যখন স্বর্ণযুগ ছিল, শহরটি অর্থনীতিতে ব্যাপক উন্নতি দেখেছে। এটি এখনো বিশ্বের অন্যতম বাসযোগ্য শহর হিসেবে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে। তবে আশঙ্কার বিষয় হলো অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র এই শহরটি এখন ‘যৌন পর্যটনের নতুন কেন্দ্রে’ পরিণত হচ্ছে।
অনেকের ধারণা হতে পারে এটি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক। তবে তা নয়। শহরটি হলো জাপানের রাজধানী টোকিও! অনেকে এই ক্ষেত্রে টোকিওর নাম শুনলে অবাক হবেন। তবে অর্থনৈতিক সমস্যা থাকায় শহরটির অনেক নারী এখন যৌনকর্মীর পেশা বেঁছে নিচ্ছেন।
তরুণদের নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান লিয়াজোঁ কাউন্সিল প্রটেকটিং ইয়ুথের মহাসচিব ইয়োশিদে তানাকা সংবাদমাধ্যম দ্য স্টারকে বলেছেন, “জাপান গরীব দেশে পরিণত হয়েছে। আমাদের সংস্থার পাশের পার্কে যৌনতা বেঁচাবিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে পার্কটির আশেপাশে অনেক বিদেশি পুরুষকে দেখা যাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এখন অনেক বেশি বিদেশি পুরুষদের দেখছি। তারা বিভিন্ন দেশ থেকে আসছেন। এরমধ্যে রয়েছে শেতাঙ্গ, এশিয়ান, কৃষ্ণাঙ্গ— তবে বেশিরভাগই চীনের। ২০ বছর বয়সী উঠতি তরুণীরা জীবনধারনের জন্য সেক্স ইন্ডাস্ট্রিকে বেঁছে নিচ্ছে।”
এই অধিকারকর্মী আরও বলেন, “বাস্তবতা হলো জাপান এমন দেশে পরিণত হয়েছে যেখানে বিদেশি পুরুষরা নারীদের পেতে পারে এবং তাদের সঙ্গে যৌনকর্ম করতে পারে।”
বিষয়টি এখন গুরুতর সমস্যায় পরিণত হয়েছেন বলে জাপান টাইমসকে জানিয়েছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা কাজুনোরি ইয়ামানোই। তিনি বলেন, “এটি এখন আর কোনো অভ্যন্তরীণ ইস্যু নেই। বিশ্বব্যাপী জাপানি নারীদের যেভাবে দেখা হচ্ছে সে দিক দিয়ে এটি খুবই গুরুতর সমস্যা।”
এই সেক্স ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িত আছে কিছু চক্র। তাদের বিরুদ্ধে প্রায়ই অভিযান চালাচ্ছে দেশটির পুলিশ। গত সপ্তাহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেহ ব্যবসার জন্য নারীদের খোঁজ করছিল।
করোনা পরবর্তী সময়ে অনেক নারী ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েন। এছাড়া অনেকে হোস্ট ক্লাবে খরচের জন্য দেহ ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।