ত করা হয় তবে মিত্র শক্তির আরও চরম শাস্তি পাওয়া উচিত। এ সময় গোটা বিচারিক প্যানেল ফুঁসে উঠেছিল। তাকে পশ্চিমা এবং মিত্রশক্তি বিদ্বেষী হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়েছিল।

মূল রায় ও পর্যবেক্ষণ ছিল ১২৩৫ পৃষ্ঠার। এটি ৮০০ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়েছিল মূল রায় হিসেবে। দেশভাগের পর ১৯৪৮ সালে এই বিচার শেষ হয়। রাধা বিনোদ পালের এই রায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। মূলত এর মধ্য দিয়েই জাপান বড় ধরনের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ থেকে মুক্তি পায়। রাধা বিনোদ পালের এই রায়ের ফলে জাপান নিজেদের অপরাধ অনেকটাই আড়াল করতে পেরেছিল।

এই রায়ে মোট ৭ জন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ১৬ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং দুইজনকে ২০ ও ৭ বছর করে কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়। তবে, জাপান বিশাল অংকের ক্ষতিপূরণ থেকে বেঁচে গিয়েছিল। রাধা বিনোদ পালের দেওয়া এই রায় বিশ্বনন্দিত ঐতিহাসিক রায়ের মর্যাদা লাভ করে। তার এই রায় জাপানকে সহিংসতার দীর্ঘ পরম্পরা ত্যাগ করে সভ্য ও উন্নত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় মনোনিবেশে প্রধানতম সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

রাধা বিনোদ পাল কেবল রায়ের মধ্য দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেননি। বিচারের চার বছর পরে ১৯৫২ সালের ৬ আগস্ট হিরোশিমার শান্তি স্মৃতি উদ্যানে দাঁড়িয়ে পারমাণবিক বোমা হামলার অষ্টম বার্ষিকীতে জাপানিদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, 'যদি আবার জাপানিরা যুদ্ধে জড়ায় তবে হিরোশিমার সেই নৃশংসতায় নিহত নিরীহ মানুষদের প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা করা হবে।'

রাধা বিনোদ পালের এই বক্তব্য অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিল জাপানিরা। সে বছরই বিচারের রায় মেনে নিয়ে সান ফ্রান্সিসকো শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে জাপান। এর ফলে জাপানের দখল ছেড়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। জাপানিরাও তাকে আশ্বস্ত করেছিলেন, 'জাপান কখনোই আর যুদ্ধে জড়াবে না এবং সব সময় শান্তির পক্ষে থাকবে।'

সেই থেকে জাপানের শান্তির সূচনা।

রাধা বিনোদ পালের জন্ম ১৮৮৬ সালের ২৭ জানুয়ারি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ছাতিয়ান গ্রামে নিম্নবিত্ত মাতুলালয়ে। তার শৈশব কেটেছিল অভাব-অনটনে। শৈশবেই বাবাকে হারিয়েছিলেন রাধা বিনোদ। তাদের প্রত্যন্ত শালিমপুর গ্রামে তখনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। ইমান আলী পণ্ডিত নামের এক শিক্ষানুরাগীর চেষ্টায় গড়ে উঠেছিল একটি পাঠশালা। সেখানেই ৮ বছর বয়সে রাধা বিনোদের হাতেখড়ি হয়। তার মেধার পরিচয় পেয়ে ইমান আলী পণ্ডিতই পড়াশোনার ব্যবস্থা করেন। এখান থেকে নিম্ন প্রাথমিক পরীক্ষায় ভীষণ ভালো ফলাফল করায় মাসিক দুই টাকার বৃত্তি পান রাধা বিনোদ পাল। কিন্তু এরপরই শুরু আসল বঞ্চনা। নতুন স্কুলে ভর্তির জন্য রাধা বিনোদকে তার মা ও বোনকে নিয়ে যেতে হয় তার মাসির বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার মোড়ভাঙ্গা গ্রামে।

