রোহিঙ্গাদের জন্য সুশ্রী আবাসন গড়ে উঠেছে ভাষানচর, ইতিমধ্যে সেখানে কিছু রোহিঙ্গা স্থানান্তর হয়েছে আরো কিছু হবে আর শেষ পরিনতি হচ্ছে একই আর্বজনা দুই জায়গায় স্থায়ী। রোহিঙ্গাদের এই স্থানান্তর অর্থ হলো পায়ের ঘা চুলকিয়ে নিজেই মাথায় উঠানোর মত! শরীরের এক জায়গায় ঘা ছিল, এখান দুই জায়গায় সেই ঘা দগদগে হয়ে উঠবে, এই স্থানান্তরের মূল লাভ কাদের জানেন? এনজিও ধান্দাবাজদের, বিদেশী দানের টাকায় সুপার হোটেলে রাত কাটিয়ে বড় অংকের বেতন বাগিয়ে বেশ আছেন তারা আর এইজন্য মূল সমস্যা সমাধানে তাদের লক্ষ্য নয় তারা চায় এই ঘা আরো দীর্ঘ হোক, কোন পাগলেও কি বিশ্বাস করবে প্রায় চৌদ্দ লাখ রোহিঙ্গা স্থানান্তর সম্ভব!! তাহলে মূল সমস্যা সমাধানের তোড়জোড় না করে এই স্বহস্তে বাঁশ নেওয়া কেন?
ধরলাম, এই মূহুর্তে তাদেরকে বার্মা ফেরানো সম্ভব নয় তাই বলে কি অটো উৎপাদন কমিয়ে আনা সম্ভব নয়? তাদেরকে কেন বোঝানো হচ্ছে না বাবারা সেক্স করো সমস্যা নেই, বাচ্চা নাও সমস্যা নেই তয় একটু অন্তত বার্ষিক গ্যাপ দাও নইলে তোমাদের আবাসন ব্যবস্থা করতে গিয়ে আমাদের কে তো বঙ্গোপসাগর ভরাট করতে হবে।
এই মহুর্তে রোহিঙ্গা সমস্যা প্রধান সমস্যা ধরতে হবে সরকারকে নইলে পঞ্চাশ বছর পরে আজকের এই দিনের জন্য ভবিষ্যত প্রজন্ম গালি দিবে।
কিছু জরুরী সিধান্ত নিতে হবে সরকারকে এতে অবশ্যই বিদেশী সাদাকালো এনজিও চামচারা বাঁধা দিবে তবুও কৌশলে এগুতে হবে।
এক, দুই সন্তানের বেশি নেওয়া যাবে না, নিলে জোরপূর্বক বার্মা ফেরত, যে পথে ঢুকেছো ঐ পথে যেতে বাধ্য, এখানে থাকতে হলে কথা মেনে থাকতে হবে।
দুই, তাদের চিন্তাভাবনা এখনো আমাজানের সেই লেংটু সম্প্রদায়গুলোর মত, যথেষ্ট বৈদেশিক সাহায্য আসছে অতএব তা দিয়ে তাদেরকে জীবনের অর্থ, কারিগরি শিক্ষা, মানবিক মূল্যবোধ বুঝার মত সক্ষম করে গড়ে তুলতে হবে (অবশ্য আমারও এই ক্ষেত্রে পিছিয়ে)
তিন, নির্দিষ্ট এরিয়া মধ্যে কঠোর নজরদারির ভিতর রাখতে হবে যেন সুযোগ সন্ধানীরা তাদেরকে কাজে লাগিয়ে অপরাধমূলক কিছু করতে পারে, কারণ একবার আমাদের সমাজের ফাঁকফকর জেনে ফেললে আর আটকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২