somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গ্লোবাল র‍্যাংকিং-এ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেভাবে জায়গা করে নিতে পারে

১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বাংলাদেশে বর্তমানে পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৪৪টি। এইসব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বের হওয়া অনেক গ্র্যাজুয়েট দেশ-বিদেশের নামী-দামী প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুনামের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন, সেই সাথে বিভিন্ন দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। অথচ, আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে যে, বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ও ওয়ার্ল্ড র‍্যাংকিং টেবিলের টপ ৫০০-তে নেই! এটি যেমন বিস্ময় জাগানিয়া, তেমনি লজ্জা ও অপমানের বিষয় বৈকি।

একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম একজন শিক্ষার্থীকে অনেক ভাবে সাহায্য করতে পারে। সেই সাথে দেশ ও জাতির সম্মানকে তুলে ধরতে পারে উর্ধে। নিজ কিংবা অন্যান্য দেশের চাকুরীদাতারা সব সময়ই চান সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে নিজের প্রতিষ্ঠানে চাকুরী দিতে। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যা ঙ্কিং-এ জায়গা করে নেওয়া বিদ্যাপীঠগুলোর শিক্ষার্থীরা শুধু এভাবেই লাভবান হোন না, তারা বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সহপাঠীদের মাধ্যমে নতুন নতুন শিক্ষা যেমন আহরণ করতে পারেন, তেমনি সেইসব দেশে এলামনাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে উচ্চতর গবেষণা কিংবা চাকুরী ক্ষেত্রে সুযোগ পেয়ে থাকেন।

কোন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং-এ জায়গা করে নিতে পারাটা সেই দেশের জন্যে যেমন সুনাম বয়ে নিয়ে আসে, তেমনি হতে পারে বৈদেশিক মুদ্রা আহোরণের উৎস। গ্রেট ব্রিটেনের অর্থনীতিতে বিদেশী শিক্ষার্থীদের অবদান বাংলাদেশী মুদ্রায় ৩০০০ বিলিয়ন টাকা। অন্যদিকে, ২০১৫-১৬ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের অবদান ২৭৫৫ বিলিয়ন বাংলাদেশী টাকা। এক্ষেত্রে, অস্ট্রেলিয়ায় বিদেশী শিক্ষার্থীদের অবদান ২৬৮৮ বিলিয়ন টাকা, আর, কানাডাতে ১৫৯৬ বিলিয়ন টাকারও বেশি। এশিয়ার দেশগুলোও পিছিয়ে নেই। বিদেশী শিক্ষার্থীরা প্রত্যেক বছর মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে এনে দেয় প্রায় ১১৯ বিলিয়ন টাকা। দেশটি আশা করছে, ২০২০ সালের মধ্যে এই আয় ৩১৪.৬৮ বিলিয়ন টাকায় গিয়ে দাঁড়াবে। বলাই বাহুল্য, বাংলাদেশ যদি এরকম একটি আন্তর্জাতিক শিক্ষা পরিবেশ তৈরী করতে পারে, তাহলে সুনামের সাথে সাথে বৈদেশিক মুদ্রার আয়ও বাড়বে। আর, সেজন্যে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র্যাংমকিং টেবিলগুলোতে জায়গা করে নেওয়াটা বিশেষ প্রয়োজন।

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং-এ জায়গা করে নিতে হলে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আগে কিভাবে র্যা ঙ্কিং করা হয়, সে সম্পর্কে জানতে হবে। বিশ্বের অনেক প্রতিষ্ঠানই এই কাজটি করে থাকে। এর মাঝে- ‘কিউ, এস, ওয়ার্ল্ড র্যােঙ্কিং অফ ইউনিভার্সিটি’, ‘একাডেমিক র‍্যাংকিং অফ ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিজ’ এবং ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং’- এই তিনটি র‍্যাংকিং সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য এবং সম্মানের। তাই, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চেষ্টা থাকে এগুলোতে যাতে জায়গা করে নিতে পারে।

