এ যেন ছায়াছবি এক্স-ম্যানের কোন চরিত্র বাস্তবে এসে হাজির! আমেরিকা ও স্পেনের একদল বিজ্ঞানী ইউরোপীয় আইনকে পাশ কাটিয়ে চীনে এমন একটি যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক সাফল্য লাভ করেছেন যা পুরো বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এই বিজ্ঞানীদলের হাত ধরে চীনের একটি ল্যাবে পৃথিবী'র প্রথম বানর-মানব ভ্রুনের জন্ম হয়েছে।
এখানে উল্লেখ্য যে, পশুদের উপর এরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার হাজার বছরের পুরোনো ইতিহাস রয়েছে। ৪০০-৩০০ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দে গ্রীসের ইতিহাসে পশুদের উপর পরীক্ষার প্রমাণ পাওয়া যায়। রোমের চিকিৎসক গ্যালেন শূকর এবং ছাগলের অঙ্গ নিয়ে বিশেষ পরীক্ষা চালিয়ে; জীবচ্ছেদের পিতা; হিসেবে পরিচিত হোন। এরপরে, ১২০০ খ্রিষ্টাব্দে, স্পেনের মুরের আরবী চিকিতসক,সার্জন এবং কবি- ইবনে যুহর মানুষের উপর অপারেশনের আগে পশুর উপর তা পরীক্ষা করে নিতেন।
এই পথ ধরে আবারো স্পেনের মার্সিয়া ক্যেথেলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমেরিকার সাল্ক ইন্সটিটিউট অব বায়োলোজিকাল স্টাডিজ-এর গবেষকরা জিনগত ভাবে পরিবর্তিত বানরের ভ্রুন-এর সাথে সাথে মানব-বানর ভ্রূন তৈরী করেছেন। নব্য এই ডাঃ ফ্রাংকেনস্টাইনরা কিভাবে তা করেছেন, সে সম্পর্কে যা জানা যায়, প্রফেসর জুয়ান কার্লোসের নেতৃত্বাধীন এই বিজ্ঞানীদের দলটি প্রথমে স্পেনে এই ধরণের গবেষণা শুরু করলেও, পরে চীনে তা স্থানান্তরিত করতে বাধ্য হোন। কেননা, স্পেনের আইনে এরকম পরিক্ষা-নিরীক্ষা নিষিদ্ধ। বিজ্ঞানীরা আশা প্রকাশ করেন যে, এভাবে জন্ম নেওয়া বানর-মানবের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো মানবাংগ প্রতিস্থাপনে কাজে দিবে।
কিন্তু, এখানে যে নৈতিকতার প্রশ্ন রয়েছে। এই পরীক্ষা থেকে জন্ম নেওয়া অর্ধ পশু - অর্ধ মানবদের কি কোন সামাজিক স্বীকৃতি থাকবে? যদি না থাকে, অর্ধ পশু - অর্ধ মানবদের জীবন ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অন্য কাজে ব্যবহার হলে, সেই জীবটির কি হবে? এর পরের ধাপে কি মানুষও ক্লোন করা হবে?
তথ্যসূত্রঃ Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:১২