স্কুলে ভর্তি হলেন বটে কিন্তু সেখানেও দেখা দিল নানা সমস্যা। এ সময় তিনি বোয়ালিয়া বাজারে মামার দোকানে কাজ করতেন যেন অন্তত তার থাকা খাওয়াটা কোনক্রমে জুটে। দোকানেই থাকতেন তিনি। কাজ করতেন দুই বেলা। আর স্কুলের সময় পায়ে হেঁটে, নদী পার হয়ে সাত মাইল দূরে এম ই স্কুলে যেতে হতো তাকে। এ জন্য প্রায়ই ক্লাসে দেরি হতো। এক সময় পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। তার মামা, মাসিরা একদিন বলেই বসে, যথেষ্ট হয়েছে। আর তোর পড়াশোনার প্রয়োজন নেই। এ সময় পরিবারের খরচ চালাতে তাকে পড়াশোনা ছেড়ে পুরোপুরিভাবে চাকরি নিতে হয় মামার মুদি দোকানে।

কিছুদিন পর তার মাসতুতো ভাই কৃষ্ণবন্ধুকে কুমরি এম ই স্কুলে ভর্তি করানো হয়। আর কৃষ্ণবন্ধুর পরিচারক হিসেবে রাখা হয় রাধাবিনোদকে। ছুটিতে যখন কৃষ্ণবন্ধু পালকীতে চেপে মোড়ভাঙ্গায় ফিরতেন তখন পালকির পিছু পিছু আসতেন রাধা বিনোদ। তার মা একদিন ছেলের এমন কষ্ট সহ্য করতে না পেরে হৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে চিঠি লিখলেন যেন কেউ রাধা বিনোদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করে দেন। পরবর্তীতে তার পড়াশোনার ব্যবস্থা হয়েছিল এক শিক্ষানুরাগীর সহযোগিতায়।

কুষ্টিয়া জিলা স্কুলে এন্ট্রান্স ও রাজশাহী কলেজ থেকে এফ এ পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন রাধা বিনোদ পাল। ১৯০৭ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে গণিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করার পর এলাহাবাদ একাউন্টেন্ট জেনারেল অফিসে কেরানি হিসেবে কর্মজীবন শুরু হয় তার। ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজে গণিত বিভাগে প্রভাষক হিসেবে শুরু হয়েছিল তার শিক্ষকতা জীবন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি ছিলেন ময়মনসিংহ কোর্টের আইনজীবী। একাধারে শিক্ষক ও আইনজীবী হিসেবে নিয়োজিত থাকার পরও অসামান্য মেধাবী রাধা বিনোদ পাল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলএম পরীক্ষায় ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হন। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন শাস্ত্রে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিন বার মর্যাদাপূর্ণ 'Tagore Law Lecture' প্রদান করেছিলেন রাধা বিনোদ পাল।

১৯৪১ সালে প্রথম তাকে ভারতের আইন উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই দায়িত্বের পর তাকে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারক করা হয়। সেই দায়িত্ব শেষ করার পরে তিনি পান কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বও। খ্যাতি পেয়েও নিজের শেকড়কে ভোলেননি রাধা বিনোদ পাল। অবসর নেওয়ার পর ফিরে যান তার জন্মভিটে ছাতিয়ান গ্রামে। ১৯৪৬ সালের এপ্রিল মাসে আন্তর্জাতিক সামরিক ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি হিসেবে যোগদানের আমন্ত্রণ পাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি গ্রামের বাড়িতেই ছিলেন।