কিউ, এস, ওয়ার্ল্ড র‍্যাংকিং অফ ইউনিভার্সিটি’ ছয়টি ক্যাটাগরিতে কোন বিশ্ববিদ্যালয়কে পয়েন্ট দিয়ে থাকে। সেই ক্যাটাগরিগুলো হচ্ছে- (১) একাডেমিক খ্যাতি/সুনাম, (২) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জার্নাল আর্টিকেল সাইটেশন, (৩) শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত, (৪) যে সব প্রতিষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের এলামনাইদের চাকুরী হয়েছে সেখানে তাদের সুনাম, (৫)বিশ্ববিদ্যালয়ে কতজন বিদেশী শিক্ষক রয়েছেন তার সংখ্যা, এবং (৬)দেশী ও বিদেশী শিক্ষার্থীদের অনুপাত। এরমাঝে, একাডেমিক খ্যাতি বা সুনামের জন্য বরাদ্দ রয়েছে মোট পয়েন্টের ৪০%। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বাছাই করা ৭০,০০০ একাডেমিশিয়ানদের (শিক্ষক/গবেষক) মাঝে জরিপের মাধ্যমে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতি কেমন তা যাচাই করে এই পয়েন্ট দেওয়া হয়। এরপরে, শিক্ষকদের জার্নাল আর্টিকেলগুলো কতবার দেখা হয়েছে এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্যে কতজন শিক্ষক রয়েছেন তার অনুপাতের জন্যে রাখা হয়েছে সমান ২০% পয়েন্ট। এছাড়া, বিশ্বের ৩৭,০০০ চাকুরীদাতা প্রতিষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এলামনাইরা কেমন করছেন তার উপর রয়েছে ১০% পয়েন্ট। বাকি দুই ক্যাটাগরির জন্যে সমান ৫% করে পয়েন্ট বরাদ্দ।



‘একাডেমিক র‍্যাংকিং অফ ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিজ (এ,আর,ডব্লু,ই)’ পূর্বে ‘সাংহাই যিয়াও টং ইনডেক্স’ নামে পরিচিত ছিলো। এই র্যাইঙ্কিং টেবিল মূলতঃ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কতটুকু গবেষণা সহায়ক পরিবেশ বিরাজ করছে, তার উপর গুরুত্বারোপ করে। এ,আর,ডব্লু,ই-এর ক্যাটাগরি ও পয়েন্ট বিন্যাস হচ্ছে- (১) নোবেল প্রাইজ এবং ফিল্ডস মেডেল জয়ী এলামনাই-এর সংখ্যা (১০%), (২)নোবেল প্রাইজ এবং ফিল্ডস মেডেল জয়ী শিক্ষক ও গবেষকের সংখ্যা (২০%), (৩) বাছাই করা ২১টি সাবজেক্ট ক্যাটাগরির জার্নাল সাইটেশনে যেসব শিক্ষক এগিয়ে আছেন তাঁদের সংখ্যা (২০%), (৪) পরিবেশ ও বিজ্ঞানের উপর জার্নাল আর্টিকেলের সংখ্যা, (৫) ‘বিজ্ঞান সাইটেশন ইনডেক্স’ এবং ‘সামাজিক বিজ্ঞান সাইটেশন ইন্ডেক্স’-এ প্রকাশিত আর্টিকেলের সংখ্যা (২০%), এবং (৬) শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ফলাফল। এ,আর,ডব্লু,ই প্রতি বছর ১২০০ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম র‍্যাংকিং টেবিলে প্রকাশ করে।

‘টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং’ বলে থাকে তারাই একমাত্র র‍্যাংকিং টেবিল যারা যারা শিক্ষাদান, গবেষণা, নলেজ ট্রান্সফার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্তর্জাতিক পরিবেশের সকল ক্ষেত্র যাচাই-বাছাই করে থাকে। এই র্যাং কিং টেবিল ১৩টি পৃথক কর্মক্ষমতা সূচক (performance indicator) ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়কে পয়েন্ট দিয়ে থাকে। যেসব ক্যাটাগরিতে যারা পয়েন্ট দেয়, সেগুলোর মধ্যে শিক্ষকতার জন্যে রয়েছে ৩০% পয়েন্ট। এই ক্যাটাগরিতে যেসব বিষয়গুলো যাচাই বাছাই করা হয়, সেগুলো হচ্ছে- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত, পি,এইচ,ডি-ব্যাচেলর ডিগ্রী শিক্ষার্থী অনুপাত, পি,এইড,ডি-ধারী শিক্ষকদের অনুপাত এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয়। এরপরে, সমান ৩০% পয়েন্ট বরাদ্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা এবং জার্নাল আর্টিকেলের সাইটেশনের জন্যে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কতটুকু আন্তর্জাতিক তার জন্যে রয়েছে ৭.৫% পয়েন্ট। এই ক্যাটাগরির মধ্যে রয়েছে- দেশী ও বিদেশী শিক্ষার্থীর অনুপাত, দেশী ও বিদেশী শিক্ষকের অনুপাত এবং অন্যান্য দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে যোগাযোগের মাত্রা। সর্বশেষে, ২.৫% পয়েন্ট বরাদ্দ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের অনুপাতে গবেষণাগুলো থেকে কি পরিমাণ আয় হচ্ছে তা থেকে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কিভাবে জায়গা করে নিতে পারে এই র‍্যাংকিং টেবিলগুলোতে? এর উত্তরে বলা যেতে পারে- ‘বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তাদের শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং এলামনাইদের খোঁজ নিতে হবে।‘ দেশের নামী-দামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে থেকে যারা জার্নাল আর্টিকেল প্রকাশ করছেন, তাদের সাইটেশন জানা কর্তৃপক্ষের জন্যে খুব একটা কঠিন বিষয় নয়। এজন্যে, প্রয়োজন সদিচ্ছা। এখানে একটা ব্যাপার লক্ষণীয় যে, আমাদের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিদেশী শিক্ষক নেই বললেই চলে। সরকার এক্ষেত্রে একটি নীতিমালা তৈরী করে দিতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্যে যাতে তারা বিদেশী শিক্ষক নিয়োগ দিতে উৎসাহিত হয়। বিদেশী শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে বিদেশের মাটিতে নিজেদের কৃতিত্ব তুলে ধরা ছাড়া গত্যন্তর নেই। সেই জন্যে আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন পশ্চাৎপন্ন দেশগুলো থেকে মেধা-সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের নিজ প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসতে আলাদা করে স্কলা্রশিপের ব্যবস্থা করতে পারে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এক্ষেত্রে, প্রয়োজনে সেসব দেশে এজেন্ট নিয়োগ করা যেতে পারে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করাতে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এডুকেশন ফেয়ারের আয়োজন করতে হবে বিদেশের মাটিতে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে, যেসব বিদেশী শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ছেন বা ইতিমধ্যে শিক্ষা নিয়ে চলে গিয়েছেন, তারা কে কি অবস্থায় আছেন তার খোঁজ নেওয়া। এ থেকেও কিছু পয়েন্ট পাওয়া যাবে র্যা ঙ্গিং টেবিলে।

