somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

“ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত”

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সরকারী দলঃ বিরোধী দল একটি বিশেষ দেশের মদদে ফুল ফুটতে বাঁধা দিচ্ছে। সরকার বিরোধী দলের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে ফুল ফুটাবেই। কোন ষড়যন্ত্রই ফুল ফুটানো বন্ধ করতে পারবে না।
বিরোধী দলঃ এই সরকার একটি বিশেষ দেশ থেকে বীজ আনার কারণেই ফুল ফুটেনি। ফুল না ফুটার জন্য ভবিষ্যতে জনগণ এই সরকারের বিচার করবে।
লেজেহোমো এরশাদঃ আপনারা জানেন আমার সময় আমি সকল ফুল (জীব / নির্জীব) ছেঁকে দেখেছি। কোন ফুলের সুগন্ধই বাদ দেইনি। আপসোস! আজ গরীব জনগণ তো বহু দুরের কথা, আমি লেজেহোমো পর্যন্ত কোন ফুল ছেঁকে দেখতে পারছি না। আগামীতে আমি ক্ষমতায় গেলে ফুল ছেঁকে দেখব। ফুল ফুটার ব্যবস্থা করব।
বামদলঃ ফুল শুধু আজ বড়লোকদের ড্রয়িং রুমে। সাম্রাজ্য বাদীরা আজ দেশের সকল ফুল বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। (মনে মনে আমাদেরকে অংশ না দিলে আমরা দেশের সকল চা-বাগানের শ্রমিকদের এনে প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো করব। তিন দিন সময় দিলাম) আগামী তরশু ফুল পাচারের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানব বন্ধন কর্মসূচী।
জামাত-শিবিরঃ ফুল না ফুটার পেছনে রয়েছে অভিশাপ। সাইদি, নিজামি, গুলাম, আলী দের মতো নেতাদের জেলে রাখার কারণে, তাদের অভিশাপে আজ ফুল ফুটেনি।
হুক্কামার্কা বুদ্ধিজীবীঃ আসলে ফুল ফোঁটা বা না ফোঁটা সম্পূর্ণই প্রকৃতির নিজস্ব ব্যাপার। তবে হ্যাঁ এ নিয়ে যে ষড়যন্ত্রের যে কোন অবকাশ নেই তা কিন্তু নয়। যদি কোন ব্যক্তি বিশেষ বা কোন গুষ্টি সার, কীটনাশক অথবা বীজ নিয়ে কারসাজি করে তবে সাধারণ মানুষেরা ফুল ফুঁটার সুফল থেকে বঞ্চিত হতে পারে। তবে এখানে বলে রাখা ভাল যে, ফুল ফোঁটা কিন্তু ব্যক্তি, সমাজ, জাতি, গুষ্টি সবার জন্য ভাল এবং ফুল ফুটতে দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
বোতল মার্কা পত্রিকা সম্পাদকঃ ‘দেশ আজ ফুলের সংকটে’
লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কিছুদিন যাবত ফুল নিয়ে ফুল ছুঁড়াছুঁড়ি চলছে। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে, ছুঁড়াছুঁড়িকৃত এসব ফুল জীবাণুমুক্ত কিনা। যেনতেন দোকান থেকে (আমাদের সাইড বিজনেস হিসেবে ফুলের ব্যবসাও আছে আর ব্লাকে আমরাই নিশিরাতে সকল ফুল চুরি করে গুদাম ভর্তি করি) ফুল কেনাটা সমীচীন হবে না। এক্ষেত্রে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের (আমাদের ভাড়াটে বুদ্ধিজীবী) মতামত হচ্ছে “ঝান্ডু-মুন্ডু Fool Club’’ থেকেই ফুল কেনা উচিৎ। আমরা দলমত নির্বিশেষে সকলকে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মতামতক গুরুত্ব দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
ছাপোষা মানুষঃ ফাল্গুন শেষ হয়ে চৈত্র চলে যাচ্ছে, এখন ফুল আর বসন্ত নিয়ে চেঁচামেচি। ভাই, বাস ভাড়া, ট্রেন ভাড়া, বাসা ভাড়া, চাল, ডাল, তেল, নুনের দাম কমানোর জন্য, লক্ষ লক্ষ বেকারদের চাকরীর জন্য, শেয়ার বাজারে লুণ্ঠিত টাকা ফেরতের জন্য কেন একজনও কথা বলছেন না? তবে কি এসব লুণ্ঠিত টাকার অংশ আপনাদের পকেটেও গেছে? এসব অযৌক্তিক দাম বৃদ্ধির কারসাজীতে আপনাদেরও অংশীদারিত্ব আছে?
ছিন্নমূল মানুষঃ ফুল কি ভাই? ফুল কি খায়? আমারে দুইটা ফুল দেন না। গতকাল বউ-পোলাপান নিয়া একবেলা খাইছি। চালের দামের সাথে সাথে আটা আর আলুর দামও বাইড়া গেছে কিনা। তেল তো চুক্ষেই দেহিনা, মইধ্যে মইধ্যে পোড়া মবিলে... বেশির ভাগ সময় দ্রেরেইনের ময়লা পানিতেই সিদ্ধ কইরা খাই। কি কইলেন বসন্ত? ঐ বসন্ত কৈরী? হে তো গত পরশু এই দুষিত পানি খাইয়াই ডায়রিয়াতে মইরা গেলগা। হাহারে বড়ই ভালা আছিল পোলাডা।
বিদেশি বন্ধুঃ আরে রাখ! তোর দেশে এখনও “আয়োডিনযুক্ত লবন খাও” বিজ্ঞাপন দেখতে হয়। ডায়রিয়ার কারণে মানুষ মারা যায়। তোরা এখনও আমাদের ছেয়ে ৩০০ বছর পিছিয়ে আছিস।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পশ্চিমা ইসলামবিদ্বেষ থেকে বাংলাদেশের ইসলামপন্থি রাজনীতি

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৬


আমি যখন কানাডায় বসে পাশ্চাত্যের সংবাদগুলো দেখি, আর তার পরপরই বাংলাদেশের খবর পড়ি, তখন মনে হয় - পশ্চিমা রাজনীতির চলমান দৃশ্যগুলো বহু পথ পেরিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহে আলো-ছায়ায় প্রতীয়মান... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×