জাপান এই অসামান্য বাঙালি বন্ধুকে ভোলেনি। জাপানের সম্রাট হিরোহিতো তাকে ভূষিত করেছিলেন জাপানের সর্বোচ্চ সম্মাননা 'কোক্কা কুনশোও বা 'First Order of the Secret Treasure' পদকে। জাপানের নিহন বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ভূষিত করেছে সম্মানসূচক LL.D উপাধিতে। টোকিও এবং কিয়োটো শহরের মেট্রোপলিস গভর্ননেরা তাকে 'ফ্রিডম অব দ্যা সিটি অব টোকিও ও কিয়োটো' সম্মানে ভূষিত করেছিল। তার সম্মানে ইয়াসুকুনি মঠে একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হয়। রাজধানী টোকিওতে সুপ্রশস্ত রাজপথের নাম রাখা হয়েছে তার নামানুসারে।

আজ থেকে ১৩৬ বছর আগে বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় ছাতিয়ান গ্রামে জন্মেছিলেন কিংবদন্তীতুল্য এই মানুষটি। জন্মদিনে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই ড. রাধা বিনোদ পালের প্রতি।

সূত্র

The Tokyo Judgment and the Rape of Nanking/ Timothy Brook

বিচারপতি রাধাবিনোদ পাল এক বাঙালির জাপান জয়/ আবুল আহসান চৌধুরী।

Embattled Japan PM woos back conservatives / Reuters.


জাপানের টোকিওর ইয়াসুকুনি মঠে রাধা বিনোদ পালের সম্মানে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ

দি ডেইলি স্টার ,আহমাদ ইশতিয়াক এর রচনা থেকে কপি , ছবি সহ ।।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৩১
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কবিতাঃ হে বলবান

লিখেছেন ইসিয়াক, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪০

কে আছিস বলবান!
হ্ আগুয়ান।
দে সাড়া দে ত্বরা।
ধরতে হবে হাল,বাইতে হবে তরী, অবস্থা বেসামাল।

জ্বলছে দেখ প্রাণের স্বদেশ
বিপর্যস্ত আমার প্রিয় বাংলাদেশ।
মানবিকতা, মূল্যবোধ, কৃষ্টি, সভ্যতা, সংস্কৃতির বাতিঘর।
সর্বত্র আজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

জুলাইয়ের তথাকথিত আন্দোলন পুরোটা ছিল মেটিকিউলাস ডিজাইন

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১৬

জুলাইয়ের তথাকথিত আন্দোলনের পুরোটা ছিল মেটিকিউলাস ডিজাইন

লালবদর নীলা ইস্রাফিল এখন বলছেন ও স্বীকার করছেন যে—
জুলাইয়ের সবকিছুই ছিল মেটিকিউলাস ডিজাইন।
মুগ্ধের হত্যাও সেই ডিজাইনের অংশ।

অভিনন্দন।
এই বোধোদয় পেতে দেড় বছর লাগলো?

আমরা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

তারেক ৩০০০ কোটী টাকার লোভেই দেশে ফিরেছে

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১০



তারেক এসেছে, বলেছে, I have a plan; তারেকের প্ল্যানটা কি? এই মহুর্তে তার প্ল্যান হতে পারে, নমিনেশন বাণিজ্য করে কমপক্ষে ৩০০০ কোটি টাকা আয়। ৩০০ সীটে গড়ে ১০... ...বাকিটুকু পড়ুন

বই : টক অব দ্য টাউন

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৮

বই : টক অব দ্য টাউন



একটি বই হঠাৎ করে এতটা আলোচনায় আসবে আমরা কি ভাবতে পেরেছি ?
বাংলাদেশের মানুষ অতি আবেগপ্রবন , বর্তমান রাজনৈতিক অস্হিরতার মধ্যে ও
বাঙালীর স্বভাবসুলভ অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকার মানুষের জীবন

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪


ঢাকাতে মানুষ বড় বিচিত্র ভাবে বেঁচে থাকে। নিয়মিত ঢাকার রাস্তার ঘুরে বেড়ানোর কারণে এই রকম অনেক কিছু আমার চোখে পড়ে। সেগুলো দেখে মনে হয় মানুষ কত ভাবেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×