এক্ষেত্রে, বাংলাদেশ সরকারেরও অনেক কিছু করার আছে। বিমসটেক বা সার্ককে কাজে লাগিয়ে আন্তঃ-দেশীয় পাঠদান পদ্ধতি চালু করতে পারে সরকার। যেমন- বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয় যদি ভারত কিংবা থাইল্যান্ডের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে মিলে যৌথ ভাবে পাঠদান এবং ডিগ্রী দিতে চায়, তাহলে সরকার তাদেরকে বিশেষ কর রেয়াত বা পুরস্কারের ব্যবস্থা করতে পারে। বাংলাদেশের ধনীক শ্রেণীদেরকেও সরকার উৎসাহ দিতে পারে, তাঁরা যাতে বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্যে স্কলারশীপ দিতে এগিয়ে আসেন।

এখানে আরেকটি প্রশ্ন আসতে পারে যে, ঐসব দেশের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে কেন আসবে? একজন শিক্ষার্থী যখন উচ্চ শিক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন পাঁচটি ধাপে সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে। সেগুলো হচ্ছে- ১ম ধাপঃ দেশে না বিদেশের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবে, ২য় ধাপঃ বিদেশ পড়তে চাইলে কোন দেশে যাবে, ৩য় ধাপঃ বিদেশের কোন শহরে থাকবে, ৪র্থ ধাপঃ কোন বিষয়ে পড়া-লেখা করবে, ৫ম ধাপঃ কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে। বাংলাদেশ সরকার এক্ষেত্রে শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করতে পারে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যাতে কোন সেশন জ্যাম না থাকে সে ব্যবস্থা করতে হবে। বিদেশী শিক্ষার্থীদের থাকার জন্যে বিশেষ পরিবেশ নিশ্চিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সাহায্য করতে পারে।

যদিও র‍্যাংকিং টেবিলে জায়গা পাওয়াই সব কিছু না, এছাড়া আরো অনেক কিছুই আছে যা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উন্নতি সাধন করলে ভালো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে। সেগুলোর মাঝে কিছু হচ্ছে- ‘শিক্ষার্থিদের কাউন্সেলিং এবং মেন্টরিং’-এর ব্যবস্থা করা, এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিতে উৎসাহ প্রদান করা প্রভৃতি। তবে, বিদ্যাপীঠে বিদেশী শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের আগমন যে প্রতিষ্ঠান, দেশ ও জাতির জন্যে উন্নয়ন সাধন করে, তা বলাই বাহুল্য

এখানে একটা ব্যাপার খুব গুরুত্বপূর্ণ। করোনা পরিস্থিতিতে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই খারাপ অবস্থায় আছে। তাই বলে, শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া, পরীক্ষা দেওয়া বন্ধ নেই। অনলাইনে সব কিছুই হচ্ছে। আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এগুলোর সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। পাঠদান পদ্ধতি যুগোপযোগী করতে হবে।

আমাদের সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এসব ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে প্রশাসনকে। তাহলেই, সম্ভব এগিয়ে যাওয়া।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:২০
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×